নিজেকে যত্নে রাখার টিপস

1
26
বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডার

জীবনের অনেকটা সময় কেটে যায় অন্যের সঙ্গে সম্পর্কের ভাল-মন্দ নিয়ে। কখনও অনেক চেষ্টা করেও সম্পর্ক ভাঙে আবার কখনও অনেক চেষ্টার পরে সম্পর্ক জোড়া লাগে ঠিকই, কিন্তু এই গোটা প্রক্রিয়ায় অনেকটা শক্তিক্ষয় হয়। আর এভাবে আস্তে আস্তে নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্কটা যত খারাপ হয়, ততই হতাশা, ডিপ্রেশন চেপে বসে মনের মধ্যে।
আপনি ভাল থাকবেন না খারাপ থাকবেন, তার জন্য অন্য কেউ নয়, সবার আগে দায়ী আপনি নিজে। তাই নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্কটা ঠিক রাখতে হয় সব রকম পরিস্থিতিতে। প্রতিদিন নিজেকে একটু যত্ন করতে হয়, যাতে শরীর ও মন দুই ভাল থাকে। তেমন ৭টি টিপস রইল নিচে-
১. দিনের শুরুটা হওয়া উচিত এক্সারসাইজ দিয়ে। হেভি ওয়র্কআউটের দরকার নেই সকালে। হালকা ফ্রিহ্যান্ড, একটু জগিং বা মর্নিং ওয়াক। কোনও কিছু না পারলে, সকালে উঠে, বারান্দায় বা খোলা আকাশের নিচে অন্তত আধঘণ্টা সময় কাটান। মনটা ফ্রেশ হতে বাধ্য। আর দিন শুরু করার জন্য এই ফ্রেশ মুডটা খুব দরকার।
২. মানুষের শরীরের সবচেয়ে মৌলিক প্রয়োজন হল খাবার। অপরিকল্পিত ডায়েটে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা যেমন বেশি, তেমনই তা ডিপ্রেশনেরও কারণ। প্রথমত, সকালে উঠে এমন কিছু খাওয়া উচিত যা শরীরের পক্ষে ভাল। দিনের অন্যান্য খাবারগুলোর মধ্যে অন্তত একটা কমফর্ট ফুড রাখা প্রয়োজন।
৩. বাড়িতে থাকুন বা বাইরে বেরোন, যেমন পোশাকে, যেমন সাজে নিজেকে দেখতে ভাল লাগে, তেমনটা সেজে ফেলুন। তা যদি হয় মেকআপ এবং জাঙ্ক জুয়েলারি, তবে তাই। আবার তা যদি হয় ফ্রেশ টি-শার্ট আর শর্টস, তবে তাই-ই। বাসি কাপড় ছেড়ে ফ্রেশ জামাকাপড় পরার নিয়মটা শুধুই সংস্কার বা আচার-বিচার নয়। এর একটা ভাল দিকও রয়েছে। নিজেকে যত্ন করার ওটা একটা ধাপ।
৪. দিনে একবার মেডিটেশন করাটা খুব জরুরি। প্রথম প্রথম মনোঃসংযোগ করাটা শক্ত। একটু একটু করে সময় বাড়ান। নিতান্তই ধৈর্যে না কুলোলে, একটু চুপ করে কিছুক্ষণ বসে থাকুন, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করুন।

৫. মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকুন দিনের মধ্যে কিছু ঘণ্টা, বিশেষ করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটা খুবই প্রয়োজন। এই সময়টা হয় বই পড়ুন, নয়তো গান শুনুন বা সিনেমা দেখুন।
৬. প্রতিদিনই আমাদের কিছু না কিছু অপ্রীতিকর বিষয়ের সঙ্গে যুঝতে হয়। সেটা হতে পারে অন্য সম্পর্কের টানাপোড়েন, আর্থিক সমস্যা অথবা পেশাগত টেনশন। যখনই তেমন কোনও কিছু ঘটে, অনুভূতিপ্রবণ মানুষেরা অত্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে যান। সব সময় সব সমস্যার সুরাহা হয়ও না। কিন্তু নিজের মনকে যত্ন না করলে তেমন পরিস্থিতি থেকে বেরনোও কঠিন হয়। এই সময়গুলোয় একান্তে নিজেই নিজের কাউন্সেলিং করুন, গান শুনুন বা হেঁটে আসুন এক পাক।
৭. যত জ্ঞানের পরিধি বাড়বে, ততই বাড়বে আত্মবিশ্বাস। তাই নিজেকে যত্ন করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, বই, ম্যাগাজিন, গুগল সার্চে প্রতিদিনই কিছু না কিছু নতুন শেখা।
সূত্র: এবেলা

Previous articleসুস্থ সম্পর্ক গড়তে প্রয়োজনীয় উপকরণ
Next articleনারী-পুরুষের মানসিক পার্থক্য

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here