যৌনসম্পর্কে অস্থিতিশীল আবেগসম্পন্ন নারীতেই পুরুষের অধিক আর্কষণ: গবেষণা

দুশ্চিন্তা প্রভাব ফেলে যৌন উত্তেজনায়

সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, পুরুষেরা অস্থিতিশীল আবগসম্পন্ন নারীদের সাথে শারীরিক সম্পর্কে অধিক তৃপ্তি লাভ করে।
জার্মানীতে হাজার খানেক মানুষের উপরে করা এ গবেষণায় এটাও জানা গেছে যে, নারীরা সেই পুরুষের কাছে বেশি তৃপ্ত যারা একটু ‘আপোষহীন’ গোছের, তবে প্রতিটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ের প্রতি মনোযোগী।
সঙ্গীরা একে অপরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সুসঙ্গত হলে যৌন জীবন অনেক আনন্দদায়ক হয়; এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আগেও জেনেছি। কিন্তু বর্তমানে বিস্তর গবেষণা চলছে এটা জানতে যে, কীভাবে একজন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য তার বিপরীত লিঙ্গের যৌন পরিতৃপ্তিকে প্রভাবিত করে।
গবেষক জুলিয়া ভ্যালটেন ও তাঁর সহকর্মীরা এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের সাথে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তাদের যৌন জীবন, ব্যক্তিত্ব ও অন্তরঙ্গ এই ক্রিয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছেন।
গবেষণা দলটি মূলত নারীদের কামনা, পরিতৃপ্তি, উদ্দীপনা ও ‘অর্গাজম’এর ব্যাপারে এবং পুরুষদের  লিঙ্গস্ফিতী (পড়ুন ইরেকটাইল ফাংশন), কামনা, পরিতৃপ্তি ও ‘অর্গাজম’এর ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
গবেষণায় তারা জানতে পারেন, যেসব পুরুষের সঙ্গীনীর আবেগ অস্থিতিশীল ও দ্রুত পরিবর্তনশীল, তারা অধিক পরিতৃপ্ত। অন্যদিকে, যেসব নারীদের সঙ্গী কিঞ্চিত ‘আপোষহীন’ আচরণের, তারা অন্য নারীদের তুলনায় বেশি তৃপ্তি লাভ করেছে।
তারা আরও একটি বিষয় আবিষ্কার করেছেন, যেসকল পুরুষ অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ছোট ছোট কার্যকলাপের প্রতি খেয়াল রাখেন ও সঙ্গীনীকে তৃপ্ত করাটাকে দায়িত্ব হিসেবে দেখেন, তাদের সঙ্গীনীরা অন্যান্যদের চাইতে যৌনক্রিয়ায় সন্তুষ্টি বেশি পান।
‘জার্নাল অব সেক্স রিসার্চ’ এ প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে, যেসব জুটির যৌন বৈশিষ্ট্য একই ধরনের, তারা বেশি তৃপ্তি পান। বিশেষত যারা এ ব্যাপারে বেশি স্পর্শকাতর।
গবেষক জুলিয়া ভ্যালটেন বলছেন, “যেসব পুরুষদের যৌন অনুভূতি খুব নাজুক, তাদের সঙ্গীনীও যদি একই রকম প্রতিক্রিয়াশীল হোন, তাহলে তাদের যৌনক্রিয়া উপকৃত হয়।“
এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স গড়ে ৫১ বছর এবং তারা কমপক্ষে ২৪ বছর তাদের সঙ্গীর সাথে আছেন।
ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ওপর সম্পর্কের স্থায়ীত্বকালের প্রভাবের ব্যাপারেও দেখা হয়েছে এই গবেষণায়। এই জুটিগুলোর মধ্যে বয়সের কারণে বা দীর্ঘদিন একসাথে থাকায় যৌনজীবনে বিশেষ কোনো প্রভাব ফেলেনি। একারণে গবেষক বলছেন, “গবেষণার এই খোঁজ থেকে বোঝা যায় দির্ঘদিনের সম্পর্কেও আনন্দদায়ক যৌনজীবন কাটানো সম্ভব।“
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এ ব্যাপারে আরও ব্যাপক পরিসরে গবেষণা হওয়ার প্রয়োজন আছে। এই গবেষণা দলের বহির্ভূত ডঃ ক্রিস্টিয়ান জ্যারেট ‘দ্য ব্রিটিশ সাইকোলোজিকাল সোসাইটি’তে প্রকাশ করা এক লেখায় জানিয়েছেন, “যে ফলাফলগুলো পাওয়া গেছে তা বিচ্ছিন্ন কিছু চলকের একটা স্থিরচিত্র_তবে এগুলো কী করে যৌক্তিকভাবে আন্তঃসাম্পর্কিক তা নিয়ে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।“
তবে যাই হোক না কেনো, এই গবেষণায় একটি বিষয় উন্মোচিত হয়েছে যে, ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য তার যৌনজীবনে কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত করে।
সূত্রঃ দ্য সান

Previous articleঘুমের মধ্যে কথা বলে!
Next articleসম্পর্ক যখন উল্টো পথে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here