তরুণ বয়সে মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে করণীয়

একাকীত্বের মানসিক উদ্বিগ্নতা

শৈশব, কৈশোর কাটিয়ে মধ্যবয়সে যাওয়ার আগে যে ‘সেতুটা’ আপনি পার হন তার নাম তারুণ্য। এনবিসি নিউজ, বিজনেস ইনসাইডারের মতো সংবাদমাধ্যমে মানসিক দৃঢ়তা বিষয়ক কলাম লেখা বিখ্যাত মনবিদ নিক উইগনল বলছেন, এই ‘সেতু’ শক্ত না হলে গোটা জীবনটাই বৃথা হয়ে যেতে পারে।
জীবন যাতে বৃথা না হয় সেজন্য উইগনল তার লেখা বিভিন্ন বইয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
শক্তিশালী বিশ্বাসের চাষাবাদ: উইগনল মনে করেন, বিশ্বাসই হল সব সফলতার প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত স্তম্ভ।
নিজের ওপর শুধু বিশ্বাস করলেই হবে না, এই বিশ্বাসকে তিনি নিয়ে যেতে বলেছেন চূড়ান্ত পর্যায়ে। একদম নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে এই বিশ্বাস অনুশীলনের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘কোনো কিছু পাওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত রকমের বিশ্বাস থাকলে তা যেকোনো উপায়ে ব্যক্তির হাতে ধরা দেয়। এটি প্রকৃতির খেলা।’
বিক্রিতে আলোড়ন তোলা বহুল আলোচিত বই ‘থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ’র লেখক নেপলিয়ন হিলও এই ‘বিশ্বাসকে’ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বাস বাধ্য করে প্রকৃতিকে আপনার পক্ষে আনতে। আপনি যদি বিশ্বাস করেন আপনি একদিন ধনী হবেন, তাহলে অবশ্যই একদিন ধনী হবেন।’
হিল তার ২৫ বছরের গবেষণায় দেখেছেন, বিশ্বাস জাদুর মতো কাজ করে!
আবেগের বৈধতা: ‘বেশি আবেগ থাকা ভালো নয়’ এ কথা শুনতে শুনতে যারা হতাশ তাদের পাশে আছেন উইগনল। আবেগকে তিনি মোটেই বিপজ্জনক কিছু বলতে নারাজ।
‘আবেগকে ম্যানেজ করা শিখতে হবে। আবেগের বৈধতা দেওয়া মানে আপনি তাদের কাছে পৌঁছাতে চান। কোনোভাবেই সরে যেতে চান না, তাতে সে যত কষ্টকরই হোক না কেন। আবেগ অধিকাংশ সময় গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে হাজির হয়। শান্ত থেকে সেটি বুঝে নিতে হয়।’
‘যাই হোক না কেন গ্রহণ করতে শিখুন। একটা নির্দিষ্ট সময় পর দেখবেন যা নেতিবাচক ভাবছেন, তা-ই ইতিবাচক হবে। ’
ধ্যান: কাজে মনোযোগ বাড়াতে ধ্যানের বিকল্প নেই। এটি একটি অনুশীলন। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নির্দিষ্ট সময় ধরে কীভাবে ফোকাস থাকা যায়, ধ্যান সেটি শেখায়।

Previous articleমানসিক পুনর্বাসন: স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ
Next articleভারতে করনো শনাক্ত করবে ‘ফেলুদা’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here