টেনশন বা দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। টেনশন ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া আজকাল কঠিন ব্যাপার! বিভিন্ন গবেষণার ফলে প্রমাণিত হয়েছে, মানসিক চাপ হৃদযন্ত্রের ক্ষতি সাধন করে।
আর এর হাত ধরেই শরীরে বাসা বাঁধে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় অসুখ। তাই অসুখের হাত থেকে বাঁচতে গেলে টেনশন থেকে মুক্ত থাকতেই হবে। মনোবিদদের মতে, বেশ কিছু নিয়মে টেনশন থেকে সহজেই মুক্ত থাকা যায়। কয়েকটি সহজ উপায় অবলম্বন করলেই টেনশন কাটিয়ে সুস্থ থাকতে পারবেন। জেনে নিন সেসব নিয়ম:
মেডিটেশন: প্রতিদিন ধ্যান বা মেডিটেশনের অভ্যাস আপনাকে অনেকটাই টেনশনমুক্ত রাখার চেষ্টা করবে। শ্বাসের আদানপ্রদানকে নিয়ন্ত্রণে রেখে নানা ঘটনায় মনকে শান্ত থাকার পাঠ শেখায়।
ঘুম: অনেকেরই প্রবল টেনশনের সময় ঘুম পায়। কেউ বা দুচোখের পাতা এক করতে পারেন না। কিন্তু যদি নিরিবিলিতে ঘুমানোর অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন, তা হলে তার মতো ভাল উপায় আর হতেই পারে না। টেনশন গ্রাস করছে দেখলে বা অনেকটা মানসিক চাপ পড়ে গেলে সময় বার করে একটু ঘুমিয়ে নিন।
গান: গান শুনতে ভালবাসলে দিনের মধ্যে কিছুটা সময় প্রিয় গায়ক ও তার গান শুনে কাটান। মনের উপর চাপ খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে গান।
খাবার: খাবারের মেন্যুতে রাখুন স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পটাশিয়াম জাতীয় খাবার। অ্যাভোকাডো জাতীয় ফল রাখুন ডায়েটে। টেনশন কমিয়ে ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে তা।
সঙ্গ: খুব টেনশনের সময় এমন কোনো মানুষের সঙ্গ নিন, যিনি কাছে থাকলে অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারেন কিংবা এমন কেউ যাকে নিজের সব সমস্যার কথা বলতে পারেন। তেমন প্রিয় কোনো মানুষের সঙ্গ অনেকটাই মনের চাপকে কমিয়ে দেয় বলে মত মনোবিদদের।
শখ: গল্পের বই পড়া হোক বা পছন্দের কোনো শখ, টেনশন কমাতে শরণ নিন তাদের। মনকে যত অন্য দিকে রাখবেন, ততই টেনশন কমবে। যদি পার্লারে গিয়ে সময় কাটাতে বা শপিং করতে ভালবাসেন, তা হলে তাই করুন। এতেও টেনশনের চাপ কমে যাবে।
আমি একজন ছেলে, আমার বয়স ২৬, আমার হার্টবিট ১০৬, আমি কি করতে পারি?