মানসিক স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে

0
20

মানসিক স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করে রাষ্ট্র কখনও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। তাই মানসিক স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির তাগিদ দেন সংশ্নিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয় প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

গতকাল রবিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ)।

ডিআরআরএ’র উপদেষ্টা স্বপনা রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক শামসুদ্দীন ইলিয়াস, সমকালের প্রধান প্রতিবেদক লোটন একরাম এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব তানভীন সুইটি। বিষয়বস্তুর ওপর ডেইলি সানের জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মেহেদী হাসান ও ডিআরআরএর ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট কনসালট্যান্ট জিয়ানুর কবিরের দুটি ধারণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।

ধারণাপত্রে বলা হয়, করোনাকালীন পরিস্থিতি ও তার পরবর্তী অবস্থায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিশেষ জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়। ফলে এ-বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। ৩৪টি যৌথ গবেষণার ফলাফল বলছে, ২৪ থেকে ৮৭ শতাংশ করোনা রোগী কভিড-পরবর্তী অবসাদজনিত রোগে ভুগছেন, ৬ দশমিক ৫ থেকে ৬৩ শতাংশ উদ্বেগজনিত সমস্যার ভুগছেন, ৪ থেকে ৩১ শতাংশ হতাশায় ভুগছেন এবং ১২ দশমিক ১ থেকে ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ আঘাত-পরবর্তী উদ্বেগে ভুগছেন।

২০১৮ থেকে ২০১৯ সালে করা এক জরিপমতে, বাংলাদেশে প্রায় ১৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১৪ শতাংশ শিশুর মানসিক সমস্যা দেখা যায়। বাংলাদেশ সরকার মানসিক স্বাস্থ্যকে ১০টি প্রধান সমস্যার একটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। অথচ এই খাতে বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের দশমিক ৫ শতাংশ। যার অধিকাংশ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং পাবনা মানসিক হাসপাতালে খরচ হয়।

তাসমিমা হোসেন বলেছেন, এখন ব্যক্তি মানুষ থেকে শুরু করে সমাজ ও প্রতিষ্ঠানে কিছু ক্ষেত্রে অসুস্থ মানসিকতা এবং উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দেখা যায়। তা বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

অধ্যাপক শামসুদ্দীন ইলিয়াস বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বরাদ্দ। এতে বোঝা যায় দেশে মানসিক স্বাস্থ্য কতটা উপেক্ষিত।

সভাপতির বক্তব্যে স্বপনা রেজা বলেছেন, জীবনমান উন্নয়নের জন্য যেমন, তেমনই প্রয়োজন নানান সামাজিক প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত অপরিহার্য একটি বিষয়।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মন

Previous articleযৌনতা একটি নিয়মতান্ত্রিক বিনোদন
Next articleবিশ্বব্যাপী ১০-২০% কিশোর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here