গাছ আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কিন্তু শহুরে মানুষ দিনের অধিকাংশ সময় ঘরের ভেতরে কাটান বলে গাছের সংস্পর্শে আসার সুযোগ খুব কমই হয়। তাই দ্যা রয়্যাল হর্টিকালচার সোসাইটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাইরের পরিবেশ যদি ঘরের ভেতরে তৈরি করা হয়, তবে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব।
গাছ আমাদের স্ট্রেস কমায়, মুড ভালো করে এবং দূষিত বাতাস ফিল্টার করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায়, যেসব দফতরে গাছ রয়েছে- সেখানে কর্মচারীরা বেশি কাজ করে। একইভাবে হাসপাতালের ওয়ার্ডে গাছ থাকলে রোগীরা তুলনামূলক বেশি ব্যথা সহ্য করতে পারে।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গাছ ফিল্টার করে বাতাস পরিষ্কার করে। যেখানে বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মারা যায়।
আরএইচএস প্রিন্সিপাল হর্টিকালচার অ্যাডভাইজর লেইফ হান্ট বলেন, ঘরের ভেতরে গাছ সৌন্দর্য বাড়ায়, পাশাপাশি এর অনেক উপকারও রয়েছে। স্পাইডার প্ল্যান্ট বা কমন ইংলিশ এক্ষেত্রে সঠিক পছন্দ।
আরএইচএস’র বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, গাছের সবচেয়ে বড় উপকার মানসিক ক্ষেত্রে। গাছ আমাদের স্ট্রেস, উদ্বিগ্নতা ও চূড়ান্ত ক্লান্তি দূর করে। একইসঙ্গে মনোযোগ বৃদ্ধি করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
এ প্রসঙ্গে একটি জার্নালে লিখতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেন, দ্যা রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ানের গবেষণায় উঠে এসেছে, ‘ইনডোর এয়ার পলিউশন’ এর কারণে প্রতি বছর ইউরোপে ৯৯ হাজার মানুষ মারা যায়।
রসুঁই ঘরের পণ্য, কীট-পতঙ্গনাশক স্প্রে, এয়ার ফ্রেশনার ইত্যাদির কারণে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বায়ু দূষিত হয়। এর ফলে চোখ, নাক ও গলায় নানা সমস্যা, মাথা ব্যথা, ত্বকে সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট হয়।
নাসা গবেষক দলের মতে, গাছ তার পাতার সাহায্যে এসব ক্ষতিকর কেমিকেল পর্যন্ত শোষণ করে নেয়।
তাই ঘরের ভেতরে ছোট একটি পরিবর্তন এনে, জীবনে পেতে পারেন অনেক বড় পরিবর্তন।