প্রিয়জনের মৃত্যু সবসময়ই কঠিন। প্রিয়জন মারা গেলে দুঃখ পাওয়া স্বাভাবিক। এই সংবাদ কাছের মানুষের মনে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। তাই কিছু মানসিক প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন।
কষ্ট উপেক্ষা করার চেষ্টা বা কষ্টকে দূরে রাখার চেষ্টা আপনাকে মানসিকভাবে আরো দূর্বল করে দেবে। তাই প্রয়োজন কষ্ট বা শোকের মুখোমুখি হওয়া এবং সক্রিয়ভাবে এটি মোকাবেলা করা।
আপনি কষ্ট দমন করার চেষ্টা করতে পারেন। তবে এটিকে চিরতরে এড়াতে পারবেন না। অমীমাংসিত কষ্টগুলো হতাশা, উদ্বেগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন। আপনি কেমন অনুভব করছেন তা অন্যকে বলুন; শোকগ্রস্ত সময়কে পেরোতে সহায়তা করবে।
অনুভূতিগুলো সঠিক উপায়ে প্রকাশ করুন। মর্মবেদনা, অপরাধবোধ, রাগ, কষ্ট যা কিছু অনুভূত হয় সেটা যথাযথভাবে প্রকাশ করতে হবে।
ধৈর্য ধারণ করুন। ভীষণ কষ্ট, কান্নাকাটি করা, একাকিত্ব, নিদারুণ শূন্যতা এই উপসর্গগুলোর তীব্রতা ধীরে ধীরে কমে আসে এবং প্রিয়জন হারানোর গভীর বেদনা মেনে নিয়ে মানুষ পুনরায় জীবনমুখী হয়। আপনজন হারানোর কষ্ট মেনে নিতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। তাই নিজেকে সময় দেয়া জরুরি।
ভালো লাগা মানষের সঙ্গে থাকুন। যাদের সঙ্গ আপনাকে স্বস্তি দেয় এমন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে কথা বলন।
কেউ চলে যাওয়ার পর মানষ ঘুরেফিরে তার সঙ্গে জড়িত স্মতিগুলো নিয়ে ভাবতে থাকে। এই ভাবনা তাকে স্থবির করে দেয়। তাই এই ভাবনাগুলো সরিয়ে রাখার জন্য ধীরে ধীরে ভালো লাগা কাজগুলোতে মন দেয়ার চেষ্টা করুন।
যদি আপনার কষ্টগুলো একা সমাধান না করতে পারেন তবে পেশাদার কারো পরামর্শ নিন।
জীবন থেকে চলে যাওয়া কারো ঘাটতি পরণ করে নেয়া সম্ভব নয় নিঃসন্দেহে। কিন্তু এই সত্যকে অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। তেমনি উপায় নেই নিকটজনের বিয়োগের পর নিজের জীবনও স্তব্ধ করে দেয়ার। চলতে হবেই। চলাই প্রাকতিক। কাজেই সেই চলাটা সহজ করে নেয়ার চেষ্টাটাও একান্ত জরুরি।
মাহজাবিন আরা
প্রতিবেদক মনের খবর
আরো পড়ুন….
মানসিক সু-স্বাস্থ্য সম্পন্নদের ১০টি বৈশিষ্ট্য
/এসএস