মনে রাখতে হবে, মেয়েটির এই অভ্যাস একদিনে গড়ে উঠেনি। মাথায় আঘাত করা ওর জন্য এখন একটি ভালো হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে। কোনো কিছু চাওয়া বা না পাওয়ার সাথে এটা সরাসরি জড়িত। ও বুঝে গেছে, এটা করলে ওর প্রয়োজনীয় চাহিদাটিও পূরন করে নিতে পারবে। আপনি লিখেছেন, ‘ও খুব সহজে রেগে যায়’। তার এই রাগটি কি খুব প্রয়োজনীয় রাগ, নাকি অপ্রয়োজনেই রেগে যায়। একেবারে যথন-তখন কারণ ছাড়া রেগে গেলে সেটাকে আলাদাভাবে ভাবতে হবে এবং মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। পিছনে সরাসরি কোনো শারীরিক বা মানসিক রোগ জড়িত কিনা সেটা বের করতে হবে। যদিও এটার হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ আপনি লিখেছেন ৬ বছর বয়স থেকে শুরু হয়েছে এবং এখন বয়স ৯। মানে অনেক দিন। তাই এটিকে অসংলগ্ন আচরণ হিসেবেই ভাবতে হচ্ছে।
বাবা-মা, বা অভিভাবক হিসেবে আমরা মেয়েটির কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য আচরণই আশা করবো। সুতরাং মাথায় আঘাত করার এই অভ্যাসটি দিয়ে ও যাতে ওর প্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত না থাকে সেটি খেয়াল করা এবং আদায় করা জরুরি। যেসব কাজ করতে পারেন- এক, কোনো ভাবেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিবেন না। ও যখন বুঝে যাবে এতে কাজ হবেনা। তখন ধীরে ধীরে সেই আচরণ থেকে সরে আসবে। বিষয়টিকে যতবেশি গুরুত্ব দিবেন বিষয়টি তত বেশি বাড়তে থাকবে। তার চাওয়া যদি অসংলগ্ন হয়, তবে সেটা দিবেন না বা করতে দিবেন না। এ ব্যাপারে আপনাদেরকে একটু শক্ত হতে হবে। বিষয়টি শুনতে বা মানতে কষ্ট হলেও এটিই করতে হবে। তবে, সাথে অন্য কোনো সমস্যা আছে কিনা সেটা বোঝার জন্য সরাসরি যোগাযোগ করলেই ভালো হয়। একটি কথা বলে রাখা দরকার, চিঠির উত্তর হিসেবে যে পরামর্শ দেয়া হয় সেটিতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ সবকিছু এখানে বোঝা যায়না। ধন্যবাদ।[/vc_message]
ইতি,
প্রফেসর ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক – মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার – মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর – সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
সম্পাদক – মনের খবর। চেম্বার তথ্য – ক্লিক করুন