পিতামাতার ধর্মীয় বিশ্বাস সন্তানের আত্মহত্যার ঝুঁকি কমায়

0
60
আত্মহত্যা বিষয়ক সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদ

ধার্মিক পিতামাতার সন্তানদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকি কম থাকে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে। জেএএমএ সাইকিয়াট্রি এই গবেষণা প্রকাশ করেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, পিতামাতার ধর্মীয় বিশ্বাস তাদের সন্তানদের মধ্যে কার্যকরভাবে আত্মঘাতী হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিয়েছে।

গবেষকদ্বয়- কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কনি সভ্‌ব ও নিউইয়র্ক স্টেট অব সাইকিয়াট্রিক ইনস্টিটিউটের উইকরামারাত্নে জানান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী আত্মঘাতী হওয়ার মনোভাব পোষণ করে।
তাছাড়া ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী নারীদের অন্যতম মৃত্যুর কারণ হলো আত্মহত্যা। গবেষকরা এই সমস্যার কারণ ও তার সমাধান খুঁজতে গিয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেন। তারা পিতামাতার ধর্মীয় বিশ্বাস সন্তানদের আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা কমায় কিনা তা নিয়ে আলোকপাত করেন।

গবেষকরা চলমান তিন প্রজন্মের ওপর গবেষণা চালান। তারা ১১২টি দম্পতি কেন্দ্রিক (স্বামী-স্ত্রী আর সন্তান) পরিবারের ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী ২১৪টি শিশুর ওপর এ গবেষণা চালান।

গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়ে শিশুদের মধ্যে ধর্মবিশ্বাস আত্মঘাতী আচরণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। অপরদিকে পিতামাতার ধর্মবিশ্বাস তাদের সন্তানদের ওপর বেশ কার্যকরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে এবং সন্তানদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

পিএসওয়াই পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সভ্‌ব ও উইকরামারাত্নে বলেন, যেসব পিতামাতা গুরুত্বের সাথে ধর্মীয় বিশ্বাস প্রতিপালন করেন তাদের সন্তানদের মধ্যে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা ও এ সম্পর্কিত চিন্তাভাবনা ধর্মে অবিশ্বাসী পিতামাতার সন্তানদের চেয়ে ৮০ শতাংশ কম।

এই ফলাফল ধর্মের গুরুত্ব এবং পিতামাতার অন্যান্য সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়গুলি যেমন- পিতামাতার বিষণ্ণতা, আত্মঘাতী আচরণ কিংবা বিবাহবিচ্ছেদ থেকে শিশুর নিজের বিশ্বাস (কিংবা বিশ্বাসের অভাব) থেকে মুক্ত ছিল বলেও জানান গবেষকরা।

গবেষকদের মত হলো, শিশুদের আত্মঘাতী আচরণ ও চিন্তাভাবনা থেকে দূরে রাখতে পিতামাতার ধর্মীয় বিশ্বাসসমূহ পরিত্যাগ করা মোটেও উচিত নয়।

তৌহিদ সোহান
তথ্যসূত্র : পিএসওয়াই পোস্ট
ওয়েব লিংক : https://www.psypost.org/2018/08/children-of-religious-parents-have-a-reduced-risk-of-suicidal-behavior-study-finds-51921

Previous articleকোভিড ১৯: চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা
Next articleমানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here