রোজকার একই জীবন। ঘুম থেকে ওঠা, স্নান করা, খেয়েদেয়ে অফিস যাওয়া, অফিসের কাজ নিয়ম মতো শেষ করে বাড়ি এসে টিভি দেখা। আর দিনের শেষে খেয়েদেয়ে ঘুম। এটাই যদি জীবন হয়, তা হলে তা মস্তিষ্কের জন্য মোটেই ভাল নয়। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি ‘দ্য জার্নালস অফ জেরনটোলজি’ নামের গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটা মানুষের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে। সেই কর্মক্ষমতা হ্রাস থামানো যায় নিয়মিত নতুন কিছু করতে থাকলে। নতুন কিছু মানে, নিয়ম ভাঙা।
একই সঙ্গে আমেরিকার দক্ষিণ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যা বিভাগের তরফেও একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ৭৩২ জনের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করার পর তাঁদের স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ১০ বছর পরে আবার ওই ৭৩২ জনেরই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত চেনা ছকের বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করেন, তাঁদের মাথার কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে কম পরিমাণে।
সেখান থেকেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকরা— নিয়ম মেনের চলার মাঝে কখনও কখনও ছক ভাঙা ভাল। তাতে মস্তিষ্কের উপকারই হয়।
করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে