১৬ অক্টোবর পালিত হয়েছে বিশ্ব মেরুদণ্ড দিবস। এ দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মেরুদণ্ড ক্ষয় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে। শিশু থেকে কৈশোর বয়সের ছেলেমেয়েদের উপর এর প্রভাব আরও বেশি। টিন এইজে ব্যাকপেইন স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে বলে বলছে গবেষণা। ভারতের প্রথম মেরুদণ্ড বিষয় কিউ আই স্পাইন ক্লিনিক থেকে এমন বিষয় জানানো হয়েছে৷
শিশু কিংবা টিন এজাররা খেলাধুলা অথবা নানাভাবে বেক পেইনের স্বীকার হতে পারে। অনেকে আবার জন্মগতভাবেই এ সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিশোর বয়স তথা উদাহরণ স্বরূপ ১২-১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা যদি ব্যাক পেইনের স্বীকার হয় ধূমপান, মদ্যপানের ফলে তা আরও বেড়ে যায়। সপ্তাহে ২-৩ বার তারা এধরনের ব্যথার সম্মুখীন হয়ে থাকে। ব্যাক পেইন আর অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস উভয় মিলে শরীরে নানান রকমের রোগের সৃষ্টি করে থাকে। কিডনি জনিত সমস্যাসহ টিউমারও হয়ে থাকে অনেক সময় ব্যাক পেইনের ফলে। কিশোর বয়সের ব্যাক পেইন পরবর্তীতে হয় নানান সমস্যার উৎস।
চিকিৎসকরা ব্যাকপেইন থেকে বাঁচার জন্য ওষুধের পরামর্শ দিয়ে থাকে। এছাড়াও সন্তানকে ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি পেতে পিতামাতারও কিছু করণীয় রয়েছে। নিচে দেয়া হলোঃ
* ছেলেমেয়েকে নিচে বসতে বারণ করুন। বসে থাকার বদলে তাদের নড়াচড়া করতে দিন। এটি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর।
* আপনার সন্তানের রোল মডেল আপনি নিজেই। তাই আপনিও যথাযথ নিয়মকানুন মেনে চলুন যেনো ব্যাক পেইন না হয়।
* সন্তানকে মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে শেখান। তার পিঠে বেশি চাপ পড়ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
* ছেলেমেয়েদের ব্যাক পেইন হলে ব্যথা নিয়ে তাদের ঘুমাতে দিবেন না। ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে হাঁটান। প্রয়োজন ডাক্তার দেখান।
* খেলাধুলায় আহত হলে কী প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া জরুরি সে বিষয় অবগত থাকুন।
* শিশুদের নিয়ে ড্রাইভের সময় সিট বেল্ট বাঁধতে ভুলবেন না।
* আপনার ছেলেমেয়ে নতুন কোনো খেলা শিখতে গেলে যেমন স্কেটিং কিংবা স্কাইং শেখার সময় যেনো কোনোভাবেই স্ট্যান্ডের উপর না পরে। এতে ব্যাক পেইন হবার সম্ভাবনা থাকে।
* সাইক্লিং করার সময় হেলমেট, হাতে গ্লাভস পরতে যেনো না ভুলে সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন।
অনুবাদ: ইফ্ফাত আরা মুনিয়া
সূত্রঃ ডেকান ক্রোনিকেল
https://deccanchronicle.com/lifestyle/health-and-wellbeing/161018/world-spine-day-teenage-back-pain-can-wreck-long-term-health-say-exp.html