সঙ্গীর চাহিদা মেটাতে গিয়ে বার বার যদি আপনাকেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তবে সেই সম্পর্ক ক্রমেই হতে পারে ক্লান্তিকর। সেই সঙ্গে চলে আসতে পারে আবেগহীন মনোভাব।
তাই সঙ্গীর সঙ্গে থাকাকালে যদি মানসিক অস্বস্তিতে ভোগেন, ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত মনে হয় তবে সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য সম্পর্ক-বিষয়ক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এমনই একজন বিশেষজ্ঞ শার্লিন চং, যিনি ‘ক্লায়েন্ট’দের সাংসারিক জীবন তাদের মানসিক অবস্থার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে কি-না তা বিবেচনা করেন।
সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “দাম্পত্য জীবন যে ধ্বংসের কবলে পড়ছে সে বিষয়টা অনুধাবন করা বেশ কষ্টের। তবে কিছু ইঙ্গিত সম্পর্কে জানা থাকলে তাতে সুবিধা হবে।”
যে সম্পর্কের পেছনে বছরের পর বছর শ্রম দিয়েছেন তা ভাঙতে বসলে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর সঙ্গী যদি সঙ্গ না দেয় তবে সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য আলোচনায় বসাটাও বৃথা মনে হয়।
কোনো সম্পর্কই ঝামেলা মুক্ত নয়, দুজনার মধ্যের মতের পার্থক্য দেখা দেবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সঙ্গীর কথা মনে পড়লেই যদি মানসিক চাপ অনুভব করেন, তার সঙ্গে সময় কাটানোকে ক্লান্তিকর মনে হয় তবে বুঝতে হবে আপনার সম্পর্কই আপনার মানসিক অবস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অবিরাম দুশ্চিন্তা: মনোবিজ্ঞানী ডা. ট্রিসিয়া ওলানিন বলেন, “নিজের ভালোমন্দের চাইতে সঙ্গী চাহিদা পূরণ করাই যখন বড় হয়ে দাঁড়ায় তখনই ওই মানুষটি মানসিক শক্তি খোয়াতে থাকেন। তার সমস্যা মানে আমাদের সমস্যা এবং তা আমাকেই সমাধান করতে হবে এই চিন্তাগুলো যখন মাথায় ঘুরতে থাকে তখন ওই মানুষ ক্রমাগত তার সঙ্গীর কাছে নিজেকে বলি দিতে থাকে। তবে অপরপক্ষ থেকে এমন কোনো সাড়া মেলে না।”
তিনি আরও বলেন, “ক্রমাগত এই মানসিক চাপ একসময় দুঃসহ হয়ে দাঁড়ায় কারণ যার সমস্যা তার কোনো মাথাব্যথা নেই। ক্রমেই নিজের সমস্যাগুলো সরিয়ে রেখে সঙ্গীর সমস্যা নিয়েই সারাদিন মেতে থাকতে হয়। কারও প্রতি এতটা যত্নবান হওয়া ক্ষতিকর। কারণ সেক্ষেত্রে নিজের যত্ন নেওয়ারই সময় মেলে না। তাই কিছু সমস্যা সঙ্গীকে নিজ চেষ্টায় সমাধান করতে দেওয়া উচিত।”
সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ হারানো: সঙ্গী যদি আপনাকে কটাক্ষ করে, নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে প্রতিনিয়ত, আপনার আবেগকে গুরুত্ব না দেয় তবে একসময় সঙ্গীর প্রতি যে টান থেকে আপনি ভালোবাসায় মজেছিলেন তা হারিয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিবাহ ও পরিবার বিষয়ক পরামর্শদাতা ক্যারোলিন ম্যাডেন বলেন, “এই ধরনের পরিস্থিতি যেন আপনার জীবনীশক্তি কেড়ে নিতে থাকে। পাশাপাশি সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ হারাতে থাকে, মানসিক ও শারীরিক দুটোই। সম্পর্কে আবেগ ও বিশ্বাসের অভাবই এই পরিস্থিতির মূল কারণ। আর আকর্ষণ ছাড়া দাম্পত্য জীবন টিকিয়ে রাখা দুষ্কর, অনেকক্ষেত্রে পণ্ডশ্রমও বটে।”
নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া: সঙ্গীর সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, ব্যক্তিগত মত প্রকাশে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন তবে খুবই খারাপ ইঙ্গিত। ঝগড়া এড়ানো কিংবা সঙ্গীকে কষ্ট না দেওয়া- কারণ যাই হোক, সত্য গোপন করা দীর্ঘমেয়াদের জন্য কখনই ভালো নয়। মিথ্যা হয়ত সাময়িক কলহ থেকে মুক্তি দেবে, তবে তা আপনাকে কুরে খাবে লম্বা সময় ধরে।
শার্লিন চং বলেন, “এই পরিস্থিতে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার সুর যেমন পাল্টে যাবে পাশাপাশি সঙ্গীর আশপাশে থাকার সময় আপনার আচরণও বদলে যাবে। আর সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সময় যদি নিজের প্রকৃত ব্যক্তিত্বকে লুকিয়ে রাখতে হয়, তবে জীবন হবে দুর্বিসহ। এ যেন ডিমের কুসুমের ওপর হাঁটার চেষ্টা, যেখানে আপনি প্রতিটি পা ফেলেন হিসেব করে, মেপে মেপে।”
একা থাকার আকাঙ্ক্ষা: সঙ্গীর কাছ থেকে কিছু সময় দূরে কাটানো সম্পর্কের জন্য ভালো। তবে এই একা থাকার চিন্তা যদি প্রায়শই আপনার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনি সম্পর্ক থেকেই পালাতে চান।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাপল হলিস্টিকস’য়ের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শদাতা আদিনা মাহালি বলেন, “সঙ্গীর পেছনে যখন প্রতিনিয়ত মানসিক শক্তি খরচ করছেন তখন তার থেকে দূরে কিছু সময় কাটানোর জন্য আপনার মন অতিষ্ঠ হবে। সবারই নিজস্ব কিছু সময় প্রয়োজন। তবে তা যদি আপনার আকাঙ্ক্ষা হয় তবে সমস্যা আছে সম্পর্কে। দূরে থাকতে গিয়ে সঙ্গীর কথা মনে না করে যদি পালিয়ে বাঁচেন তবে লক্ষণ মোটেই শুভ নয়।”
বন্ধুমহলে লুকোচুরি: সম্পর্ক যদি মানসিকভাবে ক্লান্তিকর হয় তবে তার প্রভাব পড়বে বন্ধুদের আড্ডায় আপনার আচরণের ওপরেও।
ওলানিন বলেন, “এই ধরনের সম্পর্কের কারণে মানুষ এতটাই ক্লান্ত আর অবসাদগ্রস্ত থাকে যে তা একজন মানুষকে তার নিজের বন্ধুদের মাঝেও অচেনা মানুষে পরিণত করে, সবকথা বলতে কুন্ঠাবোধ হয়। এতে বন্ধুদের সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। কুন্ঠাবোধ হলেও সম্পর্ক নিয়ে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করা উচিত। কারণ সম্পর্ক ভেঙে গেলে এই মানুষগুলোই হবে আপনার সহায়।”
এমনই একজন বিশেষজ্ঞ শার্লিন চং, যিনি ‘ক্লায়েন্ট’দের সাংসারিক জীবন তাদের মানসিক অবস্থার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে কি-না তা বিবেচনা করেন।
সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “দাম্পত্য জীবন যে ধ্বংসের কবলে পড়ছে সে বিষয়টা অনুধাবন করা বেশ কষ্টের। তবে কিছু ইঙ্গিত সম্পর্কে জানা থাকলে তাতে সুবিধা হবে।”
যে সম্পর্কের পেছনে বছরের পর বছর শ্রম দিয়েছেন তা ভাঙতে বসলে হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর সঙ্গী যদি সঙ্গ না দেয় তবে সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য আলোচনায় বসাটাও বৃথা মনে হয়।
কোনো সম্পর্কই ঝামেলা মুক্ত নয়, দুজনার মধ্যের মতের পার্থক্য দেখা দেবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সঙ্গীর কথা মনে পড়লেই যদি মানসিক চাপ অনুভব করেন, তার সঙ্গে সময় কাটানোকে ক্লান্তিকর মনে হয় তবে বুঝতে হবে আপনার সম্পর্কই আপনার মানসিক অবস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অবিরাম দুশ্চিন্তা: মনোবিজ্ঞানী ডা. ট্রিসিয়া ওলানিন বলেন, “নিজের ভালোমন্দের চাইতে সঙ্গী চাহিদা পূরণ করাই যখন বড় হয়ে দাঁড়ায় তখনই ওই মানুষটি মানসিক শক্তি খোয়াতে থাকেন। তার সমস্যা মানে আমাদের সমস্যা এবং তা আমাকেই সমাধান করতে হবে এই চিন্তাগুলো যখন মাথায় ঘুরতে থাকে তখন ওই মানুষ ক্রমাগত তার সঙ্গীর কাছে নিজেকে বলি দিতে থাকে। তবে অপরপক্ষ থেকে এমন কোনো সাড়া মেলে না।”
তিনি আরও বলেন, “ক্রমাগত এই মানসিক চাপ একসময় দুঃসহ হয়ে দাঁড়ায় কারণ যার সমস্যা তার কোনো মাথাব্যথা নেই। ক্রমেই নিজের সমস্যাগুলো সরিয়ে রেখে সঙ্গীর সমস্যা নিয়েই সারাদিন মেতে থাকতে হয়। কারও প্রতি এতটা যত্নবান হওয়া ক্ষতিকর। কারণ সেক্ষেত্রে নিজের যত্ন নেওয়ারই সময় মেলে না। তাই কিছু সমস্যা সঙ্গীকে নিজ চেষ্টায় সমাধান করতে দেওয়া উচিত।”
সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ হারানো: সঙ্গী যদি আপনাকে কটাক্ষ করে, নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে প্রতিনিয়ত, আপনার আবেগকে গুরুত্ব না দেয় তবে একসময় সঙ্গীর প্রতি যে টান থেকে আপনি ভালোবাসায় মজেছিলেন তা হারিয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিবাহ ও পরিবার বিষয়ক পরামর্শদাতা ক্যারোলিন ম্যাডেন বলেন, “এই ধরনের পরিস্থিতি যেন আপনার জীবনীশক্তি কেড়ে নিতে থাকে। পাশাপাশি সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ হারাতে থাকে, মানসিক ও শারীরিক দুটোই। সম্পর্কে আবেগ ও বিশ্বাসের অভাবই এই পরিস্থিতির মূল কারণ। আর আকর্ষণ ছাড়া দাম্পত্য জীবন টিকিয়ে রাখা দুষ্কর, অনেকক্ষেত্রে পণ্ডশ্রমও বটে।”
নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া: সঙ্গীর সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, ব্যক্তিগত মত প্রকাশে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন তবে খুবই খারাপ ইঙ্গিত। ঝগড়া এড়ানো কিংবা সঙ্গীকে কষ্ট না দেওয়া- কারণ যাই হোক, সত্য গোপন করা দীর্ঘমেয়াদের জন্য কখনই ভালো নয়। মিথ্যা হয়ত সাময়িক কলহ থেকে মুক্তি দেবে, তবে তা আপনাকে কুরে খাবে লম্বা সময় ধরে।
শার্লিন চং বলেন, “এই পরিস্থিতে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনার সুর যেমন পাল্টে যাবে পাশাপাশি সঙ্গীর আশপাশে থাকার সময় আপনার আচরণও বদলে যাবে। আর সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সময় যদি নিজের প্রকৃত ব্যক্তিত্বকে লুকিয়ে রাখতে হয়, তবে জীবন হবে দুর্বিসহ। এ যেন ডিমের কুসুমের ওপর হাঁটার চেষ্টা, যেখানে আপনি প্রতিটি পা ফেলেন হিসেব করে, মেপে মেপে।”
একা থাকার আকাঙ্ক্ষা: সঙ্গীর কাছ থেকে কিছু সময় দূরে কাটানো সম্পর্কের জন্য ভালো। তবে এই একা থাকার চিন্তা যদি প্রায়শই আপনার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনি সম্পর্ক থেকেই পালাতে চান।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাপল হলিস্টিকস’য়ের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শদাতা আদিনা মাহালি বলেন, “সঙ্গীর পেছনে যখন প্রতিনিয়ত মানসিক শক্তি খরচ করছেন তখন তার থেকে দূরে কিছু সময় কাটানোর জন্য আপনার মন অতিষ্ঠ হবে। সবারই নিজস্ব কিছু সময় প্রয়োজন। তবে তা যদি আপনার আকাঙ্ক্ষা হয় তবে সমস্যা আছে সম্পর্কে। দূরে থাকতে গিয়ে সঙ্গীর কথা মনে না করে যদি পালিয়ে বাঁচেন তবে লক্ষণ মোটেই শুভ নয়।”
বন্ধুমহলে লুকোচুরি: সম্পর্ক যদি মানসিকভাবে ক্লান্তিকর হয় তবে তার প্রভাব পড়বে বন্ধুদের আড্ডায় আপনার আচরণের ওপরেও।
ওলানিন বলেন, “এই ধরনের সম্পর্কের কারণে মানুষ এতটাই ক্লান্ত আর অবসাদগ্রস্ত থাকে যে তা একজন মানুষকে তার নিজের বন্ধুদের মাঝেও অচেনা মানুষে পরিণত করে, সবকথা বলতে কুন্ঠাবোধ হয়। এতে বন্ধুদের সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। কুন্ঠাবোধ হলেও সম্পর্ক নিয়ে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করা উচিত। কারণ সম্পর্ক ভেঙে গেলে এই মানুষগুলোই হবে আপনার সহায়।”