জাকিয়া আক্তার রুবি
নাম দেখেই হয়ত অনেকে বুঝে ফেলেছেন কী নিয়ে আলোচনা হতে যাচ্ছে। তবে প্লে থেরাপি নিয়ে কথা বলার আগে প্লে বা খেলা বলতে আমরা কী বুঝি?? সেটা নিয়ে একটু আলোচনা করতে হবে।
প্লে বা খেলা
মানুষ শুধুমাত্র আনন্দ ও বিনোদন লাভের জন্য যে কার্যকলাপগুলো করে থাকে সাধারণত সেটাকেই আমরা খেলা বলে থাকি। যদিও আমরা খেলাকে প্রায় সময় ‘শিশুদের কাজ’ হিসাবে বর্ণনা করি, তবে খেলা যেকোনো বয়সের মানুষ খেলতে পারে।
এখন চলুন জেনে নেই সাইকোলজিতে প্লে-থেরাপি বলতে আসলে কী বুঝায়?
প্লে থেরাপি হলো সাইকোথেরাপির একটি রূপ এবং এটি ব্যবহার করে শিশুদের আবেগীয় ও মানসিক সমস্যাগুলির সমাধান করতে শিশুকে সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্কদের মানসিক সমস্যা সমাধানে কাউন্সিলিং দেওয়া হয়ে থাকে, কিন্তু শিশুরা তাদের সব অনুভূতিগুলো কথায় বলে বোঝাতে পারে না।
শিশুরা শব্দের পরিবর্তে খেলনার মাধ্যমে তাদের মনোভাবগুলো সুন্দর করে এক্সপ্রেস করতে পারে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে কাউন্সিলিং এর পরিবর্তে প্লে-থেরাপিটা বেশি কার্যকর। প্লে-থেরাপি সাধারণত তিন থেকে বারো বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ও এটা ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্লে-থেরাপির প্রকারভেদ :
প্লে-থেরাপি সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে :-
ডিরেক্টিভ বা নির্দেশাত্মক : এখানে শিশুরা থেরাপিস্ট এর নির্দেশ অনুসরণ করে খেলে থাকে।
নন-ডিরেক্টিভ : এখানে শিশুরা নিজেদের মতো করে খেলে এবং এখানে থেরাপিস্ট এর হস্তক্ষেপ খুব সীমিত থাকে।
প্লে-থেরাপির সময় : একটি সাধারণ প্লে থেরাপি সেশন সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মতো স্থায়ী হয়।
লেখক : জাকিয়া আক্তার রুবি
ক্লিনিক্যাল এন্ড কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট (জবি)
ইন্টার্ন কন্টেন্ট রাইটার : মনোসেবা অর্গানাইজেশন।
/এসএস/মনেরখবর/