ব্রেক-আপ সবসময়ই কষ্টদায়ক। বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক যখন ভেঙে যায় তখন সবকিছুই ওলটপালট হয়ে যায়। বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কখনো দুজনেরই সমান ভূমিকা থাকে, আবার কখনো একজনের। নারী নাকি পুরুষ, দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ইতি টেনেছেন সবচেয়ে বেশি কে – এ নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
অনলাইন মার্কেট গবেষণা ও তথ্য বিশ্লেষণ সংস্থা ‘ইউগভ’ প্রায় এক হাজার প্রাপ্তবয়স্কের ওপর এ জরিপ চালিয়েছে। অংশগ্রহণকারী সকলেরই আগে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক ছিল অথবা বর্তমানে তারা এ ধরনের সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের কাছে তাদের প্রেম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়; যেমন- তারা কতদিন পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী এ সম্পর্কে রয়েছে? তাদের কি আগে কখনো দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের ব্রেক-আপ হয়েছে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে কে ইতি টেনেছিল?
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৭৬ শতাংশ নারী অংশগ্রহণকারী স্বীকার করেছেন যে তারা তাদের দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটাতে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষদের সংখ্যাটা কিছুটা কম – ৬২ শতাংশ। এদিকে, ৮৪ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন যে তাদের পূর্ববর্তী সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটিয়েছিল তাদের নারী সঙ্গীরা। অন্যদিকে, ৬৭ শতাংশ নারী দাবি করেছেন তাদের পুরুষ সঙ্গীরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছিল।
মজার ব্যাপার হলো, মাত্র ১৯ শতাংশ নারী ও ৭ শতাংশ পুরুষ স্বীকার করেছেন তারা তাদের রোমান্টিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। এদিকে, দুইজনের সিদ্ধান্তেই ব্রেক-আপের ঘটনা ঘটেছে – এ পরিসংখ্যানটা ‘নারী-পুরুষ’ প্রায় একই। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৪৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪১ শতাংশ নারী জানান, তারা যৌথ সিদ্ধান্তে তাদের ভালোবাসার সম্পর্কের ব্রেক-আপ ঘটিয়েছেন।
এই গবেষণার আলোকে কোনো সিদ্ধান্ত যাওয়ার আগে এটিও মাথায় রাখতে হবে যে গবেষণায় নমুনার সংখ্যা (প্রায় ১০০০ অংশগ্রহণকারী) খুবই কম ছিল। এছাড়া, তারা কী কারণে (প্রতারণা, গুরুত্ব কমে যাওয়া ইত্যাদি) তাদের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ইতি টেনেছিলেন এবং ব্রেক-আপের আগে তারা তাদের সঙ্গীকে কোনো সুযোগ দিয়েছিলেন কিনা তাও উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং, গবেষণানুযায়ী কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়াটা বোকামিই হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে