সুখী দাম্পত্যের জন্য মানসিক ও মনের মিলের পাশাপাশি সুস্থ যৌন স্বাস্থ্যেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্কে সুখী হতে না পারলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানসিক দূরত্ব বেড়ে যায়। ফলে পরকীয়ার মতো ঘটনা ঘটে, সংসারে অশান্তি বাড়ে এক পর্যায়ে ডিভোর্সের মতো ঘটনাও ঘটে।
ফলে সুস্থ যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে আমরা সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সুস্থ খাদ্যাভ্যাসের জন্য কী কী খেতে হয় বা যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য কী খাওয়া উচিত, সে তালিকা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু এমন অনেক খাবার আছে যা খেলে যৌন ইচ্ছা কমতে থাকে। আমরা অনেক সময় এই বিষয় নিয়ে সচেতন থাকি না।
যেসব খাবার খেলে যৌন ইচ্ছা কমে যায়, এগুলোকে বলা হয় অ্যানাফ্রোডিসিয়া। এসব খেলে শারীরিক মিলনের ইচ্ছা কমে যায়। তাই যৌন জীবনে সুখী হওয়ার জন্য এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। নিচে এমন ৭টি খাবার সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।
অ্যালকোহল: কেবল যৌন স্বাস্থ্য নয় সুস্থ জীবনযাপনের পথেই অ্যালকোহল বড় অন্তরায়। অ্যালকোহলে আসক্ত ব্যাক্তি খুব দ্রুতই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এমনকি পুরুষেরা বেশি অ্যালকোহলের নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে গেলে তাদের শরীরে টেস্টসটরনের মাত্রাও উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। ফলে যৌন জীবন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কফি: প্রতিদিন অতিরিক্ত পান করলে যৌন জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অতিরিক্ত কফি খেলে অ্যাডোরেনাল গ্লান্ডের উপর প্রভাব পড়ে। ফলাফল হিসেবে শরীর থেকে স্ট্রেস হরমোন উৎপন্ন হয়। এই হরমোন নিঃসরণ হওয়াতে সেক্স হরমোন ও থাইরয়েডের ভারসাম্যে তারতম্য ঘটে যা যৌন ইচ্ছা একদমই কমিয়ে দেয়।
ক্যানড খাবার: ব্যস্ততার দরুণ আমাদের বর্তমানে ক্যানড খাবারে নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। এসব খাবারে বেশি সোডিয়াম ও কম পটাশিয়াম থাকে। যা আমাদের সেক্স অর্গ্যানে রক্তের সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। ফলে ক্যানড খাবার খেলেও যৌন ইচ্ছাও ঝিমিয়ে পড়ে।
পুদিনা: গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, পুদিনা যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দিতে পারে। পুদিনায় উপস্থিত মেনথল শরীরের যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দিতে ভূমিকা রাখে।
সয়াবিন: সয়াবিনের মধ্যে থাকা একটি উপাদান আমাদের শরীরে হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট করার জন্য দায়ী। কেউ যদি অতিরিক্ত মাত্রায় এই খাবারটি খায়, তাহলে তিনি নারীই হোন কিংবা পুরুষ, তার যৌন ইচ্ছা কমতে বাধ্য।
ভাজা-পোড়া খাবার: তেলে ভাজা পোড়া খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি পাওয়া যায় যা যৌন উত্তেজনা কমিয়ে দেয়। কারণ ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতির কারণে টেস্টেসটরনের উৎপাদন কমে যায় এবং পুরুষের স্পার্মের গুণগত মান কমিয়ে দেয়।
চিজ: মার্কেটে যে চিজ পাওয়া যায়, এসব হচ্ছে প্রকিয়াজাতগুলো। যা গাভীর দুধ থেকে তৈরি হলেও এতে বিভিন্ন ধরনের গ্রোথ হরমোন এবং অ্যান্টিবায়োটিক মেশানো হয়। ফলে মেয়েদের শরীরে এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যা শারীরিক সঙ্গমের ইচ্ছে দমিয়ে ফেলে। এমনকি সেক্সুয়াল ডিসফাংশনও হতে পারে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে