মোবাইল ফোনকে মেশিন আখ্যা দিয়ে ‘সেটা যেন আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ না করে, বরং আমরা যেন মেশিন নিয়ন্ত্রণ করতে পারি’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কথাসাহিত্যক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক।
আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলসেন্ট মেন্টাল হেলথ’ (ব্যাকাম) এর ১৫তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রফেসর ডা. আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে একটা স্কুলে লেকচার দিয়ে আসলাম মেশিন যেন তোমাকে কন্ট্রোল করতে না পারে। তুমি নিজে মেশিনকে কন্ট্রোল করবে। কোনোভাবেই মেশিনকে কন্ট্রোলার হতে দিবে না। লেকচার দিয়ে বাড়ি ফেরার পর দেখি আমার ১১ বছরের নাতি ডান দিয়ে ভাত খাচ্ছে আর বাম হাত দিয়ে মোবাইল টিপছে। কী খাচ্ছে তার কোনো খবর নাই। পুরো ফোকাস মোবাইলে। বাচ্চাদেরকে এই অভ্যাস করতে দেয়া যাবে না। আমাদের অভিভাবকদেরই দায় এটা। এটা করতে দিলে বাচ্চারা নানা সমস্যায় আক্রান্ত হবে। সুস্থ মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হবে’’।
বাকাম সভাপতি ও বিএসএমএমইউ মনোরোগবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোর্শেদের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাকামের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এস আই মল্লিক, প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস (বিএপি) এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
‘শিশু এবং কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য : পরিষেবার প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাকামের ১৫তম বার্ষিক কনফারেন্স ও বৈজ্ঞানিক সেমিনার। দুইদিন ব্যাপী এ সম্মেলন আগামীকাল ১৫ নভেম্বর শেষ হবে।
বাকামের ট্রেজারার ডা. সিফাত-ই সাঈদ এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডা. মহাদেব চন্দ্র মন্ডল, অধ্যাপক ডা. ফারুক আলম, বি.জে অধ্যাপক ডা. এম কামরুল হাসান, অধ্যাপক ডা. সাহিদা চৌধুরী, বিএপির সহসভাপতি বি.জে (অব) অধ্যাপক ডা. আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক ও এনআইএমএইচ এর সহযোগী অধ্যাপক, ডা. তারিকুল আলম, ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, বাকাম সম্পাদক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খান প্রমুখ।
/এসএস/মনেরখবর/