গর্ভকালীন কিংবা শিশুর জন্মের পর এক বছর পর্যন্ত মায়ের মানসিক অবস্থা শিশুর বিকাশে ভূমিকা রাখে বলে জেএএমএ পেডিয়াট্রিক্স জার্নালে প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণায় জানানো হয়েছে।
গর্ভবতী মায়েরা ডিপ্রেশনে থাকলে শিশুর ক্ষতি হয় বলে আগেও একাধিক গবেষণায় জানা গেছে। কিন্তু জন্মের পর কতদিন পর্যন্ত মায়ের হতাশা শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলে সেটি নিয়ে বিতর্ক ছিল।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নরওয়ের প্রায় দুই লাখ গর্ভবতী এই গবেষণায় অংশ নেন।
গবেষকেরা বলছেন, গর্ভে থাকা অবস্থায় মায়েরা বেশি হতাশ থাকলে ভ্রূণকে উন্মোচিত করে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ঘনত্ব বাড়ায়। এতে শিশুর ব্রেনের পরিবর্তন হয়। পাশাপাশি রক্ত, অক্সিজেন এবং পুষ্টির প্রবাহ কমিয়ে দেয়!
গবেষকেরা দেখতে পান, গ্লুকোকর্টিকয়েড নামের হরমোন নারীর গর্ভস্থ ভ্রূণের পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ করে। মায়ের শরীরে হরমোনটির মাত্রা বৃদ্ধি পেলে নাড়ির মধ্য দিয়ে গ্লুকোজ সরবরাহ কমে যায়। এতে গর্ভস্থ শিশুর ওজন কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এতে জন্মের পরও ওই শিশু দীর্ঘমেয়াদি নানা রকমের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারে।
গবেষকেরা লিখেছেন, ‘যেসব নারী গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগে ভোগেন অথবা যাদের শরীরে গ্লুকোকর্টিকয়েডস বেশি মাত্রায় থাকে, তাদের সন্তান ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য নিয়ে জন্মাতে পারে।’
‘মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় নাড়ির নির্দিষ্ট কিছু জিন রূপান্তরিত হয়। এর মধ্যে রেডওয়ান নামের একটি জিন অক্সিজেনের মতো অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতির সংকেত দেয় এবং ভ্রূণের বৃদ্ধি ও পুষ্টি নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তকোষীয় পথে সক্রিয়তা নির্দেশ করে।’
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন