ডা. মুনতাসীর মারুফ
সহযোগী অধ্যাপক, সাইকিয়াট্রি
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট
বাংলাদেশে যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ে সাধারণ জনগণের জ্ঞান সীমিত। সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় কারণে যৌনতা সংক্রান্ত আলোচনাও এখানে যেন একটি গোপন এবং আপাত নিষিদ্ধ বিষয়। ফলস্বরূপ, একবিংশ শতকেও বাংলাদেশে যৌনতা, যৌন স্বাস্থ্য এবং যৌন ক্রিয়া নিয়ে অনেক ভুল ধারণা বিদ্যমান।
প্রচলিত ভুল ধারণাগুলি ধাতু ক্ষয় রোগ, যৌনাঙ্গের আকার ও বিকৃতি, লিঙ্গের উত্থান ও সম্প্রসারণ, যৌন আকাঙ্খা ও চাহিদা, যৌন মিলনের সময়কাল, যৌন মিলনের অবস্থান, হস্তমৈথুন, রাতের বেলা বীর্য স্খলন (স্বপ্নদোষ) প্রভৃতি সম্পর্কিত। যৌন স্বাস্থ্য ও ক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান প্রচার করতে এবং উন্নত যৌন স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার কার্যকর কৌশল প্রণয়ন করতে এই ভুল ধারণাগুলির পেছনের কারণ এবং বিজ্ঞান-সম্মত প্রকৃত তথ্য জানা প্রয়োজন।
যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা
বাংলাদেশে মনো-যৌন সমস্যা নিয়ে ভুগছেন এমন পুরুষ রোগীদের উপর মিয়া ও তার সহ-গবেষকদের (২০১৫) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, রোগীদের মধ্যে যৌন স্বাস্থ্য ও যৌন ক্রিয়া সম্পর্কিত ভুল ধারণা ব্যাপকভাবে প্রচলিত। কুমার (১৯৯৩) এর ‘সেক্স মিথস চেক লিস্ট’ অনুসারে এই গবেষণায় যৌনতা সম্পর্কিত ভুল ধারণা গুলোকে মোটা দাগে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে – পুরুষ সম্পর্কিত মিথ, নারী সম্পর্কিত মিথ এবং উভয় লিঙ্গ সম্পর্কিত মিথ।
পুরুষ সম্পর্কিত মিথ
গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ সংক্রান্ত মিথ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত মিথ হচ্ছে – বীর্য জীবনের সারবস্তু এবং এর ক্ষয় স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। প্রায় ৮৯% রোগী এটি বিশ্বাস করেন। অন্যান্য মিথ গুলোর মধ্যে রয়েছে –
- হস্তমৈথুন মানসিক দুর্বলতার লক্ষণ
- অতিরিক্ত যৌন ক্রিয়া অকাল বার্ধক্যের কারণ
- রাতে ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত যৌন দুর্বলতার লক্ষণ
- নারীর মাসিকের সময় যৌন মিলন পুরুষের জন্য বিপজ্জনক
- অধিকাংশ পুরুষ ৫০ বছর বয়সের পর তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা হারায়
- কালো পুরুষরা শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় যৌনভাবে বেশি শক্তিশালী
- বড় আকারের পুরুষাঙ্গ নারীর যৌন সন্তুষ্টির জন্য অপরিহার্য
- পুরুষাঙ্গের আকার একজন পুরুষের দেহের আকারের সরাসরি সমানুপাতিক
- কুমারী নারীর সাথে যৌনমিলন পুরুষের দেহকে পুনরুজ্জীবিত করে
- পুরুষাঙ্গের আকার একজন পুরুষের যৌন সক্ষমতা নির্ধারণ করে
- লিঙ্গের আকার যৌন ক্ষমতা নির্ধারণ করে
নারী সম্পর্কিত মিথ
উক্ত গবেষণায় অংশ নেয়া রোগীদের ৯৩.৫% বিশ্বাস করেন যে, একজন মহিলা যখন যৌন সন্তুষ্টি বা অর্গাজম অনুভব করেন তখন তার পুরুষের মতো বীর্যপাত ঘটে। প্রচলিত আরও কিছু মিথ হচ্ছে –
- গর্ভাবস্থায় যৌন মিলন নারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
- অক্ষত হাইমেন বা সতীচ্ছদ নারীর কুমারীত্বের প্রমাণ
- মেনোপজে নারীর যৌন জীবনের সমাপ্তি ঘটে
- যৌনতায় সক্রিয় মহিলাদের স্তন বড় থাকে
- গর্ভধারণের জন্য যৌন ক্রিয়ায় নারী ও পুরুষের একই সময়ে অর্গাজম হওয়া প্রয়োজন
- হাইমেনের অনুপস্থিতি একজন নারীর কুমারীত্ব না থাকার প্রমাণ
উভয় লিঙ্গ সম্পর্কিত মিথ
উভয় লিঙ্গ সংক্রান্ত মিথ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রচলিত মিথ হচ্ছে – হস্তমৈথুন মানসিক অসুস্থতার কারণ। প্রায় ৯২% রোগী এটি বিশ্বাস করেন। প্রচলিত অন্যান্য মিথগুলো হচ্ছে –
- হস্তমৈথুন পুরুষদের মধ্যে নপুংসকতা এবং নারীদের মধ্যে যৌন শীতলতার কারণ
- বন্ধ্যাকরণ ও ভ্যাসেক্টমি নারী-পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষাকে দমন করে
- পুরুষ এবং নারীর মধ্যে মৌখিক যৌন সঙ্গম সমকামী প্রবণতা নির্দেশ করে
- সর্বোত্তম স্বাস্থ্য উপভোগ করতে যৌন ক্রিয়া বাদ দেয়া উচিত
- যখন পুরুষ এবং নারী উভয়ই যৌনমিলনের সময় একসাথে চরম আনন্দ বা যৌন সন্তুষ্টি অনুভব করেন, তখন গর্ভধারণ ঘটে।
যৌনতা, যৌন স্বাস্থ্য ও যৌন ক্রিয়া সম্পর্কিত আরও অনেক ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি এখানে তালিকা করা হল –
১। পুরুষ সংক্রান্ত
- পুরুষরা সবসময় যৌন মিলন চায় এবং তারা এর জন্য সবসময় প্রস্তুত
- যৌনতার জন্য লিঙ্গ উত্থান প্রয়োজন
- লিঙ্গ উত্থান সবসময় যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং উদ্দীপনার লক্ষণ
- প্রত্যেক পুরুষের জানা থাকা উচিত কিভাবে প্রত্যেক নারীকে আনন্দ দিতে হয়
- যৌন ক্রিয়া পুরুষের শুরু করা উচিত
- যৌন মিলন পুরুষকে পরিচালনা করতে হবে
- পুরুষের লিঙ্গ উত্থান কমে যাওয়া বা না হওয়া মানে হচ্ছে সে তার সঙ্গীনিকে আকর্ষণীয় মনে করে না
- যৌন ক্রিয়ার সময় পুরুষদের তাদের আবেগ দেখানো উচিত নয়
- শক্তিশালী পুরুষরা ধারাবাহিকভাবে কয়েকবার যৌন মিলন করতে সক্ষম
- যে পুরুষ যৌন মিলনে ব্যর্থ হয় বা তার সঙ্গীকে যৌন সন্তুষ্টি দিতে পারে না, সে প্রকৃত পুরুষ নয়
- যৌনতা শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য
- যৌন অক্ষমতা-জনিত যে কোন সমস্যার সমাধান ‘ভায়াগ্রা’ জাতীয় বা যৌন উত্তেজক ওষুধ
২। নারী সংক্রান্ত
- নারীদের যৌন আগ্রহ ও উত্তেজনা কম
- প্রথম যৌন মিলন নারীর জন্য কঠিন এবং বেদনাদায়ক
- প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের যৌনমিলনে সন্তুষ্টি বা অর্গাজম হওয়া উচিত
- হস্তমৈথুনের মাধ্যমে হাইমেন ছিঁড়ে যেতে পারে
- প্রথম যৌন মিলনে নারীর যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত না বের হলে সে কুমারী নয়
- যুগল সম্পর্কে যৌন ক্রিয়া কোনও নারী উদ্যোগী হয়ে আরম্ভ করলে তার চরিত্র ভালো নয়
৩। নারী পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য
- যৌনতা মানে যৌন মিলন
- প্রতিটি যৌন ক্রিয়ায় সফলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
- একসাথে যৌন সন্তুষ্টি বা অর্গাজম হলেই কেবল তাকে ভাল যৌন ক্রিয়া বলা যায়
- যদি যুগলেরা একে অপরকে ভালোবাসে, তারা জানে কিভাবে যৌন ক্রিয়ার সময় পরস্পরকে আনন্দ দেয়া যায়
- ভালোবাসা মানে হল ক্রমাগত যৌন উত্তেজনা এবং এর ফলস্বরূপ অর্গাজম
- যৌন মিলনের সময় হস্তমৈথুন করা সঠিক আচরণ নয়
- কোনও পুরুষ বা নারী যৌন মিলনের আহ্বান উপেক্ষা করতে পারে না
- নারী-পুরুষ ঘনিষ্ঠ হলে তা যৌন ক্রিয়ার মাধ্যমেই শেষ হওয়া উচিত
- যৌন মিলনের কিছু নির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট নিয়ম রয়েছে
- যৌন মিলনের জন্য সবচেয়ে স্বাভাবিক অবস্থান হল নারীর উপরে পুরুষের অবস্থান
- যৌনাঙ্গ নোংরা এবং যৌন ক্রিয়ার সময় সেখানে স্পর্শ করা উচিত নয়
- যৌন মিলনের সময় যৌন কল্পনা করা উচিত নয়, এটি সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা
- যৌনতা সম্পর্কে চিন্তা করা বা কথা বলা লজ্জার
বাস্তবতা
যৌন স্বাস্থ্য একটি সার্বিক ধারণা যাতে মানসিক সুস্থতা, সুস্থ পারস্পরিক সম্পর্ক এবং যৌনতা সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত। রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও যৌন সন্তুষ্টি, নিরাপত্তা এবং সম্মতির বিষয়গুলিও সার্বিকভাবে যৌন স্বাস্থ্যের অংশ।
যৌনতা ও যৌন স্বাস্থ্যের বিষয়াবলী নারী-পুরুষ সহ যে কোন লিঙ্গের ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য। যৌন আগ্রহ এবং পারফরম্যান্স অনেক বিষয় দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য, শারীরিক স্বাস্থ্য এবং পারস্পরিক সম্পর্কের প্রকৃতি। সময় ও পরিবেশ ভেদে একই ব্যক্তির যৌন আগ্রহের পরিবর্তন স্বাভাবিক বিষয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে নানা শারীরিক ব্যাধি ও অন্যান্য কারণে যৌন ক্রিয়ার পরিমাণ কমলেও যৌন আগ্রহ না-ও কমতে পারে।
সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলির মতো, ভালো যৌনতার জন্যও যোগাযোগ, প্রচেষ্টা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া প্রয়োজন। নারী – পুরুষের যৌন ক্রিয়ায় সম্মতির ভিত্তিতে পারস্পরিক অংশগ্রহণ ও বোঝাপড়া স্বাস্থ্যকর ও আনন্দদায়ক যৌন সম্পর্কের ভিত্তি।
যৌনতা সম্পর্কিত বিষয়, জ্ঞান, চাহিদা, পছন্দ, সমস্যা সম্পর্কে সঙ্গী/সঙ্গিনীর সাথে খোলামেলা আলোচনা স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে যৌন সন্তুষ্টি এবং অন্তরঙ্গতা বৃদ্ধি পায়। কেবল ভালবাসা থাকলেই সঙ্গীর যৌন চাহিদা ও প্রত্যাশা সম্পর্কে আগে থেকে বোঝা সম্ভব না-ও হতে পারে। ব্যক্তি ভেদে যৌন কল্পনা, প্রত্যাশা, আচরণ ভিন্ন হতে পারে। সুতরাং, যৌন মিলনের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা ব্যক্তিও পরবর্তী সঙ্গীর যৌনতা সম্পর্কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে না-ও বুঝতে পারেন।
যৌন আচরণ কেবল যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশের মাধ্যমে শারীরিক মিলন নয়। যৌনতার আরও অনেক দিক ও পদ্ধতি রয়েছে। নারী পুরুষের ঘনিষ্ঠতা সব সময় শারীরিক মিলনেই সমাপ্ত হওয়া জরুরী নয়। জড়িয়ে ধরা, চুমু ইত্যাদি নানা উপায়েও পরস্পরের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ পায়।
যৌন ক্রিয়ায় পুরুষ বা নারী যে কেউ উদ্যোগী হয়ে শুরু করতে পারেন। যৌন মিলনের যে কোন পর্যায়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী উভয়ের যে কেউ অধিক সক্রিয় বা সমান সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন। মিলনের সময় আনন্দ বা আবেগ প্রকাশ উভয়ের জন্য স্বাভাবিক। সম্মতির ভিত্তিতে, আঘাত বা কষ্ট না দিয়ে বা বিকৃত পন্থা ব্যবহার না করে যৌন মিলনে বৈচিত্রের চর্চা অস্বাভাবিক নয়।
যৌন মিলনে সকল সময় চরম সন্তুষ্টি বা অর্গাজম নাও হতে পারে। শুধুমাত্র অর্গাজম বা যৌন সন্তুষ্টির উপর মনোযোগ দিলে তা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং সামগ্রিক যৌন ক্রিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারে। মানসিক সংযোগ, শারীরিক আনন্দ এবং পারস্পরিক সন্তুষ্টি সব-ই যৌন অন্তরঙ্গতার অংশ। এই দিকগুলির উপর জোর দিলে যৌন সম্পর্ক আরও পরিপূর্ণ হতে পারে।
যৌন সক্ষমতা, পারফর্মেন্স ও সন্তুষ্টির সাথে পুরুষের দেহের আকার, গায়ের রঙ, পুরুষাঙ্গের আকার প্রভৃতির কোন সম্পর্ক নেই। পুরুষাঙ্গের আকারের সাথে পুরুষের দেহের আকারের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ, লম্বা পুরুষ হলেই লম্বা লিঙ্গ, এবং খাটো মানুষের ছোট আকারের লিঙ্গ হবে – এমন কোন স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার নেই। সাধারণত দেখা যায়, পুরুষের ক্ষেত্রে যৌন আগ্রহ থাকলেও একবার বীর্যপাতের পর বেশ কিছু সময় লিঙ্গ উত্থান নাও ঘটতে পারে। এটি স্বাভাবিক এবং এতে পুরুষের অক্ষমতা বা সঙ্গীনির প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া বোঝায় না।
এছাড়া, লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যে কোনো বয়সের পুরুষের হতে পারে, যদিও এটি বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, জীবনযাত্রার ধরণ এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থা – প্রভৃতি তরুণ পুরুষদের মধ্যে এর কারণ হতে পারে।
নারীর হাইমেন ছিঁড়ে যাওয়ার সাথে তার যৌন অভিজ্ঞতার সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। যৌনতার সাথে সম্পর্কহীন অনেক কারণেই হাইমেন ছিঁড়ে যেতে পারে। প্রথম যৌন মিলন পারস্পরিক সম্মতি ও বোঝাপরার ভিত্তিতে হলে নারীর জন্য তা সহজ ও আনন্দদায়ক হতে পারে। প্রথম মিলনে রক্ত বের হওয়া কোন অবশ্যম্ভাবী বিষয় নয়। নারীর যৌন সন্তুষ্টি বা অর্গাজম তার শারীরিক প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যেতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে নারী না বললে পুরুষ তা নাও বুঝতে পারেন।
যৌন অক্ষমতা বা রোগের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে এবং সেসব রোগের বিভিন্ন কারণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। ‘ভায়াগ্রা’ জাতীয় ওষুধ লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যৌন আগ্রহ তৈরিতে বা দ্রুত বীর্য পতন রোধে এর কার্যকারিতা নেই। এমনকি লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যায় কেবল ‘ভায়াগ্রা’ জাতীয় ওষুধই কার্যকর – সেই ধারণাও সঠিক নয়। জীবনযাত্রার পরিবর্তন, সাইকোথেরাপি, সেক্স থেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিও প্রয়োজন। ব্যক্তিবিশেষের স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে একজন যৌন স্বাস্থ্য পেশাজীবীর সাথে পরামর্শ করা উচিত।
সুত্রঃ
- Miah, M. A. A., Al-Mamun, M. A., Khan, S., & Mozumder, M. K. (2015). Sexual myths and behavior of male patients with psychosexual dysfunction in sexual myths and behavior of male patients with psychosexual dysfunction in Bangladesh. Dhaka university journal of psychology, 39, 89-100.
- Kumar, P. (1993). Manual for Sex Myth Checklist. Vallabh Vidyanagar: Dept. of Psychology, Sardar Patel University
আরও পড়ুন: