শিশুরা অনুকরণ প্রিয় হয়। বড়দের দেখেই অনেক কিছুই শিখে থাকে। তাই সন্তানের সামনে দুঃখ-কষ্ট বা হাসি-আনন্দ যা-ই করুন না কেন সেটাই তার ওপর প্রভাব পড়বে। সুতরাং শিশুদের সামনে কোন রকম নেতিবাচক কিছু কথা বা ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে সেও নেতিবাচক হয়ে যাবে। তারা যেটা করতে চাইছে না সেটা জোর করে করানো যাবে না। এতে তার জেদি হয়ে উঠবে। অনেক সময় সন্তানরা ছোটখাট ভুল করে থাকে, তাই বলে তাকে ধমক দিলে তার মানসিক দিকে নেগেটিভ হয়ে পড়তে পারে। এ কারণে ওই কাজটি করা যাবে না। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তার সঙ্গে ইতিবাচক ব্যবহার করতে হবে।
সন্তানের সামনে যেটা তুলে ধরা হবে সেটাই শিখবে। কোন বিষয়ে অবহেলা করলে সে কষ্ট পাবে। আর উৎসাহ দিলে সে আগ্রহী হয়ে উঠবে। সন্তানের সামনে যেসব তুলে ধরা যাবে না সেগুলো একুশে টিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো-
১) আপনার সন্তানকে কোন বিষয়ে উপযোগী করার জন্য সেই বিষয়ে তাকে সবসময় মেজাজ দেখাচ্ছেন, এতে সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি সন্তান বদমেজাজী হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং মেজাজ না দেখিয়ে আন্তরিকতা দেখাতে হবে। সবসময় পজেটিভ বা ইতিবাচক কথা বলতে হবে।
২) সন্তান কোন একটি বিষয়ে অপরাধ করেছে সেই অপরাধের কথা আপনি সন্তানের বাবার কাছে নালিশ করবেন কিংবা তার টিচারের কাছে নালিশ করবেন এমনটি শোনালে সে নেতিবাচক আচরণ করতে পারে। এ বিষয়ে একটু সতর্ক থাকবেন।
৩) আপনার সন্তান পড়াশোনায় একটু খারাপ কিংবা রেজাল্ট একটু খারাপ করেছে এ বিষয়ে কখনই তাদের সামনে বলা যাবে না যে সে খারাপ। এতে পড়াশোনার প্রতি তাদের আগ্রহ কমে যাবে।
৪) আপনার সন্তান দেখতে সুন্দর হোক বা না হোক তান সমানে কখনই বলা যাবে না সে অসুন্দর। তার সামনে সমসময় গুণগুলো তুলে ধরবেন। কখনই খারাপ দিকটা বলবেন না।
৫) শিশুর সামনে কখনই তার খারাপ স্বাস্থ্য নিয়ে কথা তুলবেন না। আপনি নিজ দায়িত্বে তাকে সঠিক খাবার খেতে দিবেন।
সন্তানের সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য তার সামনে কখনও নেতিবাচক কথা বলা যাবে না। না হলে সন্তান দুশ্চিন্তা করবে এবং নিজেকে খুব অসহায় মনে করবে।
সূত্র : কলকাতা টুয়েন্টিফোর।