আজ ‘দ্যা প্রিন্সেস ট্রাস্ট ম্যাকুয়েরি ইউথ ইন্ডেক্স’ একটি প্রতিবেদন বের করেছে যেখানে প্রত্যেক ৪ জন তরুণের মধ্যে ১ জন যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে সে কারোর উপর নির্ভর করে না। এটি একটি ভীতিকর পরিসংখ্যান তবে আরো উদ্বেগজনক কেননা তরুণরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কথা জানাচ্ছে না কিংবা জানাতে চাচ্ছে না। কেন তরুণরা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কথা প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এটি উদ্বেগের ব্যাপার।
ট্রাস্ট এর গবেষণায় দেখা গেছে যেসব তরুণরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে তারা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার কথা প্রকাশ করছে না কারণ এটি তাদের চাকুরিতে প্রভাব ফেলতে পারে। শতকরা ৫৭ ভাগ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত তরুণ জানায় না তারা কি পরিস্থিতির সাথে মোকাবিলা করছে।
এগুলো ঠান্ডা পরিসংখ্যান, তবে এই পরিসংখ্যান গুলোই তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে তাদের ধারণা এবং তাদের প্রতিক্রিয়া পরিবর্তন করার একটি পদ্ধতি হতে পারে। যদি আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কিত ধারণা পরিবর্তন করতে কাজ করি তবে শতকরা ৭৮ ভাগ তরুণ যাদের বিশ্বাস এখনও জীবিত এবং যারা এখনো তাদের সমস্যার কথা প্রকাশ করেন নি তারা হয়ত তাদের পরিস্থিতি ও সমস্যার কথা প্রকাশ করবে এবং পরামর্শ চাইবে এবং হয়ত তাদের সমর্থনের প্রয়োজন তা পাবে।
প্রিন্সেস ট্রাস্টে আমরা তাই চেষ্টা করছি যে তরুণরা যেন তাদের প্রাপ্য চাকুরী পায়, প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা পায়। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেন তাদের উন্নতির পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। এজন্যই আমরা স্বক্রিয় ও সামগ্রিকভাবে কার্যক্রম চালানোর জন্য ভাল মানসিক স্বাস্থ্য এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়ার জন্য উৎসাহিত করে যাচ্ছি। এভাবেই আমরা উদাহরণ তৈরী করে নেতৃত্ব দিয়ে যাব।
আমরা আমাদের লন্ডনের ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্য উন্নীত করার কার্যক্রমে শিক্ষাগত যোগ্যতা, ব্যক্তিগত উন্নতি, কর্মসংস্থান কর্মসূচি এধরণের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি যা তরুণদের আত্নমর্যাদা, আত্নসম্মান বোধ বাড়াতে সাহায্য করবে। এবং তাদের চাকুরীর ক্ষেত্রে তারা সুবিধা পাবে।
যেসব তরুণরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে তাদের সমর্থন করার জন্য আমরা একটি নতুন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কিত কৌশল চালু করতে যাচ্ছি ‘দ্যা রয়েল মেইল গ্রুপ’ আমাদের কৌশল টিকে সমর্থন করেছে। এই কৌশলটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কিত পাংশু ধারণা বদলাতে এবং যেসব তরুণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে তাদের সাথে যেকোন আলাপচারিতায় গতি আনার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
এই কৌশলটির অংশ হিসেবে আমরা যেসব তরুণরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে তাদের সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সুবিধা দেয়া হবে যারা এই সুবিধা দিয়ে থাকবেন তারা মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ তারা ১৮ প্রিন্সেস ট্রাস্ট লন্ডনের অংশীদার। এটি যেসব তরুণরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে তাদের নিশ্চিত করবে যে তারা একা নয় এবং তারা যেকোন মুহুর্তে সবচেয়ে ভাল মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকবেন।
আমরা ধীরে ধীরে অনলাইন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান শুরু করব সেজন্য আমাদের আরো সূক্ষ্মভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে কাজ করতে হবে। অনলাইন সেবা প্রদান করা হলে তরুণরা যেকোন সময় যেকোন জায়গা থেকে তাদের সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের জানতে পারবেন এবং সেবা নিতে পারবেন। আমরা আরো নতুন প্রশিক্ষণ চালু করব যেখানে তরুণরা তাদের মানসিক সমস্যা সম্পর্কে জানাবে এবং তাদের বর্তমান পরিস্থিতি প্রকাশ করবে। এই প্রশিক্ষণটি তাদের মধ্যে আত্নবিশ্বাস তৈরী করবে।
একটি ভাল ফলাফলের জন্য আমদের সবার কাজ করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে পাংশু ধারণা পরিবর্তনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সবার সাহায্য পারে তরুণদের জীবনে সাফল্য ডেকে আনতে।
তথ্যসূত্র- হাফিংটন পোষ্ট
(http://www.huffingtonpost.co.uk/chris-harris1/mental-health_b_15077002.html)
রুবাইয়াত মুরসালিন, আন্তর্জাতিড ডেস্ক
মনেরখবর.কম