যৌনতার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ছড়ালেও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষায় এটির বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে।
ইংল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পানি-মাছিদের ওপর ২০১৬ সালে এই গবেষেণাটি চালান। তাদের দাবি, যৌন সম্পর্কই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। গবেষকরা প্রায় ছয় হাজার পানি-মাছির উপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
গবেষকরা জানান, পানি-মাছিরা দু’ভাবে প্রজনন করে। এক, তারা ক্লোন তৈরি করে এবং দুই, যৌন প্রজনন চালিয়ে। গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, ক্লোনের ফলে জন্ম নেয়া মাছিগুলিকে কিছু সংক্রামক পরজীবীর সংস্পর্শে রাখলে সেগুলি দ্রুত সংক্রমিত হয়।
অপরদিকে, যৌন জননের ফলে জন্ম নেয়া মাছিদের ওই পরজীবীদের সংস্পর্শ রাখা হলে দেখা যায়, তারা সহজে সংক্রমিত হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, সংক্রমণকে প্রতিরোধ করেই তারা বেঁচে আছে।
ব্রিটিশ গবেষক স্টুয়ার্ট অল্ড জানিয়েছেন, সুস্থ যৌনতার জন্য চাই যথাযথ উদ্দম এবং শারীরিক স্ফূর্তি। আর এই স্ফূর্তি ও উদ্দমের জন্য প্রয়োজন সুষম আহারের। তাঁর মতে, প্রকৃত কোনও সমস্যা না-থাকলে যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনও রকম ওষুধেরই প্রয়োজন হয় না। আর সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে যৌনতার বিকল্প কিছু হতে পারে না। গবেষণালব্ধ ধারণা অনুযায়ী, প্রজননের স্বাভাবিক বিধি অর্থাৎ যৌনতা-পরবর্তী প্রজন্মকে অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখে।
তবে স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণার সঙ্গে একমত হতে পারেননি বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানী। তাঁদের মতে অনিয়ন্ত্রিত এবং অসুরক্ষিত যৌনতা যে কোনো সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। যৌনতা সন্তান জন্মদানের স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর উপায় হলেও আধুনিক যুগে তা একমাত্র উপায় মোটেও নয়।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে