সন্তান লালন-পালন এখন শুধু মা-বাবারই কাজ নয়। এবার সেটা ভাগ করে নিন আপনার সন্তানের দাদা-দাদী, নানা-নানীর সঙ্গেও। কারণ যেসব দাদা-দাদী নিজের নাতি নাতনীদের খেয়াল রাখে তারা অন্যদের তুলনায় বেশিদিন বাঁচতে পারে।
সম্প্রতি জার্মানির বার্লিনের এক গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নিয়মিত নয় মাঝে মাঝে শিশুদের যত্নআত্তি তাদের জন্য বেশি বেশি লাভজনক হতে পারে বলে জানিয়েছে জার্নাল ইভোলিউশন অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়ারে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রটি।
নাতি-নাতনীদের সঙ্গে কোনো রকমের যোগাযোগ না থাকলে সেটা দাদা-দাদীদের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব বাসেলের মনোবিজ্ঞানের ডক্টোরেট শিক্ষার্থী এবং এই গবেষণার প্রধান সনজা হিলব্র্যান্ড বলছিলেন এমনটাই।
৭০ বছর বয়সী প্রায় ৫০০ মানুষের উপর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য বের করেছেন তারা। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে প্রতি দুই বছর পরপর অংশগ্রহণকারীদের ইন্টারভিউ ও মেডিকেল টেস্ট করা হয়।
তবে এই গবেষণায় গবেষকরা সেই সব দাদা-দাদীদের অন্তর্ভূক্ত করেনি যারা তাদের নাতি-নাতনীদের পুরোপুরি খেয়াল রাখেন। শুধু তারাই এর গবেষণায় স্থান পেয়েছে যারা মাঝে মাঝে নাতি-নাতনীদের খেয়াল রাখেন।
তাছাড়া এই গবেষণায় সেই সব বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে তুলনা করা হয়েছে যারা কোনো না কোনোভাবে পরিবোরের বাইরের কেউ, বন্ধু বা প্রতিবেশীর বাচ্চার দিকে নজর রেখেছেন। আর অন্যদল কখনোই কারো যত্ন নেননি।
তবে মোটের উপর দাদা-দাদীদের বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং এই ২০ বছরে মৃত্যুঝুঁকির হার সেই সব দাদা-দাদীর থেকে বেশি যারা কখনো না কখনো নাতি-নাতনীদের সেবা দিয়েছেন। যেসব দাদা-দাদীরা নাতি নাতনীর খেয়াল রাখেন তারা গবেষণা শুরুর ১০ বছর পরেও জীবিত ছিলেন আর যারা খেয়াল রাখেননা তারা গবেষণা শুরুর পাঁচ বছরের মধ্যেই মারা যান।
গবেষণার সঙ্গে মোটেও সম্পর্কযুক্ত না হলেও বার্সেলোনার পমপেও ফাব্রা ইউনিভার্সিটির ব্রুনো আরপিনো মনে করেন, কারো যত্নআত্তি করা জীবনকে একটি নতুন উদ্দেশ্য দেয়, পাশাপাশি তা অন্যদের জন্য এবং সমাজের জন্যও খুবই উপকারি।