লকডাউনের সময় মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে যেসব খাবার

লকডাউনের সময় মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে যেসব খাবার
লকডাউনের সময় মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে যেসব খাবার

করোনভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের অনেক জায়গাতেই এখন লকডাউন চলছে।  এতে  হঠাৎ করে  বদলে গেছে প্রতিদিনের রুটিন ।অনেকেই এখন বাড়িতে বসে কাজ করছেন। তবে বাড়িতে থাকলেও করোনা নিয়ে আতঙ্ক কমছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে শরীরের পাশাপাশি এ সময় মানসিক সুস্থতাও জরুরি।
লকডাউনের এ সময় চাপমুক্ত থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার যোগ করতে বলেছেন যা মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করবে।  যেমন-
১. হারবাল বা ভেষজ চা মন শান্ত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ক্যামোমিল চা মানসিক চাপ কমাতে দারুণ উপকারী।
২.  ডার্ক চকোলেট থাকা রাসায়নিক উপাদান মনের ওপর প্রভাব ফেলে। এটি সব বয়সীদের জন্যই উপকারী।  এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। তবে, উপকারী হলেও এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
৩. দিনের খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু রাখতে পারেন। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
৪.  ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ অ্যাভাকাডো মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ভূমিকা রাখে। এটি মনমেজাজ ভালো রাখতেও সাহায্য করে। ৫. সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা থ্রি মানসিক চাপ কমায়। তবে এ ধরনের মাছ না পেলে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নানা ধরনের বীজ, ফ্ল্যাক্সসিড, আখরোট খেতে পারেন।
৬. উদ্বেগের এই সময় অনেকেই ভালো ভাবে ঘুমাতে পারছেন না। এ কারণে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ খেতে পারেন। এটি ভালো ঘুমে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে মাংসপেশি শিথিল করে মনমেজাজ ভালো রাখেবে।
৭. বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। কোয়ারেন্টোইনে থাকার এই সময়  মানসিক চাপ কমাতে কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, আখরোট খেতে পারেন। বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। তবে একবারে খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়।
৮. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাউট্রাস ফল মানসিক চাপ কমাতে, উদ্বেগ দূর করতে সহায়তা করে। কমলা, জাম্বুরা, স্ট্রবেরি ভিটামিন সিয়ের দারুণ উৎস। তাই লকডাউনের এই সময় চাপ কমাতে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খেতে পারেন।
৯. প্রবায়োটিক স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের সঙ্গে মানসিক চাপ , উদ্বেগ, হতাশার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে পাকস্থলীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে নিয়মিত দই খেতে পারেন।
১০. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।এজন্য খাবারে তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, বেরি, শিম জাতীয় খাবার রাখতে পারেন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

Previous articleকরোনাভাইরাস: ভুল ধারণা নিয়ে যা বলছে ডব্লিউএইচও
Next articleমায়ের কাছ থেকেই বুদ্ধিমত্তা পায় শিশু: গবেষণা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here