ভীষণ রাগী হিসেবে বদনাম আছে আপনার? এমনিতে ভালো মানুষ কিন্তু রাগ উঠলে আর নামতে চায় না! তখন কোনোকিছু ভাংচুর কিংবা ঝগড়াঝাটি ছাড়া সমাধান সম্ভব হয় না? আপনার সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ যখন আপনার দখলে, তাহলে রাগটাকেও বশে আনুন না! রাগ থাকবেই, তবে নিজেকে সংযত রাখার উপায়ও জানতে হবে-
প্রথমেই মুখে কুলুপ দিন। কিংবা কম কথা বলুন। প্রথম যে কথাটা মাথায় আসে সেটা কিছুতেই বলবেন না। বলতেই যদি হয়, ভালো করে ভেবে দেখুন কোন কথা বললে সবচেয়ে কম ক্ষতি।
রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নেবেন না বা প্রতিজ্ঞা করবেন না। জোরে জোরে হাঁটলে, ব্যায়াম করলে, বন্ধু-বান্ধবকে মনের কথা খুলে বললে বা কারো সঙ্গে অন্য বিষয়ে কথা শুরু করলে ১০-১৫ মিনিটে রাগের প্রথম ধাক্কা কাটে।
এসব না করা গেলে মন থেকে ঠিক করুন, ঘটনাটা নিয়ে ভাববেন না। অর্থাৎ বিষয়টা সুইচ অফ করুন। এবার প্রিয় কোনো বিষয় নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে শুরু করুন। এতটাই গভীরভাবে যাতে ঘটনাটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। একে বলে ভিজ্যুয়াল ইমেজারি।
রাগের প্রথম ধাক্কা কাটলো, কিন্তু ঘটনাটা মুছে ফেলতে পারছেন না, এ রকম হলে একটাই রাস্তা, ক্ষমা করে দিন। মনে রাখবেন, ক্ষমা করা মানে কিন্তু পরাজয় স্বীকার করা নয়। বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নিজের শরীর এবং মনকে নানা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো। তাছাড়া রাগ সত্ত্বেও শান্তভাবে সরে যাওয়ার অর্থ, আপনার মানসিক জোর আর পাঁচ জনের চেয়ে বেশি।
রাগের কারণ যে মানুষ প্রয়োজনে তাকে সূক্ষ্মভাবে অবহেলা করুন। জানবেন, অবহেলার আঘাত সবচেয়ে বেশি। পারছেন না? মনে হচ্ছে দুকথা শোনাতে না পারলে মন ঠান্ডা হবে না? তারও রাস্তা আছে। মেনে দেখুন, ম্যাজিকের মতো কাজ হবে-
দুটি চেয়ার মুখোমুখি রেখে একটায় বসুন। কল্পনা করে নিন সামনের চেয়ারে বসেছেন আপনার শত্রু। এবার তাকে যা খুশি বলুন। যত অপমান করতে পারেন করুন। খানিক বাদেই দেখবেন রাগ কমছে। পুরো কমে গেলে চেষ্টা করুন ব্যাপারটা ভুলে যেতে। এবং নিজের শান্তির কথা ভেবে তাকে ক্ষমা করে দিন।
যার ওপরে রাগ তাকে অপমান করে চিঠি বা মেল লিখে সেভ করে রাখুন। তবে ভুলেও তাকে পাঠাতে যাবেন না যেন! ঘটনাটা ভুলে যাওয়ার পর নষ্ট করে ফেলুন। এবং মানুষটির মুখোমুখি হন স্বাভাবিকভাবে।