মানসিক চাপের বহু ক্ষতিকর দিক রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ত্বকের ক্ষতি। এ ছাড়াও উচ্চমাত্রার মানসিক চাপের ফলে চুল পড়া, তৈলাক্ত মাথার ত্বক, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ও র্যাশ হওয়ার মতো সমস্যা হয়। মানসিক চাপ কমানো সম্ভব হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো নিজে থেকেই সমাধান হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস।
কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে বহু ত্বক সমস্যা সৃষ্টি হয়, যার অন্যতম প্রধান কারণ মানসিক চাপ। সাম্প্রতিক এক গবেষণাতে এমন কথাই উঠে এসেছে। গবেষণাটিতে মানসিক চাপের সঙ্গে বিভিন্ন ত্বক সমস্যা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। গবেষণাপত্রটির লেখক গিল ইয়োসোপোভিচ বলেন, ‘আগের গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপের সঙ্গে ত্বকের নানা সমস্যার যোগসূত্র রয়েছে। তবে সেসব গবেষণায় নমুনা কম ছিল কিংবা নির্দিষ্ট একটি ত্বকের সমস্যা নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়।’
এবারের গবেষণায় আগের গবেষণার সেসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে বড় পরিসরে করা হয়েছে বলেই দাবি করছেন গবেষকরা।
এ গবেষণার জন্য ৪০০ আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়। তাদের কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এসব ভাগের মাঝে রয়েছে কম মানসিক চাপের শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ও বেশি মানসিক চাপের শিক্ষার্থীদের গ্রুপ।
যাদের উচ্চমাত্রায় মানসিক চাপ রয়েছে তাদের ত্বকে নানা সমস্যা দেখা যায়। এসব সমস্যার মধ্যে রয়েছে ত্বক চুলকানি, চুল পড়া, তৈলাক্ত ত্বক, মাথার ত্বকে নানা সমস্যা, মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হওয়া, ত্বক ফেটে যাওয়া, নখ কামড়ানো, র্যাশ হওয়া ও চুল তোলা।
গবেষকরা জানান, ত্বকের এসব সমস্যা কারো দেখা গেলে তার মানসিক চাপ আছে কি না, এ বিষয়টিও অনুসন্ধান করতে হবে। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে অ্যাকটা ডার্মেটো-ভেনেরিওলজিকা জার্নালে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে