দেখতে সুন্দর আর মিষ্টি বাচ্চাদের আমরা কতইনা পছন্দ করি। পরিবার বা প্রতিবেশি কিংবা স্কুলে এই বাচ্চারা ভীষণ জনপ্রিয় হয়। সবাই তাদের আদর করে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বা দল গঠনের ক্ষেত্রেও তারা বিশেষ সুবিধা পায়। কিন্তু এসব জনপ্রিয়তা আর সুবিধার পেছনে আপদও রয়েছে। মিষ্টি, সুন্দর ও আকর্ষণীয় শিশুদের সমস্যা হলো –
স্টেজ মাদার সিন্ড্রোম
অনেক সময়ই বাবা-মায়েরা তাদের জীবনের অপূর্ণ কোনো চাওয়া সন্তানদের মাধ্যমে অর্জন করতে চায়। এতে তারা অধিকাংশ সময়ই তাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সন্তানটিকে বেছে নেন। তার ওপর নানা কিছু চাপিয়ে দিতে থাকে। ফলে শিশুটির স্বাভাবিক বিকাশ ব্যহত হয়। সে তার নিজস্বতা হারিয়ে ফেলে।
অপহরণ
যদিও এমন কোনো পরিসংখ্যান নেই, যেটার আলোকে আমরা দৃঢ় ভাবে বলতে পারি যে আকর্ষণীয় শিশুরা অপহরণের অধিক ঝুঁকিতে থাকে। কিন্তু এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। বিশেষ করে মানব পাচারের সাথে জড়িত অপরাধীরা আকর্ষণীয় শিশু,বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের প্রতি বেশি নজর দেয়।
সিন্ড্রেলা সিন্ড্রোম
অধিকাংশ ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় শিশুটি বাবা–মা’র কাছ থেকে অধিক মনযোগ পেয়ে থাকে, যেটা তার অন্যান্য সহোদরের মনে হিংসার সঞ্চার করে। ফলস্বরূপ মিষ্টি ও সুন্দর বাচ্চাটি তারই ছোট ভাই বা বোনের দ্বারা অত্যাচারিত হয়।
যৌন নিপীড়ন
যেহেতু তারা আকর্ষণীয়, তারা নিপীড়িত হওয়ার অধিক ঝুঁকিতে থাকে। পরিসংখ্যানের তথ্যমতে, বাচ্চারা সাধারণত নিজেদের পরিবারের সদস্য, বর্ধিত পরিবারের সদস্য, বন্ধু এবং তাদের অন্যান্য পরিচিত মানুষ দ্বারাই নিপীড়িত বেশি হয়। অবধারিতভাবে আকর্ষণীয় শিশুরাই অধিক হারে আক্রান্ত হয়।
অবাধ্য হওয়া
সুন্দর শিশুরা যে আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে, এটা তারা বুঝতে পারে। সেই সাথে তারা এটাও বুঝতে পারে যে, তারা যা চায়, লোকে তাদের তাই দেয়। ফলে ‘না’ শুন অনভ্যস্ত এসব শিশু যখন কেনো কিছু চাওয়া মাত্র পায় না, তখন জেদ করতে থাকে।
মাত্রাতিরিক্ত রক্ষণশীলতা
অনেক সময়ই এসব শিশু বাবা-মা দ্বারা মাত্রাতিরিক্ত সুরক্ষা পায়। বাবা-মায়েরা তাদের একা একা কোথাও ছাড়তে চায় না। সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখতে চায়। শিশুকে নিজে থেকে কোনো উদ্যোগ নিতে বাধা দেয়। এর ফলে শিশুর মধ্যে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেয়।
তথ্যসূত্র: https://blogs.psychcentral.com/psychoanalysis-now/2017/12/the-perils-of-the-pretty-child/
ফিশ/এফএস/এমএসএ