শিশুর মিথ্যা বলা-কমাতে পারেন যেসব উপায়ে

0
57
কিছু শিশু তাদের পিতা মাতার কাজকে কঠিন  করে তোলে

শিশুদের বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিয়ে যে সমস্যাগুলি অভিভাবকরা সম্মুখীন হন, তার মধ্যে সন্তানের মিথ্যা কথা বলাও পড়ে। মনোবিদদের মতে, বকুনির ভয়ে মিথ্যা বলা দিয়েই এই অভ্যাস বাসা বাঁধে শিশুদের স্বভাবে।

অনেক সময় মা-বাবা এই স্বভাবকে অবহেলা করে গেলেও তা পরে বড় আকার ধারণ করে। শুধু তাই-ই নয়, কথায় কথায় মিথ্যা বলার এই স্বভাব শিশুর জীবনেও নানা ক্ষতি করে। তাই ছোট থেকেই তা দূর না করলে, এই অভ্যাস খুব বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে।
শিশুরা যেহেতু ঘটনার গুরুত্ব বোঝে না, তাই এই সমস্যা নিয়ে প্রথম থেকেই সচেতন না হলে, ছোটবড় সব বিষয়েই তাদের মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়ে।
মনোবিদদের মতে, ‘শিশুরা অনেক সময় মনোযোগ আকর্ষণ করতে মিথ্যা বলে, কখনও বা কল্পনার আশ্রয় নিয়ে আবার  কখনও বকুনির ভয়ে মিথ্যা বলতে বাধ্য হয় তারা। অনেক সময় তার ছোটখাটো মিথ্যা অভিভাবকরা বিশেষ গুরুত্ব না দিলে সে মিথ্যে বলাটাকে অপরাধের মধ্যেই ধরে না।’ তবে শাসন বা মারধরে না গিয়েও এই স্বভাব রুখে দিতে পারেন আপনিও।
=> মনোবিদদের মতে, শিশুকে প্রথম থেকেই গল্পের ছলে মনীষীদের জীবনী, নীতিকথা শেখান। বড় মানুষরা কেউ মিথ্যা পছন্দ করতে না অথবা মিথ্যা বিষয়টা খুব একটা গ্রহণীয় নয়- সে ধারণা মনের মধ্যে প্রবেশ করান।
=>শিশুদের সামনে যতটা সম্ভব মিথ্যা এড়িয়ে চলুন। তারা কিন্তু অভিভাবকদের থেকেই সবচেয়ে বেশি শেখে। তাই পারিবারিক নানা কারণে অতিকথন, মিথ্যা এড়িয়ে চলুন।
=> মিথ্যা বলা কতটা খারাপ কিংবা আপনাদের বাড়ির সকল সদস্যরা এই মিথ্যা বলাকে কতটা ঘৃণা করেন- সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিন।
=> স্কুল থেকে ফিরলে বা কোনও বন্ধুর সঙ্গে মিশলে, লক্ষ রাখুন তার চারপাশের বন্ধুরা কেমন। তাদের মধ্যে কারও মিথ্যা বলার প্রবণতা থাকলে তা যেন আপনার শিশুকে প্রভাবিত করতে না পারে, সে বিষয়ে যত্নবান হোন। দরকারে মিথ্যা বলা শিশুটির অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলুন।
=> কোনও কারণে আপনার শিশু কি নিজের উপর আস্থা হারাচ্ছে বা অবহেলিত হচ্ছে কোথাও, সে দিকে নজর রাখুন। এ সব কারণ ঘটলেও শিশুরা মিথ্যার আশ্রয় নেয়।
Previous articleমানসিক রোগের চিকিৎসা বিজ্ঞান
Next articleমা-বাবার বিচ্ছেদে যেসব মানসিক ভোগান্তি হয় সন্তানের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here