করোনা পুরুষের তুলনায় নারীর দারিদ্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে

0
33

পৃথিবীর ইতিহাসে এমন সময় হয়তো মানুষ কখনোই পার করেনি যখন জেলখানা থেকে বন্দিদের ছেড়ে দিয়ে বলা হবে বাড়ি চলে যেতে। মানুষের পদচারণায় মুখর রাস্তা হবে জনশূণ্য। বড় বড় ব্যস্ত নগরীতে থাকবে পিনপতন নিরবতা। মৃতের সৎকারে উপস্থিত থাকবে না স্বজন; রাস্তায় কিংবা নদীতে ফেলে দিবে স্বজনের মৃত দেহ। বৃদ্ধ মা’কে জঙ্গলে ফেলে আসবে সন্তান। মধ্যরাতে বাড়িওয়ালা বের করে দিবে ভাড়াটিয়াকে। গত দু’বছরে মানুষ এমন অনেক কিছুই দেখেছে এক অদৃশ্য ভাইরাস কোভিড-১৯ মহামারির কারণে। এই মহামারির বদৌলতে দৃশ্যমান হয়েছে সমাজ ও পরিবারের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কগুলো কতটা আলগা হয়ে গেছে এরই মধ্যে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে চীনের উহানে সর্বপ্রথম সনাক্ত হওয়া নভেল করোনা ভাইরাস গত দু বছরে বদলে দিয়েছে পৃথিবীর অনেক হিসাব-নিকাশ। বিসিসি’র এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ২৩০ কোটি মানুষ একযোগে ঘরে বসে আতঙ্কে সময় কাটিয়েছে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এত বেশি সংখ্যক মানুষ একই সময়ে একটানা ঘরবন্দি অবস্থায় থাকার নজির আর নেই (২১ এপ্রিল ২০২০, বিবিসি)। খালি চোখে দেখা যায় না এমন শত্রুর আতঙ্কে প্রতিটি মানুষ অন্য মানুষকে এড়িয়ে চলেছে। মানুষের আবেগ প্রকাশের সবচেয়ে বড় মাধ্যম স্পর্শ করতে ভয় পাবে; সীমান্ত বন্ধ করে দিবে দেশগুলো। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেকার হয়ে যাবে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। করোনার প্রার্দুভাবের আগে এসব হয়তো মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি। মহামারিটি দেশগুলিকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক দিয়ে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনা বিশ্বের ২৭০ কোটি শ্রমজীবী মানুষকে প্রভাবিত করেছে; যা বিশ্বের মোট শ্রমজীবী মানুষের ৮১ শতাংশ। আর্ন্তজাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৩০ সালের বিশ্ব মন্দার পর এমন খারাপ অবস্থায় আর বিশ্ব অর্থনীতি পড়েনি। করোনায় ২০২০ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হয়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। জাতিসংঘের হিসেবে ১৯২৯ সালের মহামন্দায়ও এতটা সংকোচ হয়নি। মহামারিতে ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। (২৬ জানুয়ারি ২০২১, ডেইলি স্টার)

করোনার প্রাককালে ২০২০ সালে বৃহৎ পরাশক্তি মার্কিন শেয়ার বাজারে নজিরবিহীন ধস নামে। যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজার ২০ শতাংশ পড়তে সময় লাগে মাত্র ১৫ দিন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের এপ্রিলে মার্কিন বেকারত্বের হার দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। মে-জুন মাসে ৩৬ মিলিয়ন মার্কিনী বেকার হয়ে পরে। ২০২০ সালে মার্কিন অর্থনীতি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হয়। বিশ্ব অর্থনীতির অপর পরাশক্তি চীনের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। যা দেশটির ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শ্লথ। ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোর অর্থনীতির সংকোচন হয় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৫ শতাংশে।

আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনায় গত প্রায় দু বছরে বিশ্বে কর্মঘন্টা নষ্ট হয়েছে ২৫৫ মিলিয়ন পূর্ণ র্কমঘন্টা আর বেকারত্বে হার ১ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে আগামী বছর ২০০ মিলিয়ন মানুষ বেকার হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএলও।

প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আলাদা হওয়ায় ক্ষতির মাত্রাও ভিন্ন ভিন্ন। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পর্যটন, ভ্রমণ ও দেশীয় বাণিজ্য খাতে উৎপাদন মারাত্মক কমে গেছে, যার অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ৭৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৪৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশে ২০১৯ সালের ৮ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হয়। এরপর ২৬ মার্চ ২০২০ সালে প্রথম লকডাউন ঘোষণা এবং পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করে। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন দেয়া হয়। লকডাউনের কারণে দেশীয় উৎপাদন ও বাণিজ্য এবং রপ্তানি স্থবির হয়ে পড়ে। লকডাউনের সময় খামারীরা দুধ বিক্রি করতে না পারায় দৈনিক ৫ মিলিয়ন টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন দুগ্ধখামারীরা। মুরগি ও ডিমের চাহিদা কমে যাওয়ায় ১ হাজার ১শ ৫০ কোটি টাকা থেকে ১ হাজার ১শ ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী। ব্র্যাকের অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালে দেশে দেশে লকডাউনের ফলে ফেরত আসে পাঁচ লাখ অভিবাসী শ্রমিক। তাতে গ্রামীণ অঞ্চলের সমাজে তৈরি হয় এক ধরণের অনিশ্চয়তা। এদের অনেকে ফেরত যেতে পারলেও অনেকেই আর পারেনি আর্থিক সংকটে পরে।

দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ ভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। করোনার কারণে ২০২০ সালের এপ্রিলে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার অর্ডার বাতিল করে বিদেশী ক্রেতারা। তাতে অনেক পোশাক কর্মী চাকরি হারান। পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল ওয়াকার্স রাইটস ও ওয়াকার্স রাইটস কনসোর্টিয়াম এর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্ডার বাতিলের কারণে বাংলাদেশে এক মিলিয়নেরও বেশি পোশাক শ্রমিকের চাকরি চলে যায়। ২০২০ সালে তার আগের বছরের তুলনায় ৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি কমে যায় তৈরি পোশাক খাতে। দফায় দফায় লক ডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে থাকে হোটলে রেস্তোরা, যানচলাচল। উৎসব কেন্দ্রীক অর্থনীততে চাঙ্গা হয় দেশীয় পোশাক প্রস্ততকারী কুটির, ক্ষুদ্র, মাঝারি কারখানাগুলোও থাকে বন্ধ। তাতে চাকরি হারান লাখ লাখ শ্রমিক। তাতে উত্থান ঘটে নতুন একটি দরিদ্র শ্রেনীর।

২০২০ সালে অক্টোবরে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে বাংলাদেশে গরিব লোকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। দারিদ্র্য হার সাড়ে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২২ শতাংশ হয়েছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ-বিআইডিএস ২০২০ সালের মে মাসে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, কোভিডের কারণে ১৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার এ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার-পিপিআরসি এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গর্ভনেন্স এ্যান্ড ডেভেলোপমেন্ট-বিআইজিডি’র যৌথ গবেষণায় দেখা যায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়ে গ্রামীণ মানুষের দৈনিক আয় ৭৯ শতাংশ কমে যায়। শহরের ক্ষেত্রে এই হার ৮২ শতাংশ। শহুরে দরিদ্রের খাদ্য বাজেট ৪৭ শতাংশ কমে যায় এবং গ্রামে এই হার ৩১ শতাংশ। ব্র্যাক পরিচালিত আরেকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯৫ শতাংশ পরিবারের আয় কমে যায় এবং ৬২ শতাংশ বেতনভুক্ত কর্মচারীর চাকরিচ্যুত হন। করোনার প্রভাব নিম্ম আয়ের মানুষের গভীর প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ কোটির বেশি মানুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে যুক্ত, যা মোট শ্রমশক্তির ৮৫ শতাংশ। মহামারির কারণে ৮০ শতাংশ দিন মজুর কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ে। ইউএনএফপিএ, ইউএন-উইমেন এবং ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের সমীক্ষা অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক খাতে বাংলাদেশের নারীদের কাজের সুযোগ কমেছে ৮১ শতাংশ আর পুরুষের ক্ষেত্রে এই হার ১৪ শতাংশ। ব্র্যাকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নারী নেতৃত্বাধীন পরিবারগুলোর আয় ৮০ শতাংশ কমে গিয়েছে, যেখানে পুরুষের নেতৃত্বাধীন পরিবারগুলোর আয় কমেছে ৭৫ শতাংশ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ডব্লিউটিও ২০২০ সালের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনা পুরুষের তুলনায় নারীর দারিদ্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে।

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার পর যখন খোলা হল তখন দেখা গেল বহু স্কুলে মেয়ে শিক্ষার্থী আর নেই। করোনা পরিস্থিতিতে সকলেই বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছেন। ইউনিসেফ বাংলাদেশের ২০২১ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় ১ কোটি মেয়ে শিশু বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে। করোনার প্রভাবে সমাজে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য ও সহিংসতা বাড়িয়ে তুলেছে। ইউএন ওমেনের কোভিড-১৯ বাংলাদেশ র‍্যাপিড জেন্ডার বিশ্লেষণ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লকডাউনের সময়ে নারীদের অবৈতনিক কাজগুলো বেড়ে গেছে এবং ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলেছে। এত লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউএনএফপিএ’র তথ্য অনুসারে, এই সময়কালে বিশ্বব্যাপী পারিবারিক সহিংসতা ২০ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশে ধর্ষণ বেড়ে গেছে। ২০২০ সালে ১ হাজার ৫শ ৩৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে যা তার আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৫শ’টি বেশি। ধর্ষণের শিকার প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর তুলনায় শিশুর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এই সময়কালে। (বিআইডিএস’র গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী)

তবে দেশে দেশে সরকারগুলো অর্থনীতির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা ও তার বাস্তবায়ন করছে এবং সেই সাথে টিকার আবিস্কার ও তার গণপ্রয়োগ দেশে দেশে প্রত্যাশার আলো জ্বালিয়েছে। তাতে বিশ্বঅর্থনীতির সকল ক্ষেত্রই একটু একটু করে খুলে যাচ্ছে। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে করোনা মহামারির প্রভাব থাকলেও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারিতে ২০২০ সালে এই বৈশ্বিক অর্থনীতি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল। সংস্থাটি বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতি এক দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে রয়েছে। তবে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলে মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি কিছুটা পূরণ হবে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর উপর ভর করে। তবে করোনার আগের অবস্থায় যাওয়ার মত নয়। এজন্য গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বিশ্বব্যাপী করোনার টিকার সুষম বণ্টনের উপর।

চাকরি হারানো, ব্যবসা হারানো, আর্থিক সংকট থেকে অনিশ্চয়তা, হতাশা, আতঙ্ক, অসহিষ্ণুতা, রাগ-ক্ষোভের জন্ম হয়েছে সমাজে। তাতে সমাজে বাড়িয়ে তুলেছে পারিবারিক কলহ, ধর্ষণ, নির্যাতন, বৈষম্য। শিশুরা করোনার এই সময়ে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছে ঘরে বসে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের শিশুরা স্কুল, বন্ধু, সহপাঠিদের সাথে মেশার সুযোগ না পেয়ে গত প্রায় দেড় বছর সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া বাইরে ছিল। তাতে তাদের মানস পটের বিকাশ হয়েছে বাধাগ্রস্ত।

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে মানুষের আয়ের পথকে সুগম করে স্থিতিশীল জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ সামনের দিকে বাংলাদেশের জন্য।

 

মেহের মণি

সিনিয়র রিপোর্টার, বৈশাখী টেলিভিশন।

সূত্রঃ মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন, ৪র্থ বর্ষ, ১০ম সংখ্যায় প্রকাশিত।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

 

 

Previous article‘যেকোনো খেলার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ’
Next articleবিএপি’র সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here