গবেষণায় দেখা গেছে, যেসকল মানুষেরা বাস্তবধর্মী সঙ্গীত যেমন অপেরা এবং জ্যাজ বেশি পছন্দ করে, তারা বেশি খোলা মনের অধিকারী হয়ে থাকে।
যে মানুষেরা অকপট অভিজ্ঞতা নিতে প্রস্তুত, তারা সাধারণত কল্পনাপ্রবণ, নিজেদের অনুভূতির ব্যাপারে স্পর্শকাতর, কৌতূহলী এবং নতুনত্বে আগ্রহী হয়ে থাকে।
অকপট অভিজ্ঞতা ব্যক্তিত্বের ৫টি প্রধান বৈশিষ্ট্যের অন্যতম যেটা এমনকি উচ্চতর বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পৃক্ত। এই গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যে মানুষেরা শান্ত এবং আরামদায়ক ধরনের, যেমন লোকসঙ্গীত অথবা দেশাত্মবোধক গান পছন্দ করে, তারা সাধারণত বহির্মুখী ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকে। এধরনের ব্যক্তিরা অফুরান প্রাণশক্তির অধিকারী হয়ে থাকে।
সর্বশেষ ব্যক্তিত্বের যে বৈশিষ্ট্যটি গান পছন্দের ধরনের সাথে যুক্ত, তা হলো অমায়িক আচরণ। এধরণের ব্যক্তিরা প্রায় সবধরনের সঙ্গীত পছন্দ করে।
এই গবেষণার উপর ভিত্তি করে সঙ্গীতকে ৫টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে।
১। কোমলঃ রোমান্টিক এবং আরামদায়ক, হালকা রক এবং পরিণত সমসাময়িক সঙ্গীত।
২। বিনয়ীঃ দেশাত্মবোধক ও লোকসঙ্গীত এবং অ্যাকুস্টিক।
৩। বাস্তবধর্মীঃ জটিল এবং প্রগতিশীল ধরনের গান, যেমন অপেরা, ক্লাসিকাল এবং জ্যাজ।
৪। তীব্রঃ কোলাহলপূর্ণ এবং আক্রমণাত্মক সঙ্গীত, যেমন হার্ড রক অথবা হেভি মেটাল।
৫। সমসাময়িকঃ ইলেকট্রনিক, র্যাপ, ড্যান্স এবং ইউরো পপ।
কেবল ‘বিনয়ী’ এবং ‘বাস্তবধর্মী’ সঙ্গীত মানুষের ব্যক্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। সমসাময়িক, তীব্র অথবা কোমল ধরনের সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু নির্দেশ করে না বলে জানিয়েছেন এই গবেষকেরা।
এই গবেষণাটির ফলাফল ২২,২৫২ জন্য মানুষের উপর করা একটি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে, যেখানে তাদেরকে ১৫ সেকেন্ড করে কিছু অপরিচিত গান শোনানো হয় এবং তাদের সেগুলো নিরীক্ষণ করতে বলা হয়।
তথ্যসূত্র: স্প্রিং ডট অর্গ ডট ইউকে-তে প্রকাশিত Dr Jeremy Dean এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুপ্তি হাওলাদার।
লিংক: https://www.spring.org.uk/2018/06/musical-taste-personality.php