অভিযোজন বৈকল্য বা এ্যাডজাস্টমেন্ট ডিসঅর্ডার, প্রতিক্রিয়ার বৈকল্য হিসেবেও পরিচিত| যখন একজন মানুষ খাপ খাইয়ে, সমন্বয় করে চলতে পারে না বা কোন সাহায্য বা চিকিৎসা ছাড়া জীবনের কষ্টগুলো থেকে নিজেকে ফিরিয়ে আনতে পারে না, তখন এই বৈকল্য দেখা দেয়। মেজাজের রোগ বা বেশীরভাগ উদ্বিগ্নতার রোগ অভিযোজন বৈকল্য থেকে ভিন্ন কারন, এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোন ঘটনা সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
অভিযোজন/সমন্বয় বৈকল্য-এ ভুগছেন একজন ব্যক্তির মধ্যে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ
- দুঃখবোধ
- হতাশা
- উপভোগ করতে না পারা
- দুঃশ্চিন্তা
- বেপরোয়াভাব
- ঘুমের সমস্যা
- প্রায়ই কান্নাাকাটি করা
- নার্ভাসনেস/ স্নায়বিক
- উদ্বিগ্নতা
প্রায়ই কোন ক্ষতি বা জীবনে কোন বড় রকমের পরিবর্তনের যেমন: কোন সম্পকের্র সমাপ্তি, বন্ধু বা ভালবাসার মানুষের মৃত্যু, চাকরী হারানো বা পরিবর্তন, স্থান পরিবর্তন, অর্থনৈতিক সংকট বা সনত্মানদের বাসা ছেড়ে যাওয়া ইত্যাদির পর ব্যক্তির জীবনে এই সমন্বয় বৈকল্য বা এ্যাডজাস্টমেন্ট ডিসঅর্ডার দেখা যায়।
গড়পড়তা সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতার তুলনায় এই রোগের লক্ষনগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় হলে বা বেশী দীর্ঘস্থায়ী হলে, সেটাকে অভিযোজন বৈকল্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একটি জনসংখ্যার প্রায় ৫-১০% মানুষ কোন না কোনরকম অভিযোজন বৈকল্যে ভুগে থাকে, কিন্তু তাদের অনেকেরই হয়তো কখনোই ভুল রোগ নির্নয়ের মুখোমুখি হতে হয় নি বা রোগ নির্নয় করাই হয়নি অথবা অনেকে আবার অ্যালকোহল (মদ) বা মাদকের মাধ্যমে এটাকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করেন। এই বৈকল্যে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ যারা অভিযোজন বৈকল্যে ভুগছেন তারা প্রায়ই বন্ধুদের মুখে “এই বিষয়টা ছাড়ো এবার” অথবা “সামনে আগাও”- এই ধরণের মন্তব্য প্রায়ই শুনে থাকেন।কিন্তু এই বিষয়ে ধারনা ছাড়াই বন্ধুরা ভালো চিনত্মা করে বলেন ।
কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি এবং ক্লায়েন্ট কেন্দ্রিক চিকিৎসার সমন্বয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক বহির্বিভাগীয় চিকিৎসার মাধ্যমে দি কেবিন এ অভিযোজন বৈকল্যের চিকিৎসা কার্যক্রম তৈরি করা হয়েছে । সাধারণত: অভিযোজন বৈকল্যের চিকিৎসায় ঔষধের প্রয়োজন হয় না এবং আমরা দেখেছি যে একমাস ব্যপী সপ্তাহে এক থেকে দু’টি সেশনই সাধারনতঃ আমাদের ক্লায়েন্টদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া এবং তাদের জীবনকে সামনে আগানোর জন্য যথেষ্ট।