মাথায় ৫০ বছর আগের স্প্লিন্টার: ডায়গনসিস করলেন সাইকিয়াট্রিস্ট

0
347
সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে নূরজাহান বেগম (৭০) নামের এক নারীর মাথায় ১৯৭১ সালে মর্টারশেলের স্প্রিন্টার থাকার খবর ভাইরাল হয়েছে। ৫০ বছর আগে মাথার ভেতরে থেকে যাওয়া এই স্প্রিন্টার ডায়গনসিস করেছেন  সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ডা. সাঈদ এনাম। জানা যায়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলে আহত হন নূরজাহান বেগম (৭০) নামের ওই নারী এবং তাঁর স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মো. নুরু মিয়া। সে সময় তিনি ও তাঁর স্বামী কাকতালীয়ভাবে বেঁচে যান। কিন্তু নূরজাহানের মস্তিষ্কের ভেতরে রয়ে যায় মর্টার শেলের একটি টুকরো। সেই টুকরো নিয়ে তিনি ৫০ বছর ধরে বেঁচে আছেন, এখনো । বর্তমানে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে নূরজাহানের স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, মস্তিষ্কে মর্টার শেলের একটি টুকরো রয়ে যাওয়ায় সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে তাঁর এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। নূরজাহানের বড় ছেলে মো. মোবারক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ২০ দিন আগে মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় থেকে তার স্মৃতি শক্তি ও কথা বলার শক্তি কমতে থাকে। পরে উনার চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মনো ও স্নায়ুরোগ চিকিৎসক মো. সাঈদ এনামের কুলাউড়ার চেম্বারে নিয়ে যাই। তিনি চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ওনার রোগের ইতিহাস যাচাই করেন। পরে এক্সরে রিপোর্টে আমার মায়ের মস্তিষ্কে মর্টারশেলের স্প্রিন্টার রয়েছে বলে জানান। পরে তার পরামর্শে সিলেটে হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। এখন মার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে মায়ের চিকিৎসায় সকল সরকারি সুবিধা ও মায়ের যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এদিকে নুরজাহান বেগমের উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগীতা চেয়ে ফেসবুক পোস্টও করেন ডা. সাঈদ এনাম। তারপর থেকেই গণমাধ্যমের বিশেষ নজরে আসে বিষয়টি। করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে নূরজাহান বেগম (৭০) নামের এক নারীর মাথায় ১৯৭১ সালে মর্টারশেলের স্প্লিন্টার থাকার খবর ভাইরাল হয়েছে।

৫০ বছর আগে মাথার ভেতরে থেকে যাওয়া এই স্প্লিন্টার ডায়গনসিস করেছেন  সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাঈদ এনাম।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলে আহত হন নূরজাহান বেগম (৭০) নামের ওই নারী এবং তাঁর স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মো. নুরু মিয়া। সে সময় তিনি ও তাঁর স্বামী কাকতালীয়ভাবে বেঁচে যান। কিন্তু নূরজাহানের মস্তিষ্কের ভেতরে রয়ে যায় মর্টার শেলের একটি টুকরো। সেই টুকরো নিয়ে তিনি ৫০ বছর ধরে বেঁচে আছেন, এখনো । বর্তমানে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে নূরজাহানের স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, মস্তিষ্কে মর্টার শেলের একটি টুকরো রয়ে যাওয়ায় সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে তাঁর এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

নূরজাহানের বড় ছেলে মো. মোবারক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ২০ দিন আগে মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় থেকে তার স্মৃতি শক্তি ও কথা বলার শক্তি কমতে থাকে। পরে উনার চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মনো ও স্নায়ুরোগ চিকিৎসক মো. সাঈদ এনামের কুলাউড়ার চেম্বারে নিয়ে যাই। তিনি চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ওনার রোগের ইতিহাস যাচাই করেন। পরে এক্সরে রিপোর্টে আমার মায়ের মস্তিষ্কে মর্টারশেলের স্প্লিন্টার রয়েছে বলে জানান। পরে তার পরামর্শে সিলেটে হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। এখন মার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে মায়ের চিকিৎসায় সকল সরকারি সুবিধা ও মায়ের যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

এদিকে নুরজাহান বেগমের উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগীতা চেয়ে ফেসবুক পোস্টও করেন ডা. সাঈদ এনাম। তারপর থেকেই গণমাধ্যমের বিশেষ নজরে আসে বিষয়টি।

করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

Previous articleপ্রয়োজনীয় মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখুন
Next articleএকটি অন্যরকম স্বপ্নের গল্প

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here