প্রসব-পরবর্তী জটিলতায় কমবেশি সব মায়েরাই ভোগেন। কারো ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দেয়। মূলত, গর্ভকালীন পরিচর্যা ঠিকমতো না হলে প্রসব পরবর্তী সময়ে জটিলতা বেড়ে যায়।
সোমবার মনের খবর টিভির বিশেষ আয়োজন ‘প্রসব-পরবর্তী জটিলতা ও প্রতিকার’ শীর্ষক লাইভ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ, একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার।
সোমবার (৪জুলাই) রাত ১০ টায় মনের খবর টিভির ফেসবুক পেজে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার হয়।
এসময় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার বলেন, গর্ভকালীন সময়ে মায়ের ঠিকঠাকমতো পরিচর্যা না হলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। প্রসব পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিকভাবেই রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। ফলে পূর্বের শূন্যতার কারণে তখন অতিরিক্ত ঘাটতি তৈরী হয়। যা নানান সমস্যা তৈরী করে। এজন্য মায়েদের গর্ভকালীন সময় থেকেই প্রসব পরবর্তী জটিলতা প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি নিতে হবে।
ইটোরিক্স ও অগমেন্ট নিবেদিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন’র সহকারী অধ্যাপক ডা. কে এম বায়জিদ আমিন। অনুষ্ঠানের সাইন্টিফিক পার্টনার এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক সায়েবা আক্তার একাধারে মাম’স ইনস্টিটিউট অব ফিস্টুলা এন্ড উমেন’স হেলথ এর সিইও এবং অধ্যাপক, এশিয়ান গ্রুপ ফব অবস্টেট্রিক ফিস্টুলা এন্ড আদার মরবিডাইটিস এর চেয়ারম্যান, ইউরোগাইনোকোলজি এন্ড ফিমেল পেলভিক রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অবস্টেট্রিক ফিস্টুলা সার্জনস এর প্রেসিডেন্ট।
তার আবিষ্কৃত বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ও সাড়া জাগানো চিকিৎসা পদ্ধতি ‘সায়েবা’স মেথড’ এর জন্য তিনি একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে নারীরা প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণ জাতীয় সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পান। ক্যাথেটার দিয়ে একটি কনডম প্রসূতির জরায়ুর ভেতর ঢুকিয়ে তা বাতাস দিয়ে ফুলিয়ে রক্ত বন্ধ করতে তাঁর আবিষ্কৃত এই পদ্ধতি এখন বিশ্বের বহু দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে।
কর্মজীবনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের প্রধান ছিলেন। অবসরের পর রাজধানীর মগবাজারে ‘মামস ইন্সটিটিউট অব ফিস্টুলা অ্যান্ড ওমেনস হেলথ’ এর প্রতিষ্ঠা করেন।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখতে ক্লিক করুন :