করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি এখবর জানিয়েছে।
অক্সফোর্ডের নিউফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথের গবেষক ডেভিড আইরের মতে, পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি কমছে মানেই কোভিড প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি টিকে থাকার সময় বাড়ছে। এটিই এই গবেষণার সবচেয়ে ভালো দিক।
তার মতে, সংক্রমণ সারিয়ে ওঠার পরে যদি ৬ মাস অ্যান্টিবডি রক্তে থেকে যায় তাহলেই ভাইরাল স্ট্রেন আর নতুন করে রোগ ছড়াতে পারবে না।
করোনার পুনরায় সংক্রমণ নিয়ে এক গবেষণা পরিচালনা করছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের পর্যবেক্ষণে গবেষকরা দেখেছেন, পুনরায় সংক্রমণ কীভাবে হানা দিচ্ছে শরীরে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে গবেষকরা বলেছেন, শুরুতে যতটা উদ্বেগ ছিল, এখন তা কমেছে। দেখা গেছে, করোনা সারিয়ে ওঠার অন্তত ৬ মাস অবধি ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারবে না।
১১ হাজার ৫২ জন রোগীর উপরে পরীক্ষা করেই এই সিদ্ধান্তে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। সায়েন্স জার্নালে এই গবেষণার কথা প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১ হাজার রোগীর মধ্যে ৮৯ জন যাদের রক্তে অ্যান্টিবডি ছিল না তারা ফের আক্রান্ত হয়েছেন এবং সংক্রমণের উপসর্গও রয়েছে।
অন্যদিকে, ১ হাজার ২৪৬ জন রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এদের রক্তে করোনার অ্যান্টিবডি ছিল, তার পরেও সংক্রমণ হয়েছে এবং রোগীরা উপসর্গহীন। বাকি রোগীদের বেশিরভাগেরই রক্তে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং তাদের ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা নেই।
গবেষকরা বলছেন, ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাই অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বও বাড়ছে। অন্তত পাঁচ থেকে সাত মাস টিকে থাকছে অ্যান্টিবডি। যদি রোগীর শরীরে কোনও ক্রনিক রোগ বা জটিল সংক্রমণজনিত রোগ না থাকে তাহলে এই অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব আরও বাড়বে বলেই দাবি গবেষকদের।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে