আমি মিজানুর রহমান। আমার ছেলে আবিদ। বয়স ১২ বছর। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। প্রায়ই সে আমার মানিব্যাগ থেকে না বলে টাকা নিয়ে যেত। বিষয়টা প্রথমে আমরা বুঝতে পারিনি। একদিন সন্দেহ হওয়ায় তাকে আমি জিজ্ঞাসা করি। কিন্তু সে অস্বীকার করে, এজন্য তাকে মারধর করি। তবুও তার না বলে টাকা নেওয়ার অভ্যাস যায়নি। এখন সে পড়াশোনাও করে না, স্কুলে যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছে। আমরা তাকে নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। শাসন করে কোনো লাভ হচ্ছে না, বরং আরো খারাপ হচ্ছে। আমাদের কী করা উচিত? কীভাবে সে ভালো হবে পরামর্শ দেবেন।
অধ্যাপক এম এস আই মল্লিক: ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। আপনার শিশুর যে বিবরণ দিলেন তাতে মনে হচ্ছে, তার আচরণগত সমস্যা আছে। যাকে বিব্রতকর অবাধ্য আচরণ বলা যেতে পারে। এ আচরণ হয়তো অবাধ্যতা দিয়ে শুরু হয়েছিল। এখন টাকা-পয়সা কুড়িয়ে নেওয়ার মধ্যে চলে গেছে, কথাও শুনছে না। এজন্য আপনারা যে কৌশলে তাকে শাসন করছেন সেটাও আমাদের যথার্থ মনে হচ্ছে না। কারণ, বকাঝকা দিয়ে এবং মারধর করে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা যায় না। দরকার হচ্ছে বাবা-মার সাথে সন্তানের দৃঢ়তা এবং ভালোবাসার একটি সম্পর্ক। আপনার শিশুটিকে কীভাবে পরিচালনা করবেন সেটা জানার জন্য আপনাদের প্যারেন্টিং বা পিতা-মাতার যথার্থ ভূমিকা কী এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন। আর এই শিশুটির জন্য দরকার আচরণগত চিকিৎসা। তাই আপনার শিশুর এই চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কোনো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বা কোনো হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগে দেখান। আশা করি এতে উপকার পাবেন।