বাংলাদেশে প্রতি ১১০ জনে ১ জন শিশুর অটিস্টিক। এ হিসাবে মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মানুষ অটিস্টিক।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ‘ই-ব্লকের ইন্সটিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের (ইপনা) সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। সভায় অটিজম বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার।
এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ইপনার উপপরিচালক (একাডেমি) সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, উপপ্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন) সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু, ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ডা. মাজহারুল মান্নান, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমদাদুল হক হাওলাদার প্রমুখ।
সেমিনারে জানানো হয়, ১ এপ্রিল ২০১৯ সমাজসেবা অধিদফতরের ডিজঅ্যাবিলিটি ডিটেকশন সার্ভে (ডিডিএস জরিপ) অনুযায়ী দেশে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৮ জন কর্ম-অক্ষম ব্যক্তি রয়েছে। যার মধ্যে অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) অর্থাৎ মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৪০০ জন।
আর ১৮ থেকে ৩৬ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ হাজারে ১৭ ও ১ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ১৫ জন এ সমস্যায় ভুগছেন।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, অটিজম কোনো রোগ নয় বরং মস্তিষ্কের একটি বিকাশজনিত সমস্যা। এতে আক্রান্ত শিশু অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ ও সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করতে পারে না।
কম বা বেশি মাত্রায় একই কাজ বা আচরণ বারবার করতে থাকে। তবে দ্রুত শনাক্তকরণে ও যথোপযোগী ব্যবস্থা নিলে এই শিশুরাও অন্যদের মতো উন্নতি করতে পারে। তাই শিশু যদি ৬ মাসের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে না হাসে। যদি ৯ মাসের মধ্যে তার চারপাশে যত্নকারীদের কথা, শব্দ, হাসি ও তাদের মুখেরভাবভঙ্গির সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ামূলক আচরণ না করে।
পাশাপাশি ১ বছরের মধ্যে মুখে কোনো শব্দ না করে বা আঙুল দিয়ে কোনো কিছু না দেখায়, হাত শক্ত করে না ধরে; কোনো ধরনের অঙ্গভঙ্গি না করে এবং দেড় বছরের মধ্যে একটি শব্দ না বলা ও অর্জিত যোগাযোগ দক্ষতা বা সামাজিক দক্ষতা হারিয়ে ফেলে তাহলে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।