মেসিদের মানসিক হতাশা থেকেই আর্জেন্টিনা দল ড্র করেছে বলে মনে করেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞগণ। মেসি চেষ্টা করেছেন। খেলেছেনও ভালো। ফ্রিকিক থেকে দারুণ গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি তাঁর দল ড্র করেই মাঠ ছেড়েছে।
অন্যদিকে করোনা ভার করেছে গোটা আমেরিকা। যা থেকে বাদ যায়নি কোপা আমেরিকার ফুটবল দলগুলোও। কোপা আমেরিকায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন দলের ফুটবলাররাও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যার প্রভাব ফেলেছে প্রতিটি দলে ফুটবল খেলায়।
ম্যাচ শেষেও নিজেদের কমতিগুলোই চোখে পড়েছে মেসির। বল নিয়ন্ত্রণে নিজেদের অক্ষমতার পাশাপাশি ড্রয়ের পেছনে আরও কিছু কারণ বের হয়ে এসেছে মেসির কাছে, ‘ম্যাচটা বেশ কঠিন ছিল। আমরা ভালোভাবে খেলতে পারিনি, বলের নিয়ন্ত্রণ ঠিকমতো রাখতে পারিনি, দ্রুতগতিতে খেলতে পারিনি। ওই পেনাল্টিই ম্যাচ বদলে দিয়েছিল।’
কিন্তু তা সত্ত্বেও আশা হারাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি। সামনের দিকে দৃষ্টি তাঁর। আগামী ম্যাচে এই ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে আবারও এগিয়ে যেতে চান। ‘আমরা জিতে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চেয়েছিলাম। আমাদের সামনে এখন উরুগুয়ে আছে, যে ম্যাচটাও যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু আমাদের অবশ্যই পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করতে হবে এখন।’
নিজেদের খেলার যে উন্নতি দরকার, সেটা চোখে পড়েছে আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজেরও। চিলির গোলের পথে প্রথমে পেনাল্টি আটকাতে পারলেও পরে ফিরতি শটে গোল খাওয়া এই গোলকিপার অবশ্য নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে আশাবাদী, ‘অনেক কিছুর উন্নতি দরকার।
আমরা বেশি কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছি যা বেশ ভালো ছিল। একটা ঠিক হলে আস্তে আস্তে সব কাজ ঠিক হতে থাকবে। আমাদের দলটা অনেক ঐক্যবদ্ধ ও আমরা আমাদের ক্ষমতার ওপর ভরসা রাখি।’
প্রথমার্ধে নিজের ট্রেডমার্ক এক ফ্রি-কিক থেকে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। শুরুতে কী দুর্দান্তই না খেলছিল তখন আর্জেন্টিনা, আত্মবিশ্বাস টগবগ করছিল যেন।
ওদিকে চিলি যেন একটু খোলসে ঢুকে ছিল। কিন্তু শেষমেশ ১-১ গোলে ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে চিলি। ওদিকে রক্ষণাত্মক ভুলের জন্য গোল খেয়ে মাথা চাপড়াচ্ছে আর্জেন্টিনা।