মানসিক স্বাস্থ্য এমন একটি বিষয় যা যেকোনো মানুষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শরীরের সুস্থতা না থাকলে যেমন একজন মানুষ জীবন ও কর্মক্ষেত্রে সার্বিক এবং সাবলীল ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়, মনের সুস্থতার বিষয়টিও তাই।
মন সুস্থ আছে কিনা এই প্রশ্নটি কিছু বিশেষ পেশার ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত অধিক গুরুত্বপর্ণ। কারণ সেসব ক্ষেত্রে কাজের ধরনটাই এমন যা মনের ওপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখে, মনের সুস্থতা ছাড়া যে কাজটি হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। যেমন: পুলিশ ফোর্স।
মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক সুস্থতা, পুলিশ ফোর্সে মানসিক সুস্থতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন ওয়াহিদুজ্জামান নূর, সহকারি পলিশ কমিশনার, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন সাদিকা রুমন।
মনের খবর: পুলিশ সাংগঠনিক কাঠামোর ওপর দাঁড়ানো প্রফেশনাল একটা ফোর্স। এই ফোর্সের সদস্য হিসেবে তৈরি হওয়ার জন্য কী ধরনের প্রশিক্ষণের ভেতর দিয়ে যেতে হয়?
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আটাশটি ক্যাডারের মধ্যে পুলিশ একটি ক্যাডার। পুলিশকে দুই ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিছু প্রশিক্ষণ সিভিল সার্ভিসের প্রত্যেকটি ক্যাডারই করে থাকে। আরেকটা প্রশিক্ষণ বিশেষায়িত যেগুলো শুধু পুলিশ অফিসাররা করে।
আমরা যোগদান করার পর সবচেয়ে প্রথমে সারদাতে এক বছরের একটা প্রশিক্ষণ করতে হয়। এটা বেসিক ট্রেনিং। এখানে নিয়মিত শারীরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি একাডেমিক প্রশিক্ষণও আমাদেরকে করতে হয়। এই এক বছরে আমরা একটা মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে থাকি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে।
এরপর বাস্তব প্রশিক্ষণ নিতে ছয় মাসের জন্য ফিল্ডে যেতে হয়। এই সময়টাতে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটগুলো থেকে তাদের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। এরপর আছে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং। এটা সকল ক্যাডারকেই করতে হয়। এখানে সরকার এবং সরকার পরিচালনার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমাদেরকে জানানো হয়।
এ দুটো প্রশিক্ষণের বাইরেও আমাদের অনেক প্রশিক্ষণ আছে। আসলে আমাদের প্রফেশনে পুরো সময় ধরেই বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এগুলোকে বলে ইন সার্ভিস ট্রেনিং। এর বাইরেও বিশেষায়িত ট্রেনিং আছে যেমন, আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম। খাগড়াছড়িতে কমান্ডো ট্রেনিং করা হয়। এরকম প্রতিটি ক্ষেত্রেই আছে।
মনের খবর: ডিসিপ্লিন বা নিয়মানুবর্তিতা আপনাদের কাজের জন্য কতটা গুরুত্বপর্ণ? নিয়মানুবর্তিতা রক্ষার জন্য কি কোনো ধরনের মানসিক চাপ অনভবু করতে হয়?
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: আসলে পুলিশ সার্ভিসটাকেই বলা হয় ডিসিপ্লিন সার্ভিস। নাম থেকেই বুঝতে পারছি এখানে নিয়মানুবর্তিতার গুরুত্ব সর্বাধিক। আমি যে প্রাথমিক প্রশিক্ষণের কথা বললাম সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় নিয়মানবর্তিতার ওপর।
সেখানে ঘড়ির কাটা ধরে আমাদেরকে কাজ করতে হয়। এক বছর এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়ার পর নিয়মানবর্তিতার বিষয়টা আমাদের ভেতর প্রোথিত হয়ে যায়। যদি নিয়মানুবর্তিতায় অভ্যস্ত না হই তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। যেমন- হয়ত কোনো ইমার্জেন্সি সময়ে ইমার্জেন্সি রেসপন্স করতে হতে পারে। দু মিনিটের মধ্যে বা পাঁচ মিনিটের মধ্যে রেসপন্স করতে হতে পারে।
আমি যদি নিয়মানুবর্তী না হই তাহলে কিন্তু আমি এই দ্রুত রেসপন্সটা করতে পারব না। তাছাড়া পুলিশ যেহেতু একটি আর্মড ফোর্স সেহেতু ধরা যাক কোনো মব ভায়োলেন্সের ক্ষেত্রেÑপ্রত্যেকটি সদস্য যদি চূড়ান্ত নিয়মানুবর্তী না হয় তাহলে কিন্তু যেকোনো সময় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
নিয়মানুবর্তিতা আসলে দুই ধরনের, একটি ব্যক্তিগত জীবনে আরেকটি কর্মজীবনে। যদিও যেভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হই সেই ধারাবাহিকতাটা পুরোপুরি রক্ষা করা হয় না তবুও ব্যক্তিগত জীবনের এই নিয়মানবর্তিতা কিন্তু আসলে মানসিক চাপকে লাঘব করতে সহায়তা করে।
কেউ যদি সকালে নিয়ম করে ঘুম থেকে ওঠে। তারপর একটু দৌঁড়াতে বা জগিং করতে বের হয়, সময় অনুযায়ী সে যদি তার কাজগুলোকে ভাগ করে নেয় তাহলে কিন্তু মানসিক চাপটা আরো লাঘব হয়। কর্মক্ষেত্রেও তাই। কিন্তু আমাদের যেহেতু কাজের চাপ অনেক বেশি, আমাদের জনবলের সঙ্গে আমাদের কাজের পরিমাণ সেটা সমানুপাতিক না। আবার একইসঙ্গে আমাদের নিয়মানুবর্তী হতে হয়। যেমন- অনেক সময় মামলা তদন্ত করতে হচ্ছে।
এখানে কিন্তু আমাকে একটা সময় বেধে দেয়া হয়েছে। হয়ত আদালত আমাকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে, সেটার জন্য আমাকে সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এইসব ক্ষেত্রে আমাদেরকে মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে হয়।
মনের খবর: এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে আপনারা কী করে থাকেন?
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: এই ধরনের বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাদেরকেও আসলে বিশেষ হয়ে উঠতে হয়। এরকম পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের কর্মঘণ্টাকে বাড়িয়ে দিতে হয়। অনেক সময় পনেরো ঘণ্টা, ষোলো ঘণ্টা বা বিশ ঘণ্টা করেও আমাদেরকে কাজ করতে হয়। আসলে আমাদেরকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা করতে হয় বা সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
মনের খবর: এরকম চাপের মধ্যে থাকার সময়ে আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াটি কী হয়?
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: এটা একটা গুরুত্বপর্ণ প্রশ্ন কারণ একজন পুলিশ অফিসারের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ করাটা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। এটা মনে রাখতে হবে যে, আমার গায়ে ইউনিফর্ম আছে, আমার আইন আছে এবং আমার হাতে অস্ত্র আছেÑএই তিনটি জিনিস যদি কারো থাকে এবং কোনো একটি অসতর্ক মহুর্তে সে যদি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তাহলে কিন্তু সেটা ভয়ংকর পরিণাম ডেকে আনতে পারে।
একজন পুলিশ অফিসারের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। এজন্য আমাদেরকে কর্মে যোগদানের আগে অর্থাৎ সারদা ট্রেনিং এ এবং ইন সার্ভিস বিভিন্ন ট্রেনিংয়ে এই বিষয়ের ওপর পাঠদান করা হয় এবং আমরা নিজেরাও চর্চা করতে করতে শিখে যাই। যেমন আবারো মব ভায়োলেন্সের কথা বলছি, সেটা যখন নিয়ন্ত্রণ করতে যাই তখন দেখা যাচ্ছে আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য আহত হচ্ছে, আমাদের প্রতি তীর্যক মন্তব্য ছুড়ে দেয়া হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি হলে নিজেকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আমাদেরকে সেই ট্রেনিং দেয়া হয়।
আমি একটা বিষয় সবসময় অনুসরণ করি বা আমাদের শেখানো হয় সেটি হলো, কোনোকিছু ব্যক্তিগতভাবে না নেয়া। আমার যে কাজটি আমি করছি সেটা করছি রাষ্ট্রের জন্য, করছি জনগণের জন্য। জনগণের জীবন-সম্পত্তি এবং রাষ্ট্রের সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য।
আমার কাজের ক্ষেত্রে যদি আইনসিদ্ধ উপায়ে আমাকে বল প্রয়োগও করতে হয় তখনো মনে রাখতে হবে, এই বল প্রয়োগ আমি ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে করছি না; সেটাও করছি রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, জনগণের জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষার জন্য। এই বিষয়গুলো মনে রেখেই আমরা আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠি।
মনের খবর: এই প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার ভেতর সুনির্দিষ্টভাবে মানসিক স্বাস্থ্য বা মানসিক সুস্থতা বিষয়ে কি কোনো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়?
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: এই ব্যাপারটিতে আমি বলব যে, আমাদের একটু ঘাটতি আছে। সেটা যে শুধু পুলিশ ফোর্সের ক্ষেত্রেই এমন নয় বরং বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই এই ঘাটতিটি রয়ে গেছে। মানসিক সুস্থতার বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি না।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পুলিশ অফিসারদের মধ্যে আত্মহননের হারটা অনেক অনেক বেশি। এজন্য পথিবীর প্রায় দেশের পুলিশ ডিপার্টমেন্টে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। আমাদের এখানেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। কর্মজীবনের ভারসাম্য, মানসিক চাপ ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স আমরা করেছি।
নিন্তু ঘাটতিটা যেখানে সেটা হলো, আমাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর যখন নিয়মিত কর্মকাণ্ডে চলে আসি তখন এটার চর্চাটা কম হয়। যেমন, আমাদের নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, প্রতিদিন এমনকিছু কাজ করা যা মানসিকভাবে সুস্থ রাখে ইত্যাদি বিষয়গুলো সবসময় হয়ে ওঠে না।
বিষয়টির প্রতি আমরা যে উদাসীন এমন নয়, আসলে পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার কারণে সে সুযোগটা হয়ে ওঠে না। তারপরও আমরা দেখেছি যে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ প্রতিদিন সকালে ইয়োগা সেশনের আয়োজন করেছিল। এ ধরনের কিছু উদ্যোগ আমরা অনেক সময় দেখি। অবশ্য সেটিকে ব্যতিক্রমই বলতে হবে। কারণ এগুলোকে আমরা এখনো নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসতে পারিনি।
মনের খবর: এতটা চাপের ভেতর থেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখেন কী করে?
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: আমার মনে হয় না বাংলাদেশের কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই ভারসাম্যটা রাখতে পারেন, সেটা সম্ভব না। এটা আমি বলছি সময়ের ভারসাম্যের কথা। যেহেতু আমাদের কাজের চাপ অনেক বেশি।
সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হচ্ছে, আমাদের চাকরির ধরনটাই এমন যে আপনি কখনোই আপনার কর্মস্থল থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবেন না। এর মধ্যে নিজেকে, পরিবারকে কিংবা নিজের সুস্থতার জন্য সময় দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সেজন্য আমরা চেষ্টা করি যতটুকু সময় পরিবারকে দিই সেটা যেন খুব কোয়ালিটি টাইম হয়।
সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, যেই দিনগুলোতে সবাই আনন্দ করে যেমন, পয়লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস কিংবা ঈদের মতো দিনগুলোতে আমাদের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। আমরা চোখের সামনে দেখি যে সবাই আনন্দ করছেÑএটা কিন্তু একটা বিরূপ মানসিক প্রতিক্রিয়া সষ্টি করে। তবুও চেষ্টা করি যতটুকু সময় পাওয়া যায় তার যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে।
মনের খবর: পুলিশ ফোর্সে কি বিনোদনের কোনো কাঠামোগত ব্যবস্থা আছে?
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: সেভাবে কাঠামোগত ব্যবস্থা আমাদের নেই। বিনোদনের ব্যাপারটা যে যেভাবে পারি সেভাবেই মিটিয়ে থাকি। তবে কিছু কিছু প্রোগ্রাম আমরা করে থাকি। তবে সেটাও কিন্তু খুব প্রফেশনাল আবরণে আবদ্ধ।
মনের খবর: পুলিশ ফোর্সের জন্য কি সায়কিয়াট্রিস্ট বা মেন্টাল হেলথ প্রফেশনালস আছেন?
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: আমাদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে সায়কিয়াট্রিস্ট বা মেন্টাল হেলথ প্রফেশনাল যারা আছেন তাদেরকে মাঝে মাঝে আনার সুযোগ হয়। তবে আমার জানামতে সেটা স্থায়ীভাবে করা হয়নি। সেটা যতটাও বা আছেন কিন্তু নিয়ম করে যে চেকআপ করা, তাদের কাছে যাওয়াÑএই ব্যবস্থাটি করা হয়নি। পথিবীর অনেক দেশেই এই ব্যবস্থাটি আছে আমাদের দেশে মনে হয় না কোনো ক্ষেত্রেই এই ব্যবস্থাটি আছে। এ বিষয়টা আমাদের চর্চার করা দরকার।
মনের খবর: তার মানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আমাদের, বিশেষত আপনারা যারা এই পেশায় নিযুক্ত আছেন তাদের আরো যতœশীল হওয়া উচিত?
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: অবশ্যই। অন্যান্য অনেকক্ষেত্রের চেয়ে পুলিশ অফিসারদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে যতœশীল হওয়া আরো বেশি প্রয়োজন। কারণ আমরা যে কাজটি করি সেটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এখানে কারও যদি মানসিক সুস্থতার ঘাটতি থাকে তাহলে তার যে ক্ষমতাগুলো আছে সেগুলোর অপব্যবহার করার সুযোগ থেকে যায়। এর পরিণাম কিন্তু অনেক মূল্য নিয়ে নেয়।
আরেকটা ব্যাপার আমাকে উল্লেখ করতেই হবে যে, আমাদেরকে সমাজের কালো দিকটা দেখতে হয়। আমার মনে হয় না সেটা পুলিশ অফিসারের চেয়ে বেশি কেউ দেখে। আমাদের বেশিরভাগ কাজই অপরাধীদের সাথে। বিচিত্ররকম অপরাধ যখন আমরা দেখি, পাশাপাশি অস্বাভাবিক অনেক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হয়। যেমন- বিকৃত লাশের ছবি, মানুষ বিকৃত ভাবে আহত হবার ছবি বা নৃশংসতার চিত্র। এগুলো কিন্তু আমাদের মনের ওপর অনেক বেশি চাপ তৈরি করে।
এজন্য আমি বলব যে, আমাদের নিয়ম করে প্রতি মাসে না হলেও প্রতি তিন মাসে মানসিক চেকআপ করানো উচিত। কেউ যদি মানসিক চাপে ভোগেন সেগুলোকে চিহ্নিত করা, চিকিৎসকের পরামর্শ দেয়া প্রয়োজনে তাকে ছুটি দেয়া জরুরি। অর্থাৎ নিয়মতান্ত্রিকভাবে মানসিক স্বাস্থের পরিচর্যা করা জরুরি।
মনের খবরের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
ওয়াহিদুজ্জামান নূর: আপনাকেও ধন্যবাদ। মনের খবরকেও ধন্যবাদ।