নেশার বিষয়ে মূল লেখাতে যাবার আগে ছোট্ট একটা ভূমিকা দিয়ে শুরু করা যাক। ধরা যাক একজন লোকের একটা টাকার গাছ আছে, গাছের পাতাগুলো সবই টাকা।
এখন হঠাৎ একদিন তাকে বলা হলো গাছটা কেটে ফেলো। তো, স্বাভাবিকভাবেই সবার মনে একটা প্রশ্ন জেগে উঠবে, এমনকি যারা এই লেখাটা পড়ছেন তাদের মনেও এই প্রশ্নটা উদয় হবে যে কেন গাছটা কেটে ফেলবে। নেশার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য- কেন নেশা থেকে মুক্তি পাবেন।
এই কেন‘র উত্তরটা ঠিক না করে মাদক থেকে মুক্তি পাওয়ার চিন্তা করাটাও সঠিক হবে না। সুতরাং আপনাকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে কেন আপনি নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান। একেক মানুষের ক্ষেত্রে উত্তরটা একেকরকম হতে পারে, তবে প্রায় সবার ক্ষেত্রেই কমন কতগুলো কারণ থাকে।
প্রথমে কেন আমরা নেশা ছাড়ব এই বিষয় নিয়ে দু-একটা কারণ বলব-
এক: নেশা করলে শারীরিক ক্ষতি হয়। এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা সবাই জানি সকল প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্য যেমন- মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন এমনকি সিগারেট এগুলো সবগুলোই আমাদের লিভার, কিডনি, ব্রেইন ইত্যাদির মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
পাশাপাশি এগুলো ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এবং আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। অর্থাৎ কেউ যদি দ্রুত মারা যেতে না চান বা অসুস্থ না হতে চান তাহলে তাকে নেশা অর্থাৎ মাদক অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে।
দুই: প্রায় বেশিরভাগ মানুষ নেশা করেন মূলত দুইটি কারণেÑ প্রথমত, নেশা করলে আনন্দের অনুভূতি হয় আর দ্বিতীয়ত, দুঃখ কষ্ট ভুলে থাকার জন্য মানুষ নেশা করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আর কি এমন কোনো উপায় বা মাধ্যম নেই যা দিয়ে আমরা আনন্দ পেতে পারি কিংবা দুঃখ ভুলে থাকতে পারি? উত্তর হলো অবশ্যই আছে এবং অসংখ্য উপায় আছে। তাহলে কেন আপনি অযথা আনন্দ পাওয়ার জন্য অথবা দুঃখ ভোলার জন্য এই ভয়ঙ্কর ক্ষতিকারক বিষয়টিকে আপন করে নিচ্ছেন?
এ ছাড়াও ছোটোখাটো কিছু কারণ আছে যেমন- বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে কিংবা পরীক্ষা শেষ হলে একদিন সবাই মিলে ফূর্তি করতে কিংবা মাঝেমধ্যে নেশা না করলে আমাকে কেউ স্মার্ট মনে করবে না এমন ভাবনা থেকে অনেকে নেশা করেন।
আপনি যখন মাদক ছাড়ার শক্তিশালী ও যৌক্তিক কারণটা নির্বাচন করে ফেলতে পারবেন তখনই ধরে নেবেন আপনি অর্ধেক পথ এগিয়ে গিয়েছেন মাদক ছাড়ার ক্ষেত্রে। এরপর আপনি কিছু নিয়ম মেনে চললে সম্পূর্ণ মাদক থেকে বিরত থাকতে পারবেন। এখন এই বিষয়গুলো নিয়েই কিছু আলোচনা করব।
কীভাবে মাদকের চিন্তা থেকে দূরে থাকবেন বা কীভাবে নেশা ছেড়ে দেবেন?
আপনি যদি মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী হন অর্থাৎ আপনার নিজের মনের ওপর যদি আপনার নিয়ন্ত্রণ খুব বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে প্রথম দিন থেকে আপনি সম্পূর্ণরূপে নেশা ছেড়ে দিতে পারেন এবং এটাই সব থেকে ভালো। কিন্তু যদি এরকম হয় যে, না একবারে নেশা ছাড়তে গেলে আপনার পক্ষে এটা খুব বেশি কষ্টকর হয়ে যাবে, সেক্ষেত্রে আপনি ধীরে ধীরে নেশা ছাড়তে পারেন।
যেমন উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ধুমপায়ী হয়ে থাকেন এবং দৈনিক যদি আপনি বিশটা সিগারেট খান, তাহলে প্রথমে এক সপ্তাহ আপনি টার্গেট করবেন দশটা করে সিগারেট খাওয়া। পরের এক সপ্তাহে আপনি পাঁচটা করে সিগারেট খাবেন।
অথবা আপনি যদি নিয়মিত দুই পেগ করে অ্যালকোহল পান করেন, তাহলে আপনি প্রথম এক সপ্তাহে এক পেগ অ্যালকোহল পান করবেন। এরপরে পরের সপ্তাহে আধা পেগ, তার পরের সপ্তাহে তার অর্ধেক পান করবেন।
অর্থাৎ আপনি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে নেবেন যে আপনি যে-পরিমাণ নেশা করেন, এক সপ্তাহে তার অর্ধেক পরিমাণ নেশা করবেন, পরের সপ্তাহে তার অর্ধেক পরিমাণÑএভাবে সর্বোচ্চ ৬ সপ্তাহের মধ্যে আপনি সম্পূর্ণরূপে নেশা ছেড়ে দেবেন।
নেশাদ্রব্য-আসক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে নিচে কতগুলো আইডিয়ার কথা উপস্থাপন করা হয়েছে। যেগুলোকে আমরা বলতে পারি স্মার্ট আইডিয়া-
প্রচণ্ড ইচ্ছা শক্তি
নেশা ছাড়ার প্রথম ও প্রধান উপায় হচ্ছে প্রবল ইচ্ছা। যারা নেশা করেন তাদের অনেকের কাছেই নেশা করাটা কোনো অপরাধ না, তারা এটাকে কোনো সমস্যাই মনে করেন না। অন্যদিকে যারা উপলব্ধি করতে পারেন যে এটা তার জন্য খারাপ বা কাজটা ভুল তাদের মধ্যে এই অভিশপ্ত জীবন থেকে বেরিয়ে আসার ইচ্ছা জাগ্রত হয়।
যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি ইচ্ছা করছেন যে আপনি নেশা ছেড়ে দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কোনোভাবেই নেশা ছাড়তে পারবেন না এবং নেশা থেকে মুক্তির চিন্তা করাটাও একরকম বোকামি। তাই সবার আগে একটা প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করা নেশা ছাড়ার অন্যতম পূর্বশর্ত।
এক্ষেত্রে আপনি একটি যেকোনো দিনকে বেছে নিতে পারেন, যেমন ধরুন আমি আগামী শুক্রবার থেকে আর নেশা করব না অথবা আগামী শুক্রবার থেকে আমি যে পরিমাণ নেশাদ্রব্য সেবন করি তার অর্ধেক পরিমাণ সেবন করব।
এটা করলে যেটা হবে আপনার মধ্যে একটা পরিকল্পনা অনুযায়ী বা একটা ছক অনুযায়ী কাজ করার আগ্রহ তৈরি হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে লক্ষ্যে পৌঁছানোটা অনেক সহজ হয়।
সাহায্য চাওয়া
যখন আপনি ইচ্ছে করবেন যে আপনি মাদক ছেড়ে দেবেন, তখন আপনার দরকার সাহায্য আর এই সাহায্যটা নিতে হবে আপনার সব থেকে কাছের মানুষদের কাছ থেকে। আপনি যাদের সঙ্গে সারাদিন পার করেন যেমন পরিবারের সদস্য, আপনজন বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীÑএক কথায় যারা আপনার ভালো চান তাদের সাহায্য গ্রহণ করুন। আপনি খুব সহজেই নেশা ছাড়তে পারবেন।
সততা
বর্তমান নেশা থেকে বাঁচার জন্য নিজেকে অন্যকোনো নেশা যেমন জুয়াখেলা, ধুমপান ইত্যাদির দিকে ঠেঁলে দেবেন না। এ বিষয়ে আপনাকে খুব বেশি যত্নশীল হতে হবে।
ধৈর্য
এক্ষেত্রে ধৈর্য আপনাকে ধরতেই হবে। মনে রাখবেন এক রাতেই নেশাদ্রব্যের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। যদি নেশা ছেড়ে দেয়ার কারণে আপনার শরীরে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, সেই অবস্থায় আবার নেশা শুরু করবেন না।
ভালোভাবে লক্ষ করুন এই অবাঞ্চিত সমস্যার মূল কারণ কী এবং পরবর্তীতে সেই কারণ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন অবাঞ্ছিত লক্ষণ বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া খুবই ক্ষণস্থায়ী। আপনি যদি আর নেশা না করেন তাহলে প্রাকৃতিক নিয়মেই নেশার ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থগুলো শরীর থেকে আপনাআপনি বের হয়ে যাবে। যাকে আমরা detoxification বলে থাকি।
অর্থাৎ শুধু এটুকু মনে রাখবেন নেশা ছাড়ার পর শরীরে যে সমস্ত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তা তীব্র হলেও খুবই ক্ষণস্থায়ী এবং শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে আপনি সম্পূর্ণ সতেজ একজন মানুষে পরিণত হবেন।
সুতরাং একটু ধৈর্যের সঙ্গে এই সময়টুকুর মোকাবিলা করুন। এক্ষেত্রে আগে থেকে বিষয়টি জানা থাকলে এই কঠিন সময়টুকু পার করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পর্যাপ্ত ঘুম
আপনার খাবার যেন স্বাস্থ্যকর হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। কোনো এক বেলায় অধিক খেলাম আর একবেলা কিছুই খেলাম না, এমনটা কখনোই করবেন না। ফাস্টফুড, কোল্ডড্রিংস কিংবা অধিক চিনি জাতীয় খাদ্য এগুলো পরিহার করার চেষ্টা করুন এবং শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
খাদ্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমের দিকেও নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে কারও ঘুম একটু বেশি কারও একটু কম হতে পারে এটা তেমন কোনো সমস্যা নয়, মূল বিষয় যেটা লক্ষ রাখতে হবে সেটা হলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে ওঠা।
পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর থেকে রাসায়নিক পদার্থগুলো বের হয়ে যায়। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রফুল্লতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ করুন
যেসব জায়গায় গিয়ে আপনি নেশাদ্রব্য সেবন করতেন কিংবা ক্রয় করেছেন সেসব জায়গায় যাতায়াত বন্ধ করুন। সেইসঙ্গে যাদের সঙ্গে আপনি নেশা করতেন, তাদের সঙ্গ ত্যাগ করুন, যারা নেশাদ্রব্য গ্রহণ করে না, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন।
এবার আসা যাক নেশাদ্রব্যের প্রতি পুনরায় আকর্ষণ বোধ করলে কী করবেন?
একবার নেশা ছেড়ে দেয়ার পর আবার নেশার চিন্তা মাথায় আসতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। এক্ষেত্রে যেটা করতে হবে এক কথায় আমরা বলতে পারি মনটাকে ঘুরিয়ে দিন। অর্থাৎ অন্যকোনো বিষয়ে মনোযোগ দিন।
এক্ষেত্রে যেটা করা যেতে পারে কিছু কাজের লিস্ট করে রাখা যেতে পারে। যেমন পছন্দের কোনো বন্ধুর সঙ্গে গল্প করা, কিংবা আপনজন বা পরিচিতজন যার সঙ্গে আপনি কথা বলে সবথেকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তার সঙ্গে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন।
এছাড়াও কিছু কাজ করতে পারেন যেমন- গল্পের বই পড়া, বাইরে থেকে একটু হেঁটে আসা, টিভি দেখা কিংবা অল্প সময়ের জন্য মোবাইলে গেমস খেলা কিংবা গান শোনা ইত্যাদি। সোজা কথায় মনটাকে যেকোনো একটা কাজে ব্যস্ত করে ফেলুন।
কারণ অনেক সময় নেশার চিন্তা আসলে বা নেশার টান উঠলে যেটাকে আমরা ইংরেজিতে craving (ক্রাভিং) বলে থাকি। শেষ সময়ে কী করে নিয়ন্ত্রণ করব, মনটা কোনো কাজে ব্যস্ত করব তাৎক্ষণিকভাবে মনে নাও হতে পারে ফলে আগে থেকে কিছু কাজের লিস্ট করা থাকলে যেকোনো একটা কাজে আপনি নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন।
তবে মন ঘুরিয়ে ফেলাটা খুবই দ্রুত করতে হবে। আপনি যখনই বুঝতে পারবেন, আপনার মাথায় নেশাজাতীয় চিন্তা আসছে সঙ্গে সঙ্গে মূহুর্ত বিলম্ব না করে যেকোনো একটা কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে ফেলুন।
মনে রাখবেন, ক্রাভিংয়ের সর্বোচ্চ তীব্রতা খুবই অল্প সময়, এই সময়টুকু পার করতে পারলেই আপনি নেশা থেকে এবং নেশার চিন্তা থেকে মুক্তির নিয়ন্ত্রক উপায়টা নিজের দখলে নিয়ে নিতে পারবেন।
পরিশেষে একটা বিশেষ বিষয় বলব-
মাদকাসক্ত ব্যক্তির এবং তার পরিবারের প্রতি সমাজের দায়িত্ব
এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে মাদকাসক্ত ব্যক্তিটি ও তার পরিবার সমাজের বাইরের কেউ না, আমাদের সমাজেরই অংশ। সুতরাং এখানে সমাজেরও কিছু ভূমিকা রয়েছে।
একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তির পরিবার বিশেষ করে তার বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান যারপরনাই ভয়াবহ একটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিনাতিপাত করেন। সুতরাং তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করা আমাদের সকলেরই কর্তব্য।
তাদেরকে দূরে ঠেলে দিলে কোনোভাবেই সমস্যার সমাধান হবে না বরং তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। যেমন- প্রায়ই দেখা যায় কোনো অনুষ্ঠানে যাবার ক্ষেত্রে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিব্রত হয়ে থাকেন এবং দেখা যায় নিয়ম রক্ষার ক্ষেত্রে হয়ত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন এবং একটা টেবিলের এক কোণে চুপচাপ বসে থাকেন।
আর আমরাও সেই পরিবারের সঙ্গে কোনোরকম কথা বলা থেকে বিরত থাকি। এটা একেবারেই কাম্য নয় বরং আমাদের উচিত তাদেরকে এটা বোঝানো যে আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি এবং পরিবারের একটা সদস্য মাদকাসক্ত হলে তার সব দোষ তার বাবা-মায়ের নয় এবং এটাও বুঝতে হবে মাদকাসক্তি একটা অসুখ।
সবচেয়ে বড়ো কথা এখান থেকে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে আসা সম্ভব এবং এর জন্য প্রয়োজন আমাদের সকলের সহযোগিতা। আমাদের সকলকেই মাদকাসক্তি সম্পর্কে কম-বেশি জানতে হবে। যেমন- বিভিন্ন রকম পত্র-পত্রিকা কিংবা মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের টকশোতে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের আলোচনা হয় সেগুলো নিয়মিত শোনা দরকার এবং সরাসরি অংশগ্রহণ করা দরকার প্রশ্নোত্তর পর্বে।
বর্তমানে আমাদের দেশের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞগণ এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে তারা টকশো করছেন অথবা সেমিনার করছেন কিংবা লেখালেখি করছেন।
মাদক বিষয়টা নিয়ে প্রত্যেকের বিশেষ করে বাবা-মায়েদের একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে এবং যখন প্রয়োজন এটার উপযুক্ত চিকিৎসা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে মাদকাসক্তি সম্পর্কে আমাদের সাধারণ মানুষদের যদি জ্ঞান না থাকে তাহলে আমরা ইচ্ছা থাকলেও মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও পরিবারকে সাহায্য করতে পারব না এবং সমাজ থেকে এই ভয়াবহ বিষ নির্মূল করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
ডা. মো. সুলতান-ই-মনজুর
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে