মেডিটেশন যেভাবে আপনার ব্রেইনকে সহায়তা করে

0
46

মেডিটেশন হচ্ছে মনের ব্যায়াম। নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন বাড়ায় মনোযোগ, সচেতনতা ও সৃজনশীলতা। খুলে যায় মনের সব জট। সৃষ্টি হয় আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। হতাশা ও নেতিবাচকতা করে দূর। মেডিটেশনের ফলে অবিশ্বাস্য ভাবে স্নায়বিক সফলতা পাওয়া যায়।
মেডিটেশন আপনাকে নানা ভাবে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনাকে সহয়তা করে।
০১. বয়স্ক মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে: যারা দীর্ঘদিন যাবৎ মেডিটেশন করেন, তাদের ব্রেইন নন মেডিটেশনদের চেয়ে বেশি সুস্থ। তাদের ব্রেইনের ধূসরতার যে ঘনত্ব, সেটাও অন্যদের চেয়ে বেশি। এটি বয়স্ক মানুষের মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
০২. দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়: দুশ্চিন্তা মানুষের মনকে হতাশায় ফেলে দেয়। মনের ভুল চিন্তায় অনেক সময় ভাল কিছু সৃষ্টি হয়। কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তা হলে তা, মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। মেডিটেশনের ফেলে দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়।
০৩. মস্তিষ্কের গঠন পরিবর্তন করে: মেডিটেশন ব্রেইন হিপক্যামপাসের করটিকাল ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। যা কিনা মানুষের স্মৃতি ও শিক্ষণের সাথে জড়িত। এছাড়াও এমিগডালার সেল এর ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। যা মানসিক চাপ, ভয় ও হতাশা তৈরি হওয়ার জন্য দায়ী।
০৪. মনোযোগ এবং একাগ্রতা বাড়ায়: মেডিটেশন মানুষের চিন্তাশীলতার দক্ষতাকেও বাড়িয়ে দেয়। এতে করে একজন মানুষ সহজেই কোন কাজে মনোনিবেশ করতে পারে।
০৫. সামাজিক দুশ্চিন্তা কমায়: শারীরিক ও মানসিক চাপও কমায় মেডিটেশন। এবং সেই সঙ্গে সামাজিক দুশ্চিন্তা থেকেও অনেকটা মুক্তি দেয়।
০৬. মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি: মেডিটেশন মানুষকে মাদকাসক্তি থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। কারণ, মেডিটেশনের ফলে মানুষ নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মেডিটেশিন করে তারা সহজেই ধূমপান ত্যাগ করতে পেরেছে।
 
তথ্যসূত্র: সাইক সেন্ট্রাল।
অনুবাদটি করেছেন সুস্মিতা বিশ্বাস।

Previous articleকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে পারবে?
Next articleআমার ব্যাথা কি কখনো ভালো হবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here