পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে ঘর জীবাণুমুক্ত করবেন যেভাবে

আমরা সবাই জানি, ভাইরাস এবং জীবাণু অত্যন্ত সংক্রামক। পরিবারের কোনো সদস্য অসুস্থ হলে দ্রুতই অন্যদের মধ্যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়। এর কারণ হলো, অসুস্থ ব্যক্তির মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায় যা কয়েকদিন ধরে বাড়ির বিভিন্ন পৃষ্ঠে থেকে যেতে পারে। সেখান থেকে বাকিরা সংক্রমিত হতে পারে।

যখন আপনার পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তখন বাড়িতে থাকা প্রত্যেককে সুস্থ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিশ্চিত করার অন্যতম সহজ উপায় হলো, বাড়ি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা। যেসব জায়গা থেকে জীবাণু বেশি ছড়াতে পারে, সেসব জায়গায় জীবাণুনাশক ব্যবহার করা উচিত। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানাচ্ছে পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে ঘর জীবাণুমুক্ত করার সঠিক উপায়-

অসুস্থ ব্যক্তিকে আলাদা রাখুন
অসুস্থ ব্যক্তি কাশি, হাঁচি বা কথা বললে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। যেখানটাতে ভাইরাস রয়েছে তা স্পর্শ করেও আপনি প্যাথোজেনের সংস্পর্শে আসতে পারেন। সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য, অসুস্থ ব্যক্তিকে একটি আলাদা কক্ষে রাখতে হবে। এতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জীবাণুর সংস্পর্শ অনেকটাই এড়িয়ে চলতে পারবেন এবং কম জায়গা পরিষ্কার করতে হবে। তবে মরে রাখতে হবে যে আলাদা রাখা মানেই তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া নয়। তার সাথে সবাই স্বাভাবিক আচরণ ও সহযোগিতা করতে হবে।

যেসব জায়গায় বেশি স্পর্শ করা হয়
যদিও বাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখা স্বাভাবিক পরিচ্ছন্নতার অংশ হওয়া উচিত, তবে কেউ অসুস্থ হলে এর প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। ক্যাবিনেট, ডোর নব, ফ্রিজের হ্যান্ডেল, রিমোট এবং সেল ফোনের মতো জিনিস, যা বেশি স্পর্শ করা হয় তা পরিষ্কার রাখা জরুরি। স্পঞ্জের চেয়ে ডিসপোজেবল কাগজের তোয়ালে দিয়ে পরিষ্কার করা ভালো। স্পঞ্জ বা তোয়ালে ব্যবহারের মাধ্যমে অন্যান্য জায়গায় জীবাণু ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

শোবার ঘর
আমরা যখন অসুস্থ থাকি তখন আমাদের বেশিরভাগ সময় বিশ্রামে ব্যয় করি। ঠান্ডা বা জ্বরে ভুগলে বিছানায় থাকার কারণে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া বিছানার চাদরে থেকে যেতে পারে। তাই রোগী সুস্থ হয়ে গেলেও বিছানার চাদর না ধুয়ে ব্যবহার করা উচিত নয়।

লিভিং রুম
বসার ঘরে দূষণ রোধ করতে, পরিষ্কার চাদর দিয়ে আসবাব ঢেকে রাখুন। সম্ভব হলে অসুস্থ ব্যক্তিকে আলাদা চেয়ারে বসান। নকশাযুক্ত কুশন এড়িয়ে চলুন এবং প্রতিদিন চেয়ার-টেবিলগুলো পরিষ্কার করুন।

বাথরুম
বাথরুম জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়ার জন্য প্রজননক্ষেত্র। এন্টিব্যাক্টেরিয়াল জীবাণুনাশক দিয়ে তাদের নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। যদি আপনি অসুস্থ ব্যক্তির সাথে বাথরুম শেয়ার করেন তবে এটি নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে বাথরুমের কল এবং ডোর নবগুলোর মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। তাই এগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার করুন এবং সিঙ্ক এবং মেঝে সঠিকভাবে মুছুন। অসুস্থ ব্যক্তির তোয়ালে ব্যবহার করবেন না কারণ এটি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

রান্নাঘর
অসুস্থ ব্যক্তির থালা-বাসন পরিষ্কার করা হয় রান্নাঘরেই। আবার বেসিনে যদি সে হাত ধুতে আসে তবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য হ্যান্ড ওয়াশই যথেষ্ট। টেবিল, চেয়ার ব্যাক, ফ্রিজের হ্যান্ডেল এবং ড্রয়ারের মতো বেশি স্পর্শ করা হয় এমন সব জিনিস জীবাণুনাশক ওয়াইপ এবং স্প্রে দিয়ে মুছে ফেলা উচিত।

কাপড় পরিষ্কার
অসুস্থ ব্যক্তির তোয়ালে, বিছানা এবং কাপড় আলাদাভাবে পরিষ্কার করুন। এগুলো ধোয়ার পরে পরে আপনার হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন

Previous articleমাস্ক পরার সময় খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়
Next articleআপনার শিশু কি করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here