হাসিখুশি ক্লাসরুমের জন্য সাতটি কৌশল

0
94

হাসিখুশি ভরা একটা ক্লাসরুম শিশুদের পড়াশোনা, তাদের অনুভূতি এবং সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়।

যে সব বাচ্চারা প্রতিদিন স্কুলে যায় তাদের ক্ষেত্রে দিনের একটা বড় সময় কাটে ক্লাসরুম বা শ্রেণিকক্ষে। শিক্ষাদান এবং শিক্ষা পাওয়ার জন্য স্কুলের ক্লাসরুম একটা উপযুক্ত জায়গা। এই কারণে ক্লাসরুমের নিরাপত্তা, খুশি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে সাতটি কৌশলের কথা বলা হল যার  সাহায্যে একজন শিক্ষক একটা ইতিবাচক শ্রেণিকক্ষ বা ক্লাসরুম তৈরি করতে পারেন। সেগুলি হল-
১. ‘খুব ভালো হয়েছে’-এই বলে বাচ্চাদের প্রশংসা করা:
বাচ্চাদের নিখুঁত কাজ ও আচরণের প্রশংসা করার জন্য একজন শিক্ষক অপেক্ষা করতে থাকেন। অনেকসময়ে শিক্ষকদের মন এতটাই খুঁতখুঁতে হয় যে তারা ছোট ছোট কাজের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশংসা করতেই পারেন না। এর বদলে শিক্ষকরা যদি শিশুদের কাজের একটু প্রশংসা করে তাহলে কি বাচ্চাগুলো তাদের লক্ষ্যপূরণের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে না?
কেন ব্ল্যানচার্ডের ‘হোয়েল ডান’ বইতে বলা হয়েছে যে ‘দারুণ হয়েছে’ বা ‘ভালো হয়েছে’-এসব প্রশংসাসূচক বাক্য মানুষে-মানুষে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং তার শক্তিবৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই নিয়ম শিক্ষক, অভিভাবক, বাচ্চা বা যে কোনও মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এই বইতে একটা সুন্দর কথা বলা হয়েছে যার মূল বক্তব্য হল প্রশংসা হল উন্নতির সহায়ক, চলমান লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা অন্যতম মাধ্যম। এই ‘হোয়েল ডান’-এর অর্থ হল-

  • ছাত্রছাত্রীরা যখনই ভালো কিছু কাজ করে বা আচরণ করে তৎক্ষণাৎ তাদের প্রশংসা করা জরুরি
  • ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক কাজকে নির্দিষ্টভাবে প্রশংসা করা প্রয়োজন।
  • বাচ্চারা যে ভালো কাজ করেছে তার সঙ্গে শিক্ষকদের ইতিবাচক অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া উচিত।
  • ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করার জন্য শিশুদের উৎসাহ দেওয়া দরকার।

২. ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক ‘দ্বিমুখী’ হওয়া কাম্য
ছাত্র-শিক্ষকের পারস্পরিক সম্পর্কে শিক্ষকের আচরণের ক্ষেত্রেও সচেতনতা প্রয়োজন। দু’জনের পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকের সচেতন আচরণ একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • শিশুদের দোষারোপ না করে তাদের ভুল বা সমস্যাগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষককে বলতে হবে।
  • ভুলের নেতিবাচক ফলাফলের কথাও ব্যাখ্যা করা জরুরি।
  • যদি মনে হয় বাচ্চারা সঠিক কাজ করেছে তাহলে শিক্ষকদেরও নিজেদের ভুল শিকার করতে হবে (উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- ‘আমি দুঃখিত, আমি নির্দেশগুলো পরিষ্কার করে বোঝাতে পারিনি’)।
  • এরপর শিক্ষককেও নির্দেশগুলো খুঁটিয়ে দেখতে হবে এবং পরিষ্কারভাবে বোঝাতে হবে।
  • ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি শিক্ষকের বিশ্বাস এবং ভরসা অটুট রাখতে হবে।

৩. নিজেকে প্রশ্ন করা:
যখন একজন শিক্ষক শিক্ষকতা পেশার প্রতি দায়বদ্ধ থাকেন তখন তাঁর নিজেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আর এভাবেই একজন শিক্ষককে দেখে অন্য শিক্ষকরাও এই আচরণ করতে অনুপ্রাণিত হয়। একজন শিক্ষকের নিজেকে করা প্রশ্নগুলি হল-

  • একজন ছাত্রের মূল্যবোধ এবং দৃষ্টিভঙ্গির উন্নতির জন্য আমার (শিক্ষকের) মূল্যবোধ এবং দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত?
  • ছাত্রদের জীবনযুদ্ধে লড়াই করার কৌশলের বিকাশ ঘটানোর জন্য অর্থাৎ তাদের আবেগঘটিত সমস্যা ও অন্যান্য নানা সমস্যার সমাধানের জন্য আমার কী ধরনের দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন?
  • কীভাবে আমি একজন ছাত্রের পড়াশোনা এবং তার অনুভূতিগত সুস্থতার মধ্যে একটা ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারব?
  • আজ থেকে কুড়ি-তিরিশ বছর পর কীভাবে আমি চাই যে আমার ছাত্ররা আমাকে মনে রাখুক?

এইসব প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে একজন শিক্ষকের শিক্ষাদানের সার্থকতা।
৪. ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের মধ্যে চাই সুস্থ সীমারেখা:
বাড়ি এবং ক্লাসরুম দুই জায়গাতেই শিশুদের জন্য চাই এমন একটা সীমারেখা থাকা যেখানে তারা স্বচ্ছন্দ বোধ করবে। আমার মনে পড়ে গেল একটি বাচ্চার কথা যে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরে বলেছিল – “আমি তার বাড়িতে ফিরতে চাই না, কারণ আমার বাড়িতে শৃঙ্খলার খুব অভাব।” একথা বলার মধ্য দিয়ে বাচ্চাটি বোঝাতে চাইছিল যে বাড়িতে কেউ তার কাজকর্মের সীমারেখা যত্ন করে বেঁধে দেয়নি। একজন বাচ্চার জীবনে চাই যথেষ্ট নিরাপত্তা এবং বড়দের যথাযথ যত্ন। আর নিজের সীমারেখা জানা থাকলে একজন শিশু তার জীবনের লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হয়।
ক্লাসরুমের সীমারেখার ভূমিকা একটু অন্যরকম হয়। যেমন- নিচু ক্লাসের শিক্ষকরা ক্লাসরুমের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বাচ্চাদের কাছ থেকে অল্প সাহায্য নিয়ে ‘ট্রাফিক আলোর’-র মতো নিয়মকানুন তৈরি করে। যেমন- লালা আলোর ক্ষেত্রে বড় এবং ছোটদের একই নিয়ম। যেমন- ”কাউকে মারার জন্য আমরা আমাদের হাত ব্যবহার করব না।” হলুদ আলোর ক্ষেত্রে বড় এবং ছোটদের নিয়ম কিছুটা আলাদা। যেমন- ”যখন ক্লাসে পড়াশোনা চলবে তখন কেউ ক্লাসরুমের ভিতরে ঘুরে বেড়াবে না ও অন্যকে বিরক্ত করা চলবে না।” সবুজ আলো মানে বাচ্চাদের জন্য অফুরন্ত স্বাধীনতা। যেমন- শিক্ষক ছাত্রকে তার নিজের পছন্দ মতো কিছু লিখতে বা আঁকতে দেবে অথবা কোনও প্রশ্ন করবে এবং নিজেদের চিন্তাভাবনা ও মতামত ভাগ
করে নেবে।
ছাত্ররা যখন নিচু ক্লাস থেকে আর একটু উঁচু ক্লাস এবং পরে আরও উচ্চতর ক্লাসে উঠবে তখন ক্লাসরুমের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গড়ে ওঠা চুক্তিতে ছাত্ররা প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করবে (যেমন- ”নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে ঢোকার নিয়ম”) এবং এর ফলাফলও ভোগ করবে।
৫. শিক্ষাদানের প্রক্রিয়ায় ছাত্র-শিক্ষকের মিলিত অংশ্রহণ:
শিক্ষকরা সাধারণত পরীক্ষার ফলাফলকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। কিন্তু এর সঙ্গে একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাদান এবং শিক্ষণের (টিচিং-লার্নিং) সামগ্রিক প্রক্রিয়া। একটি সাত বছরের বাচ্চা একবার তার অভিভাবককে বলেছিল যে “স্কুলে যাওয়ার মানে হল ডানায় আঘাত না হওয়া একটি পাখীকে আহত করা”। এই উপমার মধ্য দিয়ে বাচ্চাটি বোঝাতে চেয়েছিল যে শেখার আনন্দ বাচ্চারা উপভোগ করতে পারে না। কারণ শিক্ষক তাঁর নিজের মতো করে শেখাতে চায় যেখানে শিক্ষার্থীদের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
শেখার প্রক্রিয়ায় যখন বাচ্চারা পুরোপুরি অংশগ্রহণ করতে পারে তখনই তাদের কাছে শিক্ষা আনন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তবে মনে রাখা ভালো যে, শিশুদের শেখার ধরনটা আলাদা। এক্ষেত্রে হাওয়ার্ড গার্ডনার-এর বক্তব্য খুবই উল্লেখযোগ্য- ”একটা বাচ্চা কতটা শিখল তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সেই শেখা তারা কীভাবে প্রয়োগ করছে।”
৬. একজন ছাত্রের দোষ অন্য আরেকজন ছাত্রের ঘাড়ে চাপানো চলবে না:
প্রত্যেক স্কুলে এবং প্রায় প্রতিটি ক্লাসে একদল ‘যত দোষ নন্দ ঘোষের’ মতো ছাত্ররা থাকে। এই ধরনের ছাত্র তারাই হয় যারা-

  • অন্য ছাত্রদের খারাপ আচরণ এবং দোষের ভাগিদার হয়।
  • এই ধরনের ছাত্ররা সাধারণত অন্যের কুকর্মের দ্বারা ফেঁসে যায় এবং এই বিষয়ে তাদের সচেতনতা থাকে না।
  • অন্যের দোষ এদের ঘাড়ে আস্তে আস্তে চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং এটাই পরে খুব খারাপ আচরণ বলে বিবেচ্য হয়। যারা নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপায় তারা দূরে দাঁড়িয়ে শুধু মজা দেখে।
  • এই ধরনের ছাত্ররা দোষ না করেও দোষী হয়ে যায় এবং শিক্ষকের কাছে এদের দেওয়া কোনও যুক্তিই গ্রাহ্য হয় না। শুধু তারা এটুকুই বলার সুযোগ পায় যে অন্যায় করা শুরু করেছিল অন্যজন। তবে তাদের এই যুক্তি শিক্ষক বিশ্বাস করেন না।

এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকের উচিত চোখ-কান খোলা রেখে দেখা এবং শোনা ও নিজের যথাযথ বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করা। সমস্যাটা বোঝার জন্য ক্লাসের সমস্ত পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অ্যাম্পায়ারের ভূমিকা পালন করা একজন শিক্ষকের পক্ষে একেবারেই সঠিক কাজ নয়। প্রত্যেক ছাত্রকে প্রশ্ন করে একটা সঠিক ধারণা করাই শিক্ষকের প্রধান দায়িত্ব। এক্ষেত্রে নিজস্ব মতামত দেওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
৭. প্রতিফলন:
ডাক্তার থমাস গর্ডন তাঁর লেখা বই ‘টিচার এফেক্টটিভনেস ট্রেনিং’-এ শিক্ষকদের সহজাত সমস্যা এবং ছাত্রদের সহজাত সমস্যার ধারণা দিয়েছেন। শিক্ষকের উচিত তাঁর ‘সহজাত বা নিজস্ব’ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা। শিশুর আচরণ কি শিক্ষকের অনুভূতিতে আঘাত করছে এবং তাঁর চাহিদায় হস্তক্ষেপ করছে কি? যেমন- ছাত্রের আচরণ এবং ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে নিজের (শিক্ষকের) সাফল্য যুক্ত কি? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে তা পুরোপুরি শিক্ষকের নিজের সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য তিনটি উপায় রয়েছে-

  • ছাত্রের আচরণ বদলানো- যদি ছাত্রের আচরণ কোনও সমস্যা হয় তাহলে তার বাবা-মাকে পরামর্শ দেওয়া উচিত নয় যে স্কুল থেকে ওই ছাত্রকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রে ভালো হল ছাত্রকে তার সমস্যার কথা বলা এবং ছাত্রের আচরণে শিক্ষকের কী সমস্যা হচ্ছে সেকথা বোঝানো। তবে ছাত্রকে ভয় দেখানো বা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করা ঠিক নয়। যেমন- তাকে বলতে হবে ”আমি তখন রেগে গিয়েছিলাম যখন তুমি ক্লাসে জোকার সেজে আমার পড়ানোর সময়ে বিরক্ত করছিলে”। এভাবেই ছাত্র-শিক্ষকের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে সততা এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকে। আর এভাবে দীর্ঘ সময় চললে দুজনের সম্পর্ক অটুট হয়ে যায়। বড়দের একটু ভালোবাসা এবং স্নেহ একজন বাচ্চার আচরণে প্রভূত পরিবর্তন আনতে পারে। যদি সমস্যাটা ছাত্রের তরফে হয় তাহলে তাকে তার সমস্যা সমাধান করার জন্য সাহায্য করতে হবে এবং সে যাতে খারাপ আচরণ না করে সেদিকে নজর রাখা জরুরি। এই বিষয়টা অনেকটা সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার মতো। এক্ষেত্রে শিক্ষককে এমন একটা ডায়েরি ব্যবহার করতে হয় যেখানে ছাত্রের দোষ ত্রুটির বদলে তার অভিভাবকের প্রতি শিশুর ইতিবাচক আচরণ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলতে পারে।
  • পরিবেশের বদল ঘটানো- সৃষ্টিশীলতার সঙ্গে পরিবেশের পরিবর্তন করা জরুরি। সাধারণত শিক্ষা ব্যবস্থায় সবাই অংশ নিতে পারে। তাই প্রত্যেকের উচিত নিজের বেঠিক আচরণগুলো শুধরে নেওয়া। তাই প্রত্যেক শিক্ষক এবং প্রত্যেক ছাত্র অনন্য এবং ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কও তাই চলমান এবং সদা পরিবর্তনশীল হওয়া জরুরি।
  • নিজেকে বদলানো- এই প্রসঙ্গে পিএইচডিধারী লেখক লিও এফ বাস্কাগলিয়া-র বই ‘লিভিং,লাভিং অ্যান্ড লার্নিং’-এর উদাহরণ টানা যেতে পারে। তাঁর জিজ্ঞাসা ছিল- ”তুমি প্রিয় শিক্ষক হতে চাও না ভালো মানুষ হতে চাও?” তিনি আরও বলেছিলেন যে শিশুরা ব্যক্তি বা মানুষের সাথে নিজেদের চিন্‌হিত করে। শিক্ষক যেহেতু বেশিরভাগ সময় একটি ভুমিকা পালন করে থাকেন তাই শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ গরে তুলতে শিশুদের সমস্যা হয়। তাই প্রিয় শিক্ষকের চাইতে কিছুটা বেশি হওয়ার চেষ্টা করা উচিত আমাদের।

সবশেষে বলতে চাই যে, ছোটদের থেকেও আমাদের অনেক শেখার আছে। তারা আমাদের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তারা তাদের আচরণের মাধ্যমে বার্তা দেয় কীভাবে তাদের সাথে ব্যবহার করা উচিত। শিক্ষক হিসেবে একজনের উচিত নিজেকে প্রশ্ন করা যে সে একজন উৎসাহী শিক্ষার্থী কিনা। এবং এভাবেই শিক্ষাদানের গুণমানের দিকে একজন শিক্ষকের খেয়াল রাখা জরুরি। যে শিক্ষক জ্ঞানী, তাঁর সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তিনি খুব সংগঠিত হন, আচরণে আত্মবিশ্বাসী থাকে এবং যে কোনওরকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তাঁর থাকে। শিক্ষক তাঁর চিন্তা এবং মানসিক উদারতা দিয়ে সমগ্র বিরূপ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ছাত্রই  একজন প্রকৃত শিক্ষকের এই গুণাবলী বুঝতে পারে। একজন শিক্ষক সম্মান অর্জন করতে চান এবং তাঁর সমস্ত শক্তি দিয়ে ছাত্রের ধ্বংসাত্মক আচরণ প্রতিহত করাই তাঁর প্রধান দায়িত্ব।

লেখক পরিচিতঃ ফিলিস ফারিয়াস, এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট , ব্যাঙ্গালোর।

Previous articleশিশু ও বয়ঃসন্ধিদের অবসাদ এবং উদ্বেগঃ পর্ব-২
Next articleমানসিকভাবে শক্তিশালী নারীরা যেসব কাজ করে না

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here