বন্ধুরা সবাই মিলে মেতে আছে হাসি-ঠাট্টায়। সবার মাঝেই উচ্ছ্বাস। কিন্তু কথা বলতে পারছেন না আপনি। পাশের বাড়ির কোনো বিয়ের নিমন্ত্রণ পেয়েও সেখানে যাওয়া হয়ে উঠছে না। সময়ের অভাবে, ঠিক তা নয়। আসল কারণ হলো বেশি মানুষের মধ্যে আপনি অস্বস্তিতে ভোগেন। নিজেকে খুব ছোট মনে হয়। সবার ঝলমলে সাজের আড়ালে বুঝি আপনি খুবই তুচ্ছ!
নিজ থেকে আগ বাড়িয়ে কথাও বলতে পারছেন না, আবার কেউ কোনো প্রশ্ন করলেও উত্তর দিতে গিয়ে অস্বস্তিতে ভুগছেন, অসাড় হয়ে আসছে হাত পা। নিজের গভীরে আরো গভীরে হারিয়ে যাচ্ছেন আপনি। রোগটির নাম অ্যান্থ্রোপোফোবিয়া।
সাধারণত অ্যান্থ্রোপোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের কাছের বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতেও অস্বস্তিতে ভোগেন। এই ভয় বা অস্বস্তি ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাপন, লেখাপড়া ও কর্মক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
কারণ একজন ব্যক্তি নানা কারণে অ্যান্থ্রোপোফোবিয়াতে আক্রান্ত হতে পারেন। অতীতে জনসম্মুখে কোনো খারাপ পরিস্থিতি, অপমান, অন্যের কাছ থেকে নিজ সম্পর্কে নেতিবাচক উক্তি শোনার অভিজ্ঞতা, অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা, শারীরিক কোনো প্রতিবন্ধকতা যা কাজে প্রভাব ফেলতে পারে এমন অনেক কিছুই এ রোগের কারণ হতে পারে।
সমাধান
নিজের সাথে সমঝোতায় আসুন। নিজেকে বলুন সবাই যদি নিজেকে মেলে ধরতে পারে তবে আপনি কেন নয়? নিজেকে বোঝান জীবন একটাই এবং তাকে উপভোগ করার সময় এখনই। নিজেকে সমৃদ্ধ করুন।
বই পড়ুন, বাইরে ঘুরতে যান। নিজের ভেতরকার পাথরের দেয়ালকে আস্তে আস্তে ভাঙুন। মনে রাখবেন এক্ষেত্রে আপনার নিজেকেই এগিয়ে আসতে হবে।
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই ভিন্ন। কেউই কারো মতো নয়। তাই আপনার সাতন্ত্র্য নিয়ে হীনমন্যতায় নয় বরং গর্ব করুন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।