Close Menu
    What's Hot

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Thursday, October 16
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 14, 2025

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      Recent

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

      বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      মনস্তত্ত্ব December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » নেশার চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
    মাদকাসক্তি

    নেশার চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়

    প্রতিবেদক, মনের খবরBy প্রতিবেদক, মনের খবরSeptember 14, 2021No Comments9 Mins Read14 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    নেশার চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    নেশার বিষয়ে মূল লেখাতে যাবার আগে ছোট্ট একটা ভূমিকা দিয়ে শুরু করা যাক। ধরা যাক একজন লোকের একটা টাকার গাছ আছে, গাছের পাতাগুলো সবই টাকা।

    এখন হঠাৎ একদিন তাকে বলা হলো গাছটা কেটে ফেলো। তো, স্বাভাবিকভাবেই সবার মনে একটা প্রশ্ন জেগে উঠবে, এমনকি যারা এই লেখাটা পড়ছেন তাদের মনেও এই প্রশ্নটা উদয় হবে যে কেন গাছটা কেটে ফেলবে। নেশার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য- কেন নেশা থেকে মুক্তি পাবেন।

    এই কেন‘র উত্তরটা ঠিক না করে মাদক থেকে মুক্তি পাওয়ার চিন্তা করাটাও সঠিক হবে না। সুতরাং আপনাকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে কেন আপনি নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান। একেক মানুষের ক্ষেত্রে উত্তরটা একেকরকম হতে পারে, তবে প্রায় সবার ক্ষেত্রেই কমন কতগুলো কারণ থাকে।

    প্রথমে কেন আমরা নেশা ছাড়ব এই বিষয় নিয়ে দু-একটা কারণ বলব-

    এক: নেশা করলে শারীরিক ক্ষতি হয়। এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা সবাই জানি সকল প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্য যেমন- মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন এমনকি সিগারেট এগুলো সবগুলোই আমাদের লিভার, কিডনি, ব্রেইন ইত্যাদির মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।

    পাশাপাশি এগুলো ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এবং আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। অর্থাৎ কেউ যদি দ্রুত মারা যেতে না চান বা অসুস্থ না হতে চান তাহলে তাকে নেশা অর্থাৎ মাদক অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে।

    দুই: প্রায় বেশিরভাগ মানুষ নেশা করেন মূলত দুইটি কারণেÑ প্রথমত, নেশা করলে আনন্দের অনুভূতি হয় আর দ্বিতীয়ত, দুঃখ কষ্ট ভুলে থাকার জন্য মানুষ নেশা করে।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে আর কি এমন কোনো উপায় বা মাধ্যম নেই যা দিয়ে আমরা আনন্দ পেতে পারি কিংবা দুঃখ ভুলে থাকতে পারি? উত্তর হলো অবশ্যই আছে এবং অসংখ্য উপায় আছে। তাহলে কেন আপনি অযথা আনন্দ পাওয়ার জন্য অথবা দুঃখ ভোলার জন্য এই ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক বিষয়টিকে আপন করে নিচ্ছেন?

    এ ছাড়াও ছোটোখাটো কিছু কারণ আছে যেমন- বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে কিংবা পরীক্ষা শেষ হলে একদিন সবাই মিলে ফূর্তি করতে কিংবা মাঝেমধ্যে নেশা না করলে আমাকে কেউ স্মার্ট মনে করবে না এমন ভাবনা থেকে অনেকে নেশা করেন।

    আপনি যখন মাদক ছাড়ার শক্তিশালী ও যৌক্তিক কারণটা নির্বাচন করে ফেলতে পারবেন তখনই ধরে নেবেন আপনি অর্ধেক পথ এগিয়ে গিয়েছেন মাদক ছাড়ার ক্ষেত্রে। এরপর আপনি কিছু নিয়ম মেনে চললে সম্পূর্ণ মাদক থেকে বিরত থাকতে পারবেন। এখন এই বিষয়গুলো নিয়েই কিছু আলোচনা করব।

    কীভাবে মাদকের চিন্তা থেকে দূরে থাকবেন বা কীভাবে নেশা ছেড়ে দেবেন?

    আপনি যদি মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী হন অর্থাৎ আপনার নিজের মনের ওপর যদি আপনার নিয়ন্ত্রণ খুব বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে প্রথম দিন থেকে আপনি সম্পূর্ণরূপে নেশা ছেড়ে দিতে পারেন এবং এটাই সব থেকে ভালো। কিন্তু যদি এরকম হয় যে, না একবারে নেশা ছাড়তে গেলে আপনার পক্ষে এটা খুব বেশি কষ্টকর হয়ে যাবে, সেক্ষেত্রে আপনি ধীরে ধীরে নেশা ছাড়তে পারেন।

    যেমন উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ধুমপায়ী হয়ে থাকেন এবং দৈনিক যদি আপনি বিশটা সিগারেট খান, তাহলে প্রথমে এক সপ্তাহ আপনি টার্গেট করবেন দশটা করে সিগারেট খাওয়া। পরের এক সপ্তাহে আপনি পাঁচটা করে সিগারেট খাবেন।

    অথবা আপনি যদি নিয়মিত দুই পেগ করে অ্যালকোহল পান করেন, তাহলে আপনি প্রথম এক সপ্তাহে এক পেগ অ্যালকোহল পান করবেন। এরপরে পরের সপ্তাহে আধা পেগ, তার পরের সপ্তাহে তার অর্ধেক পান করবেন।

    অর্থাৎ আপনি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে নেবেন যে আপনি যে-পরিমাণ নেশা করেন, এক সপ্তাহে তার অর্ধেক পরিমাণ নেশা করবেন, পরের সপ্তাহে তার অর্ধেক পরিমাণÑএভাবে সর্বোচ্চ ৬ সপ্তাহের মধ্যে আপনি সম্পূর্ণরূপে নেশা ছেড়ে দেবেন।

    নেশাদ্রব্য-আসক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে নিচে কতগুলো আইডিয়ার কথা উপস্থাপন করা হয়েছে। যেগুলোকে আমরা বলতে পারি স্মার্ট আইডিয়া-

    প্রচণ্ড ইচ্ছা শক্তি

    নেশা ছাড়ার প্রথম ও প্রধান উপায় হচ্ছে প্রবল ইচ্ছা। যারা নেশা করেন তাদের অনেকের কাছেই নেশা করাটা কোনো অপরাধ না, তারা এটাকে কোনো সমস্যাই মনে করেন না। অন্যদিকে যারা উপলব্ধি করতে পারেন যে এটা তার জন্য খারাপ বা কাজটা ভুল তাদের মধ্যে এই অভিশপ্ত জীবন থেকে বেরিয়ে আসার ইচ্ছা জাগ্রত হয়।

    যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি ইচ্ছা করছেন যে আপনি নেশা ছেড়ে দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কোনোভাবেই নেশা ছাড়তে পারবেন না এবং নেশা থেকে মুক্তির চিন্তা করাটাও একরকম বোকামি। তাই সবার আগে একটা প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করা নেশা ছাড়ার অন্যতম পূর্বশর্ত।

    এক্ষেত্রে আপনি একটি যেকোনো দিনকে বেছে নিতে পারেন, যেমন ধরুন আমি আগামী শুক্রবার থেকে আর নেশা করব না অথবা আগামী শুক্রবার থেকে আমি যে পরিমাণ নেশাদ্রব্য সেবন করি তার অর্ধেক পরিমাণ সেবন করব।

    এটা করলে যেটা হবে আপনার মধ্যে একটা পরিকল্পনা অনুযায়ী বা একটা ছক অনুযায়ী কাজ করার আগ্রহ তৈরি হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে লক্ষ্যে পৌঁছানোটা অনেক সহজ হয়।

    সাহায্য চাওয়া

    যখন আপনি ইচ্ছে করবেন যে আপনি মাদক ছেড়ে দেবেন, তখন আপনার দরকার সাহায্য আর এই সাহায্যটা নিতে হবে আপনার সব থেকে কাছের মানুষদের কাছ থেকে। আপনি যাদের সঙ্গে সারাদিন পার করেন যেমন পরিবারের সদস্য, আপনজন বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীÑএক কথায় যারা আপনার ভালো চান তাদের সাহায্য গ্রহণ করুন। আপনি খুব সহজেই নেশা ছাড়তে পারবেন।

    সততা

    বর্তমান নেশা থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে অন্যকোনো নেশা যেমন জুয়াখেলা, ধুমপান ইত্যাদির দিকে ঠেঁলে দেবেন না। এ বিষয়ে আপনাকে খুব বেশি যত্নশীল হতে হবে।

    ধৈর্য

    এক্ষেত্রে ধৈর্য আপনাকে ধরতেই হবে। মনে রাখবেন এক রাতেই নেশাদ্রব্যের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। যদি নেশা ছেড়ে দেয়ার কারণে আপনার শরীরে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, সেই অবস্থায় আবার নেশা শুরু করবেন না।

    ভালোভাবে লক্ষ করুন এই অবাঞ্চিত সমস্যার মূল কারণ কী এবং পরবর্তীতে সেই কারণ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন অবাঞ্ছিত লক্ষণ বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া খুবই ক্ষণস্থায়ী। আপনি যদি আর নেশা না করেন তাহলে প্রাকৃতিক নিয়মেই নেশার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থগুলো শরীর থেকে আপনাআপনি বের হয়ে যাবে। যাকে আমরা detoxification বলে থাকি।

    অর্থাৎ শুধু এটুকু মনে রাখবেন নেশা ছাড়ার পর শরীরে যে সমস্ত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তা তীব্র হলেও খুবই ক্ষণস্থায়ী এবং শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে আপনি সম্পূর্ণ সতেজ একজন মানুষে পরিণত হবেন।

    সুতরাং একটু ধৈর্যের সঙ্গে এই সময়টুকুর মোকাবিলা করুন। এক্ষেত্রে আগে থেকে বিষয়টি জানা থাকলে এই কঠিন সময়টুকু পার করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

    স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পর্যাপ্ত ঘুম

    আপনার খাবার যেন স্বাস্থ্যকর হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। কোনো এক বেলায় অধিক খেলাম আর একবেলা কিছুই খেলাম না, এমনটা কখনোই করবেন না। ফাস্টফুড, কোল্ডড্রিংস কিংবা অধিক চিনি জাতীয় খাদ্য এগুলো পরিহার করার চেষ্টা করুন এবং শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।

    খাদ্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেও নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে কারও ঘুম একটু বেশি কারও একটু কম হতে পারে এটা তেমন কোনো সমস্যা নয়, মূল বিষয় যেটা লক্ষ রাখতে হবে সেটা হলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা।

    পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর থেকে রাসায়নিক পদার্থগুলো বের হয়ে যায়। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রফুল্লতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

    অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ করুন

    যেসব জায়গায় গিয়ে আপনি নেশাদ্রব্য সেবন করতেন কিংবা ক্রয় করেছেন সেসব জায়গায় যাতায়াত বন্ধ করুন। সেইসঙ্গে যাদের সঙ্গে আপনি নেশা করতেন, তাদের সঙ্গ ত্যাগ করুন, যারা নেশাদ্রব্য গ্রহণ করে না, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন।

    এবার আসা যাক নেশাদ্রব্যের প্রতি পুনরায় আকর্ষণ বোধ করলে কী করবেন?

    একবার নেশা ছেড়ে দেয়ার পর আবার নেশার চিন্তা মাথায় আসতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। এক্ষেত্রে যেটা করতে হবে এক কথায় আমরা বলতে পারি মনটাকে ঘুরিয়ে দিন। অর্থাৎ অন্যকোনো বিষয়ে মনোযোগ দিন।

    এক্ষেত্রে যেটা করা যেতে পারে কিছু কাজের লিস্ট করে রাখা যেতে পারে। যেমন পছন্দের কোনো বন্ধুর সঙ্গে গল্প করা, কিংবা আপনজন বা পরিচিতজন যার সঙ্গে আপনি কথা বলে সবথেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তার সঙ্গে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন।

    এছাড়াও কিছু কাজ করতে পারেন যেমন- গল্পের বই পড়া, বাইরে থেকে একটু হেঁটে আসা, টিভি দেখা কিংবা অল্প সময়ের জন্য মোবাইলে গেমস খেলা কিংবা গান শোনা ইত্যাদি। সোজা কথায় মনটাকে যেকোনো একটা কাজে ব্যস্ত করে ফেলুন।

    কারণ অনেক সময় নেশার চিন্তা আসলে বা নেশার টান উঠলে যেটাকে আমরা ইংরেজিতে craving (ক্রাভিং) বলে থাকি। শেষ সময়ে কী করে নিয়ন্ত্রণ করব, মনটা কোনো কাজে ব্যস্ত করব তাৎক্ষণিকভাবে মনে নাও হতে পারে ফলে আগে থেকে কিছু কাজের লিস্ট করা থাকলে যেকোনো একটা কাজে আপনি নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন।

    তবে মন ঘুরিয়ে ফেলাটা খুবই দ্রুত করতে হবে। আপনি যখনই বুঝতে পারবেন, আপনার মাথায় নেশাজাতীয় চিন্তা আসছে সঙ্গে সঙ্গে মূহুর্ত বিলম্ব না করে যেকোনো একটা কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে ফেলুন।

    মনে রাখবেন, ক্রাভিংয়ের সর্বোচ্চ তীব্রতা খুবই অল্প সময়, এই সময়টুকু পার করতে পারলেই আপনি নেশা থেকে এবং নেশার চিন্তা থেকে মুক্তির নিয়ন্ত্রক উপায়টা নিজের দখলে নিয়ে নিতে পারবেন।

    পরিশেষে একটা বিশেষ বিষয় বলব-

    মাদকাসক্ত ব্যক্তির এবং তার পরিবারের প্রতি সমাজের দায়িত্ব

    এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে মাদকাসক্ত ব্যক্তিটি ও তার পরিবার সমাজের বাইরের কেউ না, আমাদের সমাজেরই অংশ। সুতরাং এখানে সমাজেরও কিছু ভূমিকা রয়েছে।

    একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির পরিবার বিশেষ করে তার বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান যারপরনাই ভয়াবহ একটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত করেন। সুতরাং তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য।

    তাদেরকে দূরে ঠেলে দিলে কোনোভাবেই সমস্যার সমাধান হবে না বরং তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যেমন- প্রায়ই দেখা যায় কোনো অনুষ্ঠানে যাবার ক্ষেত্রে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিব্রত হয়ে থাকেন এবং দেখা যায় নিয়ম রক্ষার ক্ষেত্রে হয়ত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন এবং একটা টেবিলের এক কোণে চুপচাপ বসে থাকেন।

    আর আমরাও সেই পরিবারের সঙ্গে কোনোরকম কথা বলা থেকে বিরত থাকি। এটা একেবারেই কাম্য নয় বরং আমাদের উচিত তাদেরকে এটা বোঝানো যে আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি এবং পরিবারের একটা সদস্য মাদকাসক্ত হলে তার সব দোষ তার বাবা-মায়ের নয় এবং এটাও বুঝতে হবে মাদকাসক্তি একটা অসুখ।

    সবচেয়ে বড়ো কথা এখান থেকে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে আসা সম্ভব এবং এর জন্য প্রয়োজন আমাদের সকলের সহযোগিতা। আমাদের সকলকেই মাদকাসক্তি সম্পর্কে কম-বেশি জানতে হবে। যেমন- বিভিন্ন রকম পত্র-পত্রিকা কিংবা মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের টকশোতে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের আলোচনা হয় সেগুলো নিয়মিত শোনা দরকার এবং সরাসরি অংশগ্রহণ করা দরকার প্রশ্নোত্তর পর্বে।

    বর্তমানে আমাদের দেশের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞগণ এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে তারা টকশো করছেন অথবা সেমিনার করছেন কিংবা লেখালেখি করছেন।

    মাদক বিষয়টা নিয়ে প্রত্যেকের বিশেষ করে বাবা-মায়েদের একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে এবং যখন প্রয়োজন এটার উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে মাদকাসক্তি সম্পর্কে আমাদের সাধারণ মানুষদের যদি জ্ঞান না থাকে তাহলে আমরা ইচ্ছা থাকলেও মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে সাহায্য করতে পারব না এবং সমাজ থেকে এই ভয়াবহ বিষ নির্মূল করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

    ডা. মো. সুলতান-ই-মনজুর

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।

    স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
    করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
    মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

    মস্তিষ্ক মাদক মাদকাসক্তি মানসিক মানসিক স্বাস্থ্য
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleবসে থাকলে মানসিক অশান্তি বাড়ে
    Next Article মনের খবর টিভিতে “ব্যাক পেইন” বিষয়ক লাইভ অনুষ্ঠান বুধবার রাত ৮টায়
    প্রতিবেদক, মনের খবর

    Related Posts

    মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতায় ঢাকায় হাফ ম্যারাথন আয়োজিত

    October 11, 2025

    মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার না দিলে একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন সম্ভব নয়

    October 11, 2025

    পেশাগত জীবনে অলসতা কাটানোর উপায়

    September 13, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 14, 2025

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    গত ১৩ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেল…

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.