মানসিক চাপ কমাতে কান্না করুন

0
50
DCF 1.0

মনের খবর ডেস্ক : কান্না করুন। বাচ্চারা তো কাঁদেই। বড়রাও কাঁদে। আর কাঁদলে কমে মানসিক চাপ। হ্যাঁ, কান্না করলে মানসিক চাপ কমে এটা গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে।

প্রিয়জন হারিয়ে গেলে কিংবা কোনো কারণে মানসিকভাবে আঘাত পেলে মানুষ খুব কাঁদে। বিশেষত নারীরা অধিক কাঁদে। পুরষরা নিজের চোখের পানি আড়াল করতে পারলেও নারীরা সেটা অধিকাংশ পারে না। পারলেও করে না। তারা কাঁদে মন খুলে কাঁদে।

আবার নারীরাই পরম মমতায় আপনজনদের আগলে রাখে। একজন মা সন্তানের মায়ায় কাঁদে। সন্তান কষ্ট দিলেও কাঁদে। আবার সেই মা শত কষ্টের পরও সন্তানকে আগলে রাখেন।

আঘাত বা কষ্ট থেকে পাওয়া মানসিক চাপ মুক্ত হয়ে প্রিয়জনকে আগলে রাখার যে শক্তি এটা মায়ের থেকে বেশি আর কারো নেই। এর পেছনের অন্যতম একটি রহস্য বিস্ময়কর হলেও তা কান্না। কান্না মানুষকে কষ্টের মাঝে তৃপ্তির সুখ দেয়। কমিয়ে দেয় মানসিক চাপ। এ বিষয়ে জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলোতে লিখেছেন অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী।

তিনি লিখেছেন, অনেক কান্নার ছবি দেখার পর অদ্ভুত সুখ পেয়েছেন কখনো? ভালো এক কান্নার যে কী শক্তি! কিন্তু সমাজে কান্নার কদর নেই। অথচ যে আঁখিতে এত জল, তবু এত হাসি লুকানো। জাপানে খুব কেঁদে মানসিক সুস্থতার হিত পেতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের আর কর্মজীবীদের উত্সাহিত করা হয়। বলা হচ্ছে, চাপ বা স্ট্রেস কমাতে হাসি বা ঘুমের চেয়ে কান্না বেশি কার্যকর।

জাপানের ‘হিডেফিমি হুসিডা’ এ ব্যাপারে উদ্যোগী। তিনি এবং টোকিও ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক হিডেও আরিটা কান্নার শক্তি সম্পর্কে প্রচার চালিয়েছেন। জাপানে বিষণ্নতা ও আত্মহত্যার হার বেশি। এদের ওভারওয়ার্ক সমস্যা আর তাই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বেশি গুরুতর

কান্না কী করে হয় কার্যকর?

৩০টি দেশের মানুষ বলেছেন, কান্না ঝরার পর তাঁদের ভালো লেগেছে। ক্লিনিক্যাল প্রাকটিস করেন এমন চিকিৎসকেরা তাঁদের ৭০ শতাংশ রোগীকে কাঁদতে উৎসাহ দেন।

শরীর তিন ধরনের কান্না উৎপন্ন করে

রিফ্লেক্স: এটি উত্তেজক উপাদান পরিষ্কার করে।
অবিরাম: এটি আমাদের চোখ রাখে ভেজা।
আবেগের অশ্রু: এর আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকার। ১৯৮০ সালে মিনিয়াপোলিসের রামসে মেডিকেল সেন্টারের ডা. উইলিয়াম ফ্রে দেখেন, মানুষ কেন কাঁদে। দেখেন, আবেগের অশ্রুর মধ্যে আছে স্ট্রেস হরমোন, যা কান্নার সঙ্গে ধুয়ে যায়।

কান্না এক বহির্জাত প্রক্রিয়া। কান্না বের করে দেয় এক রাসায়নিক যা হলে স্ট্রেস (মানসিক চাপ)  তৈরি হয়।

কান্না ধীর করে শ্বাসক্রিয়া এবং দেহ হয় শিথিল। শিথিলতা তখন প্রস্তুত করে ভালো লাগা অনুভূত হওয়ার (ফিল গুড) হরমোন এন্ডরফিন। দেহে উৎপন্ন স্ট্রেস বা চাপের বিরুদ্ধে কান্না হলো সুরক্ষা হাতিয়ার।

সূত্র : প্রথম আলো

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

/এসএস

Previous articleআন্তর্জাতিক রেফারেন্স বইয়ে ডা. জিল্লুর রহমানের ‘মানসিক স্বাস্থ্য’ গবেষণা
Next articleঅল্পতে রেগে যায়, নিজেকে অবহেলিত ভাবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here