করোনা ভাইরাস ও বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য

করোনা ভাইরাস ও বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য
করোনা ভাইরাস ও বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য

সারাবিশ্ব এখন করোনা নিয়ে আতঙ্কিত অবস্থায় আছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সব বয়সী মানুষের ক্ষেত্রেই সমান। কিন্তু তরুণদের থেকে বয়স্কদের মানসিক চাপ অনেক বেশি। এর কারণ বয়স্করা সাধারনত যেকোন সমস্যার ক্ষেত্রেই বেশি দুঃশ্চিন্তা করেন।
করোনা পরিস্থিতিতে বয়স্কদের মানসিক চাপ এতোই বেশি যে অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেন। কারণ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যে ধরণের আলোচনা সামাজিক মাধ্যমগুলো বা প্রচার মাধ্যমগুলোতে প্রচার হচ্ছে, তার অনেকগুলোই বয়স্কদের জন্য নেতিবাচক। এমনকি করোনাক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও তরুণ ও কমবয়সীদের বয়স্কদের থেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
যেকোন বয়স্ক ব্যক্তিই করোনা পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে ব্যথিত ও চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। কারণ তাঁরা একাকীত্ববোধ করেন, যার হার আমাদের দেশের তুলনায় অন্যান্য দেশে বেশি। কারণ ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে তাঁরা শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালোবাসা পেয়ে থাকেন। আবার অনেক ক্ষেত্রেই অবঙ্গা ও নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনার কারণ হয়ে থাকেন। করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে এতটাই ভয়াবহ যে, সবাইকেই প্রভাবিত করছে। বয়স্করা বেশি প্রভাবিত হচ্ছেন কারণ শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে তাঁরা দুর্বল মনোবলের অধিকারী।
বয়স্করা পরিবারের যে সদস্যদের উপর নির্ভরশীল, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বয়স্কদের পাশে থেকে তাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারেন। বয়স্কদের প্রতি ভদ্র আচরণ, সৌজন্যবোধ, কাজ-কর্মে সাহায্য করা, উৎসাহ প্রদান করা, বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তাদের মনকে প্রফুল্ল রাখা যেতে পারে। বয়স্কদেরকে মনের দিক থেকে দূরে সরিয়ে না রেখে উজ্জীবিত করতে, প্রফুল্ল রাখতে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম।
করোনা ভাইরাসে কোন বয়স্ক ব্যক্তি আক্রান্ত হলে তিনি অত্যন্ত অসহায় ও একাকীত্ববোধ করেন। চিকিৎসার ক্ষেত্রে নৈতিকভাবে তাঁরা প্রাধান্য না পেলেও বাঁচার আকুতি সবার মধ্যেই থাকে। এসময় মানবিক কারণে হলেও সুরক্ষা নীতি মেনে চলে তাদের পাশে থাকা উচিৎ। বয়স্কদের প্রতি সহানুভূতি, ভালোবাসা ও ভালো আচরণ প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের ভালো রাখতে হবে। যেকোন সীমাবদ্ধতা, তা শারীরিক হোক অথবা মানসিক, মানুষকে কষ্ট দেয়। আর শারীরিক অসুস্থতার সময় অন্যদের সহায়তা অনেক প্রয়োজন। অনেক সময় বয়স্করা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন না বা চান না, কারো উপর নির্ভরশীল হতে চান না, নিজেকে গুটিয়ে রাখেন। তাই এইসময় তাদের প্রতি আরো বেশি যত্নশীল ও সহানুভূতিশীল হতে হবে
শ্রুতি লিখন: তাহসিন খুশবু

Previous articleকরোনা ভাইরাস ও গর্ভবতীর মানসিক স্বাস্থ্য
Next articleকরোনা ও মানসিক উদ্বেগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here