আজ ২৮তম আন্তর্জাতিক এবং ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ বানী প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১৭ লাখ। তবে বেসরকারি নানা হিসাবে এ সংখ্যা দেড় কোটির মতো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১৫ শতাংশ মানুষ কোনও না কোনোভাবে ডিজঅ্যাবিলিটি নিয়ে বাস করছে। ডব্লিউএইচও’র হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা হবে অন্তত ১ কোটি ৬০ লাখ। এর মধ্যে মাত্র ১৭ লাখ মানুষকে সরকারিভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন হয়েছে ২০১৩ সালে। তবে গত ৬ বছরেও সংশ্লিষ্ট খাতের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবন্ধী নাগরিকের অধিকার ও সুরক্ষায় সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটা বড় অঙ্কের টাকা যায়। এর একটা অংশ সামাজিক সুরক্ষার আওতায় মাসে ৭৫০ টাকা করে প্রতিবন্ধীদের দেওয়া হচ্ছে। যা এ সময়ে খুবই অপ্রতুল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য দেশব্যাপী প্রায় এক হাজার ২০০টি কমিটি রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে থাকা দুটি কমিটির একটির সভাপতি সমাজকল্যাণমন্ত্রী, আরেকটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব। ৬৪টি জেলাসহ উপজেলা ও শহর পর্যায়ে থাকা এসব কমিটি পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য সদস্য সচিবের নেতৃত্বে কমিটি করা হয়েছে। সেটিরও বাজেট নেই। এ কারণে এসব কমিটির প্রতি তিন মাসে একটি করে মিটিং করার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয় না। ফলে সেগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।