যে অভ্যাস রপ্ত করলে বাড়বে স্মৃতিশক্তি

0
141
যে অভ্যাস রপ্ত করলে বাড়বে স্মৃতিশক্তি

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমে স্মৃতির দৌড়। কিন্তু আধুনিক জীবনযাপনের চাপ সে তথ্যকে কেবল বইয়ের পাতায় আটকে রেখেছে। তাই ভুলে যাওয়ার জন্য আজ আর কোনও বয়স হয় না। টুকটাক দোকান-বাজার থেকে কিছু আনার তালিকাই হোক বা দরকারি কোনও জিনিস কোথায় রাখলেন তার খোঁজ, জীবনে চলার পথে মাথার কাজ চালানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অফিস, বাড়ি, পাড়ায় সর্বত্রই।

আধুনিক গবেষণা বলছে, ব্যায়াম ও কিছু কিছু অ্যারোবিক্স মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। আপনি সে সব জানলেও নিয়ম করে হয়ত সে সব ব্যায়াম করে ওঠার সময় পান না। তা হলে উপায়? এমন কোনও অভ্যাস কি হতে পারে না যার প্রভাবে মাথাকে একটু কাজ করানো যায় ও মস্তিষ্কের কাজও হয়? আছে বইকি। প্রতি দিন কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখেন তো? তা হলেই যথেষ্ট। সেই সময়ের মধ্যে অভ্যাস করুন এগুলি, পারলে শিশুদেরও যুক্ত রাখুন এ সবের মধ্যে। তাদের মস্তিষ্কও ক্ষুরধার হবে এতে।
অবসরে চেষ্টা করুন ক্রশওয়ার্ড বা শব্দছক মেলাতে।

যে সময়টা অবসরের, তখন হাতে তুলে নিন ক্রশওয়ার্ড বা শব্দছক মেলানোর পাতা। বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে শব্দছক আকছার পাওয়া যায়। এ সব সমাধানের জন্য মস্তিষ্ককে খাটতে হয়, সঙ্গে শব্দের ভাঁড়ারও বাড়ে। শিশুদের বুদ্ধিমান করে তুলতে হলে ও ভাষার উপর তাদের দখল বাড়াতে গেলে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর।

গবেষণা বলছে, কল্পনাশক্তি শুধু মনকেই নরম করে না, স্মৃতিকেও পোক্ত করে। তাই শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান, তাদের কল্পনার দুনিয়ার শরিক হোন, রূপকথার গল্প বা বিভিন্ন গল্পের বই পড়ার ফাঁকে নিজের কল্পনাকেও ঝালিয়ে নিন। এতে মস্তিষ্ক সক্রিয় হবে ও মনে রাখা সহজ হবে।

অভিধান পড়ার অভ্যাস করুন। বাংলা হোক বা ইংরেজি, অভিধান পড়ে প্রতি দিন দশটি করে শব্দ লিখে রাখুন খাতায়। দিনের শেষে তার কতগুলি মনে রাখতে পারছেন দেখুন। না পারলে আবার পড়ুন, তার পর লিখে ফেলুন শব্দগুলি। প্রথম প্রথম অসফল হলেও এক সময় দেখবেন এই অভ্যাসের ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে সবগুলিই মনে রাখতে পারছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই অভ্যাস ভাষাজ্ঞান বাড়ায়, মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে ও শব্দের জোগানও বাড়ায়

গান বা কবিতা ভালবাসেন? তা হলে পছন্দের একটি তালিকা বানান। এ বার সেই গান বা কবিতা কোনটা কোন বই থেকে নেওয়া বা কোন সিনেমায় ব্যবহার হয়েছে তা ভাবুন। না পারলে জেনে নিয়ে লিখে রাখুন। মাঝে মাঝেই সে লেখার পাতা দেখুন ও না দেখে বলার চেষ্টা করুন সঠিক উত্তর। এতেও মাথাকে অনেকটা পরিশ্রম করতে হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন

 

Previous articleসুখকর স্মৃতি আপনার মন’কে সতেজ করে তোলে
Next articleমহামারীর এই দুঃসময়ে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়ার কিছু উপায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here