জানা গেছে, শুধু বিশ্বকাপই নয়; অংশীদারিত্বের চুক্তির ভিত্তিতে আইসিসি তার অন্যান্য ইভেন্টের সম্প্রচার এবং ডিজিটাল চ্যানেলসহ বিশ্বব্যাপী তাদের সকল প্ল্যাটফর্মে ইউনিসেফের মানসিক স্বাস্খ্য বিষয়ক প্রচারণা চালাবে। কোন বিষয়গুলো শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে, কীভাবে নীরবতা ভেঙে মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা সম্পর্কে কথা বলা যায়, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলিকে অবজ্ঞা না করা, কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা চাওয়া এবং শিশুদের মানসিক সুস্থতার জন্য পিতামাতা এবং প্রাপ্তবয়স্করা কী করতে পারেন এ সংক্রান্ত বার্তা প্রচার করবে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল যে, করোনা মহামারীর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য। এবং এর কারণে বিশ্বে জুড়ে পরবর্তী মহামারী মানসিক স্বাস্থ্যের হতে পারে বলে আশাঙ্কা সংস্থাটির। তাই বিশ্বের অনেক দেশ এবং সংস্থাই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টি নিয়ে আগের চেয়ে একটু বেশিই যেন নড়েচড়ে বসেছে। আয়োজন করছে নানা সচতেনতা মূলক কার্যক্রম।
এবার সেই কার্যক্রম দেখা গেল চলতি টি-টোয়িন্টে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে। যারা নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখে থাকেন তারা প্রত্যেকেই হয়তো দেখেছেন টি-টোয়িন্টে বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ চলার সময় টিভি স্ক্রিনে ভেসে উঠছে Break stigma around mental health লেখা বার্তা। যেখানে দেখা যাচ্ছে হ্যাশট্যাগ অন মাই মাইন্ড #OnMyMind ক্যাম্পেইন।
আসলে #OnYourMind হচ্ছে বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে ইউনিসেফের প্রচারাভিযান। এবার ইউনিসেফ এর এই প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছে ক্রিকেটের আন্তজার্তিক সংস্থা আইসিসি। সংস্থাটি বলছে, যেহেতেু বিশ্বের অনেক মানুষ ক্রিকেট খেলা দেখছে তাই খেলা চলাকালে তাদের এই বার্তা ইউনিসেফ এর কার্যক্রমকে বিস্তৃত করবে।
যদিও এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে বায়োবাবলে থাকা খেলায়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে মনোবিদের সহায়তা নিয়েছে আইসিসি।
আরও পড়ুন: জৈব সুরক্ষা বলয়ে বিশ্বকাপ: খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় আইসিসি
আর এবার খেলা চলাকালে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দিয়ে মূলত বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে শিশু কিশোরদের আগ্রহ বাড়ানোর কথা বলছে আইসিসি এবং ইউনিসেফ।
সাম্প্রতিক গবেষণার বরাত দিয়ে ইউনিসেফ বলছে, বর্তমান বিশ্বের ১০-১৯ বছর বয়সীদের প্রতি ৭ জনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে।
যেহেতু বিশ্বের কোটি কোটি শিশু, কিশোর ও তরুণরা ক্রিকেট দেখে তাই আইসিসির সাথে অংশীদারিত্ব মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার বিষয়ে প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরছে ইউনিসেফ।
সংস্থাটি বলছে মানসিক সুস্থতা ছাড়া পরিপূর্ণ সুস্থতা সম্ভব নয়, আর করোনা মহামারী বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যকে পুরোপুরি বির্পযস্ত করে দিয়েছে। এ্ই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার বিকল্প নেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে #OnYourMind বা #OnMyMind ক্যাম্পেইন মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক সুস্থতার প্রতি আরও বেশি আগ্রহী এবং এবিষয়ে কথা বলতে উৎসাহিত করবে।
জানা গেছে, শুধু বিশ্বকাপই নয়; অংশীদারিত্বের চুক্তির ভিত্তিতে আইসিসি তার অন্যান্য ইভেন্টের সম্প্রচার এবং ডিজিটাল চ্যানেলসহ বিশ্বব্যাপী তাদের সকল প্ল্যাটফর্মে ইউনিসেফের মানসিক স্বাস্খ্য বিষয়ক প্রচারণা চালাবে। কোন বিষয়গুলো শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে, কীভাবে নীরবতা ভেঙে মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা সম্পর্কে কথা বলা যায়, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলিকে অবজ্ঞা না করা, কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা চাওয়া এবং শিশুদের মানসিক সুস্থতার জন্য পিতামাতা এবং প্রাপ্তবয়স্করা কী করতে পারেন এ সংক্রান্ত বার্তা প্রচার করবে।