বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে ক্রমেই ক্ষোভ, চাপ ও উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। ২০১৮ সালের সূচক অনুযায়ী তৈরি করা এই প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৪০টি দেশের ১ লাখ ৫১ হাজার ব্যক্তির সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে। আমেরিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের এক জরিপের বরাত দিয়ে শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।
জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি তিনজনে একজন বলেছেন, তিনি মানসিকভাবে হতাশায় ভুগছেন। আর পাঁচজনের মধ্যে একজন দুর্দশা অথবা ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
গ্যালাপের তথ্যমতে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক হলেন চাদের মানুষ; আর ইতিবাচক মানুষের বসবাস প্যারাগুয়েতে।
জরিপে অংশ নেওয়া মানুষদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- গতকাল কি আপনি পর্যাপ্ত হেসেছিলেন এবং আপনার সঙ্গে কি ভালো ব্যবহার করা হয়েছে? শতকরা ৭১ ভাগ মানুষ বলেছেন- তারা যেটা পেয়েছেন তা বিবেচনার যোগ্য।
গ্যালাপ বলছে, জরিপে দেখা গেছে; মানসিক চাপটাই সবচেয়ে বেড়েছে। সঙ্গে উদ্বেগ ও দুর্দশা তো বেড়েছেই। জরিপের অংশগ্রণকারী ব্যক্তিদের ৩৯ ভাগই জরিপ পরিচালনার আগের দিন খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন; আর ৩৫ ভাগ মানুষ ছিলেন মানসিক চাপে।
জরিপে বিশ্বের সর্বনিম্ন ইতিবাচক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দেশগুলোর তালিকায় অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ইতিবাচক অভিজ্ঞতা সূচকে ৫৬ স্কোর অর্জন করে সর্বনিম্ন ইতিবাচক অভিজ্ঞতার ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে। একই স্কোর নিয়ে তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে মিসর এবং দ্বিতীয় অবস্থানে শাদ। ৫৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে নেপাল। ৪৩ স্কোর নিয়ে তালিকার সবচেয়ে নিচে আফগানিস্তান।
সর্বোচ্চ ইতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে প্যারাগুয়ের পর আছে পানামা (৮৫), গুয়েতেমালা (৮৪), মেপিকো (৮৪) এবং এল সালভাদর (৮৩)। অন্যদিকে সর্বোচ্চ নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সূচকে শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় চাদের পর আছে নাইজার, সিয়েরালিওন, ইরাক এবং ইরান।