মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন হয়তো ব্যাথা বন্ধ করতে পারে। এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। যেখানে উইন্সটন সালেমের ওয়েক ফরেস্ট ব্যাপ্টিস্ট মেডিকাল সেন্টা্রের নিউরোবায়োলজি ও এনাটমির এসিস্টেন্ট প্রফেসর এবং এই গবেষণার প্রধান ফাদেল জিদান বলেন, ‘মাইন্ডফুলনেস মানে হলো অতিরিক্ত আবেগী প্রতিক্রিয়া বা অভিমত ছাড়া বর্তমান মুহূর্ত সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা। আমরা জানি কিছু ব্যক্তি অন্যদের থেকে বেশি মাইন্ডফুল হয় এবং তারা তুলনামূলকভাবে কম ব্যাথা অনুভব করে।
গবেষণাটি ২০১৫ সালের একটি গবেষণার দ্বিতীয় ধাপ। যা কিনা মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনকে প্লাসিবোর পেইনকিলারের সাথে তুলনা করেছে। এই নতুন গবেষনার জন্য এমন ৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবী নেওয়া হয়েছে, যারা কিনা কখনো মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন করেনি।
গবেষনায় অংশগ্রহনকারীদের বেদনাদায়ন গরম উদ্দীপক দেয়া অবস্থায় এমআরআই দ্বারা মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়।
গবেষকরা সেখানে পেয়েছেন যে, যাদের মাইন্ডফুলনেসের পরিমাণ বেশি তারা এই উত্তাপ পরীক্ষায় মস্তিষ্কের একটা অংশ পোস্টেরিয়র সিংগুলেট করটেক্সকে অধিক পরিমাণে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। যাদের ব্যাথা পাওয়ার পরিমাণ ছিলো বেশি, তাদের মস্তিষ্কের এই অংশটা অধিক পরিমাণ সক্রিয় ছিল।
জিদান জনান, মস্তিষ্কের যে নেটওয়ার্ক পোস্টেরিয়র সিংগুলেট করটেক্স থেকে মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল করটেক্স ব্যাপি বিস্তৃত, তা ক্রমাগত ভাবে তথ্য আদান প্রদান করতে থাকে। এই নেটওয়ার্কটি নিজের এবং মনোমুগ্ধতার সাথে সম্পর্কিত। যখনই আপনি একটা কাজ করা শুরু করেন, মস্তিষ্কের এই দুই অংশর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় এবং মস্তিষ্ক তথ্যগুলো অন্যন্য স্নায়ুবিক অংশে প্রেরণ করে।
এই প্রতিবেদনটি পেইন নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।
জিদান আরো জানান, এখন নতুন কার্যকরী পেইন থেরাপির উন্নয়নের জন্য মস্তিষ্কের এই অংশটিকে লক্ষ্য করার নতুন প্রমাণ পেলাম। আরো গুরুত্বপূর্ণভাবে আমাদের একজন মানুষের মাইন্ডফুলনেসের বিষয়টা বিবেচনায় রাখতে হবে, সে কতটা এবং কেন ব্যথা পায় তার পরিমাপের জন্য।
তার দলের পূর্বোক্ত গবেষণার সূত্র ধরে জিদান বলেন, ‘আমরা জানি আমরা কিভাবে মাইন্ডফুলনেসকে কিভাবে মাইন্ডফুলনেস প্রশিক্ষনের মাধ্যমে উন্নত করতে পারি। সুতরাং অনেক মানুষ যারা প্রচন্ড ব্যাথায় ভুগছে, এটি তাদের ব্যাথা উপশমের একটা কার্যকরী উপায় হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেল্থ ডে।
অনুবাটি করেছেন মাঈশা তাহসিন অর্থী।