করোনাভাইরাস এর গরম পানির বাষ্পীয় চিকিৎসার বিরুদ্ধে আমার একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস পড়ে এক বন্ধু জিগ্যাসা করলো, “গত চারমাস তাইলে এতো কষ্ট কইরা কইরা সকাল দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা, রাইত, ভোর, সমানে বাষ্প কি হুদাই খাইলাম? আরে আমরা তো জানতাম বাষ্পে করোনাভাইরাস মরে…এখন তাইলে আমাদের কি হবে?”
তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন পমবে ম্যাগুফুলি নাকি বলেছেন, “ফুটানো পানির বাষ্প নাক দিয়ে নিলে নাক ও ফুসফুসের করোনাভাইরাস মরে যায়..” ব্যাস সে দেশের পাবলিক আর যায় কই।
তাঞ্জানিয়ায় ভাপ বা বাষ্প তৈরির এক খানা “বদনা” সদৃশ টিনের পাত্রের বিক্রির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। দু’নম্বর “বদনা” ব্যবসায়ীরা রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যাচ্ছে “বাষ্প-বদনা” বেঁচে বেঁচে। আমাদের বাংলাদেশের বিএমএ ভবনেও নাকি সেই “বাষ্প-বদনা” পাওয়া যাচ্ছে।
গরম পানির ভাপ করোনাভাইরাস মারতে পারেনা। করোনাভাইরাস নাক চোখ মুখের কোষের সংস্পর্শে এসে ভিতরে ঢোকার পর পৃথিবীর কোন শক্তি নেই সেই ভাইরাসকে মারার। সৃষ্টিকর্তার দেয়া ইমিউনিটি ছাড়া আর কিছুই করার নেই। তাহলে মানুষ কেনো ভাপ নিচ্ছে। কোথায় পেলো এই বায়বীয় চিকিৎসা?
আসলে কুসুম গরম পানির ভাপ, কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে গড় গড় করে কুলি করলে সাধারণ সর্দি কাশি গলা ব্যাথা কিছুটার আরাম হয়। কারণ ভাপ নিঃশ্বাসের সাথে নেয়া বাতাস কে যৎ সামান্য উষ্ণ ও আর্দ্র করে। এতে ফুসফুসের জমে থাকা মিউকাস /কফ কাশির মাধ্যমে বের হতে সামান্য সহায়ক হয়। তাই এজমা বা হাঁপানি রোগীদের তা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। কেবল এটুকুই জানি।
ভাপ কখনই করোনাভাইরাস কে মারতে পারেনা। এটা একটা ভুল ধারনা। সুস্থ মানুষ এরকম ভাপ নিতে গেলে গলা, নাসারন্ধ্র, চোখ, মুখ পুড়ে গিয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। মনের খবরের সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই মনের খবরে প্রকাশিত কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা বা অন্য যেকোন ধরনের দায় সর্ম্পূণই লেখকের।